ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে-লায়ন গনি মিয়া বাবুল সোনারগাঁয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে এম ইসফাক আহসানের এর উদ্যোগে রেলি ও আলোচনা সভা আইন পেশায় সর্বোচ্চ খেতাব ” আপিল বিভাগের আইনজীবী ” হিসেবে ভূষিত হলেন এডভোকেট রেজাউল করিম। সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে রবিন ও সাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাগেরহাটে ফকিরহাটে সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন আমান উল্লাহ পাড়া জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহাফিল ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত।

এবারও লাঙ্গল, না নৌকা?

জেলা সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি—এই তিন উপজেলা নিয়ে পটুয়াখালী-১ নির্বাচনী এলাকা। বর্তমান সাংসদ ১৪–দলীয় জোটের সঙ্গী জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। জাতীয় পার্টি এবারও মহাজোটে থাকবে? ১৪ দলের প্রার্থী জাপারই হবে? নাকি আওয়ামী লীগের কেউ? এ নিয়ে এলাকায় নানামুখী আলোচনা চলছে।

১৯৭৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ’৮৮ সালের ৩ মার্চ ও ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাদে বাকি আটটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চারবার, বিএনপি দুইবার ও জাতীয় পার্টি দুইবার নির্বাচিত হয়। ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাপাকে ছেড়ে দেওয়ায় সাংসদ হন রুহুল আমিন হাওলাদার।

এর আগে ’৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে ৬৩ হাজার ৯৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কেরামত আলী পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৩৬৯ ভোট। তখন ৫ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে রুহুল আমিন ছিলেন চতুর্থ অবস্থানে।

এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দুবার নির্বাচিত সাংসদ সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ অন্তত ১০ জন। তাঁরা নৌকায় ভোট চেয়ে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন। এ ছাড়া বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সভায় এ আসনে নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শাহজাহান মিয়া। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, এই আসনটি আসলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। প্রধানমন্ত্রী এ এলাকার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। এখানে জাতীয় পার্টি নয়, নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া উচিত।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট গড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, সরকারে ও সরকারের বাইরে মহাজোট একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তবে এ ক্ষেত্রে মহাজোটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মনে করেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে বড় পুইয়াউটা গ্রামে বাইতুন নাজাত জামে মসজিদের শুভ উদ্ভোধন।

এবারও লাঙ্গল, না নৌকা?

আপডেট টাইম ০৫:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অক্টোবর ২০১৮

জেলা সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি—এই তিন উপজেলা নিয়ে পটুয়াখালী-১ নির্বাচনী এলাকা। বর্তমান সাংসদ ১৪–দলীয় জোটের সঙ্গী জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। জাতীয় পার্টি এবারও মহাজোটে থাকবে? ১৪ দলের প্রার্থী জাপারই হবে? নাকি আওয়ামী লীগের কেউ? এ নিয়ে এলাকায় নানামুখী আলোচনা চলছে।

১৯৭৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ’৮৮ সালের ৩ মার্চ ও ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাদে বাকি আটটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চারবার, বিএনপি দুইবার ও জাতীয় পার্টি দুইবার নির্বাচিত হয়। ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাপাকে ছেড়ে দেওয়ায় সাংসদ হন রুহুল আমিন হাওলাদার।

এর আগে ’৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে ৬৩ হাজার ৯৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কেরামত আলী পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৩৬৯ ভোট। তখন ৫ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে রুহুল আমিন ছিলেন চতুর্থ অবস্থানে।

এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দুবার নির্বাচিত সাংসদ সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ অন্তত ১০ জন। তাঁরা নৌকায় ভোট চেয়ে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন। এ ছাড়া বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সভায় এ আসনে নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শাহজাহান মিয়া। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, এই আসনটি আসলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। প্রধানমন্ত্রী এ এলাকার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। এখানে জাতীয় পার্টি নয়, নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া উচিত।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট গড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, সরকারে ও সরকারের বাইরে মহাজোট একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তবে এ ক্ষেত্রে মহাজোটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মনে করেন তিনি।