ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার। দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা”

অবশেষে আ’লীগের উপদেষ্টা হলেন জয়নাল হাজারী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীকে। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জয়নাল হাজারীর কাছে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন: ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সালাম নেবেন। আনন্দের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে দেওয়া ক্ষমতাবলে আপনাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আশা করি আপনার শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে সংগঠনের নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত করতে সহায়তা করবে। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

এর আগে গত ২ অক্টোবর রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে শেখ হাসিনা তাকে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এ পদে নির্বাচিত করেন বলে গুজ্ঞন উঠেছিলো। মাস পেরোনোর আগেই সেই গুঞ্জনের সত্যতা মিললো।

জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০১ সালের ১৭ আগস্ট দেশ ছেড়ে যান জয়নাল হাজারী। ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ফেনী থেকে হাজারিকা নামে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সম্পাদকও তিনি।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ফিরেন তিনি। পাঁচটি মামলায় ৬০ বছরের সাজা হয় তার।

এরপর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে আট সপ্তাহের জামিন পান হাজারী। পরে ১৫ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে পাঠানো হয় কারাগারে। চার মাস কারাভোগের পরে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন তিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ।

অবশেষে আ’লীগের উপদেষ্টা হলেন জয়নাল হাজারী

আপডেট টাইম ০৭:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীকে। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জয়নাল হাজারীর কাছে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন: ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সালাম নেবেন। আনন্দের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে দেওয়া ক্ষমতাবলে আপনাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। আশা করি আপনার শ্রম, মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে সংগঠনের নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত করতে সহায়তা করবে। আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

এর আগে গত ২ অক্টোবর রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে শেখ হাসিনা তাকে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এ পদে নির্বাচিত করেন বলে গুজ্ঞন উঠেছিলো। মাস পেরোনোর আগেই সেই গুঞ্জনের সত্যতা মিললো।

জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০১ সালের ১৭ আগস্ট দেশ ছেড়ে যান জয়নাল হাজারী। ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ফেনী থেকে হাজারিকা নামে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সম্পাদকও তিনি।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ফিরেন তিনি। পাঁচটি মামলায় ৬০ বছরের সাজা হয় তার।

এরপর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে আট সপ্তাহের জামিন পান হাজারী। পরে ১৫ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে পাঠানো হয় কারাগারে। চার মাস কারাভোগের পরে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন তিনি।