ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আ জ ম নাছিররে সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্রিকেট দল বিদুৎ বিহীন গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেমে নেই স্বাস্থ্য সেবা নারী উন্নয়নমূলক একটি ডকুমেন্টারি নাটকের শুটিং মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের কমিটি পুর্নগঠন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, সম্পাদক সরকার আলাউদ্দিন মতলব উত্তরে পূর্বের নিয়মিত মামলায় ০১জন আসামী গ্রেফতার নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট: এমএ সালাম গজারিয়ায় গ্রাম্য সালিশ শেষে সংঘর্ষ,ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মার গজারিয়ায় ভবেরচর ইউনিয়নের সাবেক বর্তমান ছাত্রলীগের মত বিনিময় সভা বাকেরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন। বাকেরগঞ্জে আশাহত মানুষের আস্থার প্রতিক মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিকের বিকল্প নেই।।

রাজ্য বিরোধীশূন্য করতে চাইছেন মমতা?

পশ্চিমবঙ্গে একসময় সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল সিপিএম। তাদের নেতৃত্বেই ছিল বাম দলের জোট বামফ্রন্ট। এরপরে ছিল তৃণমূল। তৃতীয় কংগ্রেস। আর চতুর্থ বিজেপি।

২০১১ সালে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের একটানা শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় তৃণমূল চলে আসায় রাজনৈতিক শক্তিতে দ্বিতীয় স্থানে চলে যায় বাম দল। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে কংগ্রেস ও বিজেপি।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এক নম্বরে থাকলেও বাম দল দুই নম্বরের অবস্থান হারিয়ে চলে আসে তিনে। দুই নম্বরে উঠে আসে কংগ্রেস। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকে বাম দল ও বিজেপি।

কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উল্টে যায় সব হিসাব–নিকাশ। বিজেপি চলে আসে দ্বিতীয় স্থানে। আর এটাই মেনে নিতে পারছেন না মমতা। তাঁর এক কথা—বিজেপিকে এই রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। বিজেপিকে পরাস্ত করে সর্বত্র তুলতে হবে তৃণমূলের জোড়াফুলের ঝান্ডা।

শুধু কি তা–ই! মমতা চাইছেন, পশ্চিমবঙ্গে দল বলতে থাকবে শুধু তৃণমূল। অন্য দল থাকবে, তবে তা সাইনবোর্ডে। তাই মমতা গত ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় আয়োজিত বিশাল সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের সব কটিতেই তৃণমূলকে জিততে হবে। সব আসনে জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

পরিকল্পনামতোই এগোচ্ছেন মমতা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের সব কটিতে জিতে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

মমতা গত শুক্রবার দলের কোর কমিটির বৈঠকেও তাঁর এই ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি চান, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে জিতুক তাঁর তৃণমূল। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিরোধীশূন্য হোক। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমসহ বাম দল সাইনবোর্ডের দলে পরিণত হোক। এই লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের নির্বাচনের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

সবশেষ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৩৪ আসন। কংগ্রেস পায় ৪ আসন। বিজেপি ও সিপিএম ২টি করে আসন পায়। এবার মমতা ৪২ আসনেই তাঁর দলের জয় চাইছেন।

মমতা কি তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন?

বিরোধী দল বলেছে, মমতার অভিলাষ স্বৈরশাসকের মতো। একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দল থাকবে না? বিরোধী দল ছাড়া কীভাবে চলবে রাজ্য?

কংগ্রেসের নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিরোধী দল তো থাকবেই। বিরোধীদের যিনি শূন্য করার কথা ভাবেন, তাঁকে স্বৈরাচারী ছাড়া আর কী বলা যায়?’

সূত্র প্রথম আলো
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আ জ ম নাছিররে সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্রিকেট দল

রাজ্য বিরোধীশূন্য করতে চাইছেন মমতা?

আপডেট টাইম ০৭:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর ২০১৮

পশ্চিমবঙ্গে একসময় সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল সিপিএম। তাদের নেতৃত্বেই ছিল বাম দলের জোট বামফ্রন্ট। এরপরে ছিল তৃণমূল। তৃতীয় কংগ্রেস। আর চতুর্থ বিজেপি।

২০১১ সালে বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের একটানা শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় তৃণমূল চলে আসায় রাজনৈতিক শক্তিতে দ্বিতীয় স্থানে চলে যায় বাম দল। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে কংগ্রেস ও বিজেপি।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এক নম্বরে থাকলেও বাম দল দুই নম্বরের অবস্থান হারিয়ে চলে আসে তিনে। দুই নম্বরে উঠে আসে কংগ্রেস। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকে বাম দল ও বিজেপি।

কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উল্টে যায় সব হিসাব–নিকাশ। বিজেপি চলে আসে দ্বিতীয় স্থানে। আর এটাই মেনে নিতে পারছেন না মমতা। তাঁর এক কথা—বিজেপিকে এই রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। বিজেপিকে পরাস্ত করে সর্বত্র তুলতে হবে তৃণমূলের জোড়াফুলের ঝান্ডা।

শুধু কি তা–ই! মমতা চাইছেন, পশ্চিমবঙ্গে দল বলতে থাকবে শুধু তৃণমূল। অন্য দল থাকবে, তবে তা সাইনবোর্ডে। তাই মমতা গত ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় আয়োজিত বিশাল সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের সব কটিতেই তৃণমূলকে জিততে হবে। সব আসনে জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

পরিকল্পনামতোই এগোচ্ছেন মমতা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের সব কটিতে জিতে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

মমতা গত শুক্রবার দলের কোর কমিটির বৈঠকেও তাঁর এই ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি চান, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে জিতুক তাঁর তৃণমূল। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিরোধীশূন্য হোক। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমসহ বাম দল সাইনবোর্ডের দলে পরিণত হোক। এই লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের নির্বাচনের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

সবশেষ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৩৪ আসন। কংগ্রেস পায় ৪ আসন। বিজেপি ও সিপিএম ২টি করে আসন পায়। এবার মমতা ৪২ আসনেই তাঁর দলের জয় চাইছেন।

মমতা কি তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন?

বিরোধী দল বলেছে, মমতার অভিলাষ স্বৈরশাসকের মতো। একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দল থাকবে না? বিরোধী দল ছাড়া কীভাবে চলবে রাজ্য?

কংগ্রেসের নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিরোধী দল তো থাকবেই। বিরোধীদের যিনি শূন্য করার কথা ভাবেন, তাঁকে স্বৈরাচারী ছাড়া আর কী বলা যায়?’

সূত্র প্রথম আলো