মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরো পড়ুন: ১২ নভেম্বরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাও স্থগিত
যে বিএনপি আমাদের সরকারের প্রস্তুতিকে অপর্যাপ্ত বলছে, তাদের সময় ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর যখন মানুষের লাশ পানিতে ভাসছে, সমস্ত চট্টগ্রামে লাশের গন্ধ, তখন নওয়াজ শরিফ আসায় বেগম খালেদা জিয়া দিনে সাতটি শাড়ি বদল করেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ‘শহীদ নূর হোসেন’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নাকি যথেষ্ট নয়। অথচ ব্যাপক ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ফলে আমাদের প্রাণ ও সম্পদ উভয়ই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমি তাদের বলবো, নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখতে। কারণ, তাদের সময়ে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।’
তিনি বলেন, সে সময়ে বিমান বাহিনীর ৩৫ টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শুধু ব্যবস্থাপনার ত্রুটিতে, কারণ বিমান তো উড়িয়েই অন্যত্র নেয়া যেতো। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারগুলো চলে এসেছিলো রাস্তায়।
নূর হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, নূর হোসেন ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি। তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে সঙ্গে এ দেশের মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার পেয়েছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় হাছান মাহমুদ সবাইকে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানান।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি তছলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহসভাপতি সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, শহীদ নূর হোসেনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।