ছালেক মাহামুদ: কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সীতাকুণ্ড-চট্টগ্রাম রোডে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেলো দূর্ভোগের চিত্র। সীতাকুণ্ড থেকে অলংকার (৮ নং) বাস ও কুমিরা থেকে নিউ মার্কেট (৭ নং) বাসসহ বিভিন্ন মিনিবাস, হুলার সকাল ৬ টা থেকে গন্তব্য থেকে ছেড়ে যায়নি। এ কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা গাড়ির জন্য শত শত মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
অফিসগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এবং বিভিন্নস্থানে যাতায়তকারী যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েন কোন আগাম ঘোষণা ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড-অলংকার মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০ নম্বর রুটে ফিটনেসবিহীন বাস চালানোর দায়ে মালিক, চালক এবং সহকারীকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজুরুল হক।
এরমধ্যে বাস মালিক মো. মনির হোসেনকে (৩৫) ১৫ দিনের এবং চালক মো. শামীম উদ্দিন (২৫) ও সহকারী মো. আলমগীরকে (৪০) ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। তার প্রতিবাদে আমরা মালিক সমিতি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।
গাড়ির ফিটনেস ঠিক না থাকলে মামলা দিতে পারে, জড়িমানা করতে পারেন কিন্তু মালিককে ঘর থেকে ডেকে এনে জেল দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত কারাদন্ড প্রত্যাহার না করে আটককৃতদের মুক্তি দিবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি পালন করবে বলে জানাই