ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব নিন: বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার বিশ্ব সম্প্রদায়কে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ নিজেদের কোনো দোষ ছাড়াই বাস্তুচ্যুত হতে হচ্ছে তাদের।

আরো পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনের নিবন্ধন দেয়া শুরু : তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের লোকেরা আমাদের কোনো দোষের জন্য বাস্তুচ্যুত হবে না … তাই আমরা আশা করি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের থাকার ব্যবস্থা ও জীবিকা নির্বাহের দায়িত্ব বহন করবে।

স্পেনের মাদ্রিদে চলমান কনফারেন্স অব দ্যা পার্টিসের ২৫তম সেশনে (কপ-২৫) গোলটেবিল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যেখানে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘ন্যাশনাল প্লান টু ইনক্রিজ অ্যাম্বিশন বাই ২০২০’, যার অর্থ দাঁড়ায় ২০২০ সালকে সামনে রেখে জাতীয় পরিকল্পনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক অবদানসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সব অর্থায়ন চুক্তি অনুসারে ক্ষতিপূরণ অনুসারে হতে হবে।

তিনি বলেন, কনভেনশন এবং প্যারিস চুক্তি অনুসারে বিশেষ পরিস্থিতি এবং এলডিসির প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ করে হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর’ সাধারণ তবে পৃথক দায়বদ্ধতার নীতিকে স্বীকৃতি দেয় এবং জলবায়ু সংক্রান্ত অর্থায়নের প্রতিটি বিতরণ ব্যবস্থায় এ স্বীকৃতি মেনে চলতে হবে।

শেখ হাসিনা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, স্থিতিস্থাপকতা ও অভিযোজনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ‘আমাদের কেবল প্রাক-শিল্প পর্যায়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে অনেক দেশের মধ্যে আগ্রহের অভাব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও বোঝাপোড়ায় বিশ্বাসী এবং এজন্য জাতিসংঘ সবচেয়ে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরও বলন, আমরা মনে করি পরিবেশের আরও অবনতি বন্ধে আমাদের কাছে কিছু কার্যকর আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া রয়েছে যেমন প্যারিস চুক্তিসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া। আমাদের সম্মত হওয়া এসব বিধানগুলোকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির নীতি সব আলোচনায় গুরুত্বসহকারে থাকা উচিত। সেই সাথে পর্যালোচনার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতির নীতি ‘ওয়ার্শো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া’কে আরও শক্তিশালী রূপ দিতে হবে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব নিন: বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৯:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার বিশ্ব সম্প্রদায়কে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ নিজেদের কোনো দোষ ছাড়াই বাস্তুচ্যুত হতে হচ্ছে তাদের।

আরো পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনের নিবন্ধন দেয়া শুরু : তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের লোকেরা আমাদের কোনো দোষের জন্য বাস্তুচ্যুত হবে না … তাই আমরা আশা করি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের থাকার ব্যবস্থা ও জীবিকা নির্বাহের দায়িত্ব বহন করবে।

স্পেনের মাদ্রিদে চলমান কনফারেন্স অব দ্যা পার্টিসের ২৫তম সেশনে (কপ-২৫) গোলটেবিল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। যেখানে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘ন্যাশনাল প্লান টু ইনক্রিজ অ্যাম্বিশন বাই ২০২০’, যার অর্থ দাঁড়ায় ২০২০ সালকে সামনে রেখে জাতীয় পরিকল্পনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক অবদানসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সব অর্থায়ন চুক্তি অনুসারে ক্ষতিপূরণ অনুসারে হতে হবে।

তিনি বলেন, কনভেনশন এবং প্যারিস চুক্তি অনুসারে বিশেষ পরিস্থিতি এবং এলডিসির প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ করে হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর’ সাধারণ তবে পৃথক দায়বদ্ধতার নীতিকে স্বীকৃতি দেয় এবং জলবায়ু সংক্রান্ত অর্থায়নের প্রতিটি বিতরণ ব্যবস্থায় এ স্বীকৃতি মেনে চলতে হবে।

শেখ হাসিনা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, স্থিতিস্থাপকতা ও অভিযোজনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ‘আমাদের কেবল প্রাক-শিল্প পর্যায়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে অনেক দেশের মধ্যে আগ্রহের অভাব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও বোঝাপোড়ায় বিশ্বাসী এবং এজন্য জাতিসংঘ সবচেয়ে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরও বলন, আমরা মনে করি পরিবেশের আরও অবনতি বন্ধে আমাদের কাছে কিছু কার্যকর আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া রয়েছে যেমন প্যারিস চুক্তিসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বৈশ্বিক চুক্তি ও প্রক্রিয়া। আমাদের সম্মত হওয়া এসব বিধানগুলোকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির নীতি সব আলোচনায় গুরুত্বসহকারে থাকা উচিত। সেই সাথে পর্যালোচনার মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতির নীতি ‘ওয়ার্শো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া’কে আরও শক্তিশালী রূপ দিতে হবে।