ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা” টাঙ্গাইলে পাহাড়ি টিলা কাটছে মাটিখেকোরা, জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে “কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ” চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন মেয়র রেজাউল বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার

চোখের আলো হারিয়ে দিশেহারা আরিফঃ চিকিৎসার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান

মোহাম্মদ রফিক, কুুষ্টিয়া :   কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শালদাহ গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ মোশারফ হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (১৮) হাঁসি খুশি ভরা সহজ সরল মানুষ। শত অভাবের সংসারটা কোনমতে চলতে ছিলো। দামি গাড়ি বাড়ি না থাকলেও মনের সুখটা ছিলো আকাশ সমান। ছোট্ট একটা সড়ক দূর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতো। বেশ কয়েক মাস আগে শালদাহ রাস্তায় মোটর সাইকেল আর অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্বক আহত হয়ে মাথা ও চোখে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এখন দিনের আলো আর দেখা হয় না। কখন রাত আর কখন দিন সেটাও দেখতে পায় না। জীবনে এখন কালো অন্ধকার নেমে এসেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা মানুষটার এমন পরিস্থিতি তে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলো। সহায় সম্বল যা ছিলো সেটা দিয়ে কোন মতে এতোদিন চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও এখন অর্থের অভাবে চিকিৎসাটা অনিশ্চিত।অসহায় আরিফ কে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা যেখানে বর্তমানে পরিবারের দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় সেখানে চিকিৎসা খরচ চালানোটা অসহায় পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে, আরিফ বাড়ির উঠানে বসে আছে। কথা বলতেই হাত ধরে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকে। ভাইগো আমার জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে কতদিন দিনের আলো দেখতে পায়নি। মায়ের মুখটা দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চোখে তো আর আগের মতো দেখি না। মা তো আমাকে নিয়ে কেঁদে কেঁদে চোখের পানি ফুরিয়ে ফেললো। আমার কাছে পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে গেছে। ট্যাকা পাবো কই চিকিৎসা করাবো। ভাই গো আমার আর ভালো লাগে না। আমাকে ডাক্তারের কাছে নেন আমি আবার সব কিছু দেখতে চাই।
আরিফের পাড়া প্রতিবেশীরা জানান, আরিফ ছোট বেলা থেকেই সহজ সরল ছিলো। কারোর সাথে কোনদিন খারাপ আচরণ করিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনমতে পরিবারটা চালাতো। সড়ক দূর্ঘটনায় চোখ হারিয়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভারতে না নেওয়া হলে ছেলেটা সারাজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যাবে। তাই সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের কাছে বিনীত অনুরোধ সকলে অসহায় আরিফের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসবেন। আরিফ আবারও চোখের আলো ফিরে পেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন এমনটাই আশা সকলের।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

“বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা”

চোখের আলো হারিয়ে দিশেহারা আরিফঃ চিকিৎসার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান

আপডেট টাইম ০১:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
মোহাম্মদ রফিক, কুুষ্টিয়া :   কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শালদাহ গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ মোশারফ হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (১৮) হাঁসি খুশি ভরা সহজ সরল মানুষ। শত অভাবের সংসারটা কোনমতে চলতে ছিলো। দামি গাড়ি বাড়ি না থাকলেও মনের সুখটা ছিলো আকাশ সমান। ছোট্ট একটা সড়ক দূর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতো। বেশ কয়েক মাস আগে শালদাহ রাস্তায় মোটর সাইকেল আর অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্বক আহত হয়ে মাথা ও চোখে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এখন দিনের আলো আর দেখা হয় না। কখন রাত আর কখন দিন সেটাও দেখতে পায় না। জীবনে এখন কালো অন্ধকার নেমে এসেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা মানুষটার এমন পরিস্থিতি তে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলো। সহায় সম্বল যা ছিলো সেটা দিয়ে কোন মতে এতোদিন চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও এখন অর্থের অভাবে চিকিৎসাটা অনিশ্চিত।অসহায় আরিফ কে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা যেখানে বর্তমানে পরিবারের দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয় সেখানে চিকিৎসা খরচ চালানোটা অসহায় পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে, আরিফ বাড়ির উঠানে বসে আছে। কথা বলতেই হাত ধরে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকে। ভাইগো আমার জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে কতদিন দিনের আলো দেখতে পায়নি। মায়ের মুখটা দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চোখে তো আর আগের মতো দেখি না। মা তো আমাকে নিয়ে কেঁদে কেঁদে চোখের পানি ফুরিয়ে ফেললো। আমার কাছে পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে গেছে। ট্যাকা পাবো কই চিকিৎসা করাবো। ভাই গো আমার আর ভালো লাগে না। আমাকে ডাক্তারের কাছে নেন আমি আবার সব কিছু দেখতে চাই।
আরিফের পাড়া প্রতিবেশীরা জানান, আরিফ ছোট বেলা থেকেই সহজ সরল ছিলো। কারোর সাথে কোনদিন খারাপ আচরণ করিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনমতে পরিবারটা চালাতো। সড়ক দূর্ঘটনায় চোখ হারিয়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভারতে না নেওয়া হলে ছেলেটা সারাজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যাবে। তাই সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের কাছে বিনীত অনুরোধ সকলে অসহায় আরিফের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসবেন। আরিফ আবারও চোখের আলো ফিরে পেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন এমনটাই আশা সকলের।