ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরঞ্জাম কেনা হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। এই সক্ষমতা আরও বাড়াতে সরকার এক হাজার কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলেও জানান তিনি। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে যোগ্য করে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী ১৪ জেলায় ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৬৪টি জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় ঘরের উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এ দেশ এখন যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলার সমর্থ রাখে। দুর্যোগ মোকাবেলায় কারো মুখাপেক্ষী যাতে না হতে হয় এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সচেতন না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কত বড় ক্ষতি হতে পারে ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ই তার বড় প্রমাণ। এর জন্য ওই সময়ের সরকারপ্রধান খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, সরকার ওই দুর্যোগের কথা আগে টেরই পায়নি।

দুর্যোগ প্রশমনে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছি। দিন দিন দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা আমরা করেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে প্রতিবন্ধীদের চিন্তা করেও আমরা কাজ করছি। আমরা ডেল্টা প্লান ২১০০ হাতে নিয়েছি। যাতে আজকের শিশুর কথাও বিবেচনা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানে বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ একটি ব-দ্বীপ। এ কারণে আমরা সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কৃষক লীগের মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করেছি। এতে বনভূমি বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজারের যে ঝাউ বন তা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। এ ঝাউ বনের জন্য কক্সবাজার রক্ষা পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, সৈয়দপুরের বিমানবন্দরকে আমরা আধুনিকায়ন করেছি। এতে করে পাশ্ববর্তী দেশও উপকৃত হবে। যখন নেপালে দুর্যোগ হয়েছিল তখন কিন্তু তারা তাদের বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেনি। আমরা সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। এতে করে তারা তাদের ত্রাণসামগ্রী এ বিমানবন্দর থেকে ট্রাকযোগে তাদের দেশে নিতে পেরেছিল।

 

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরঞ্জাম কেনা হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০২:২৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। এই সক্ষমতা আরও বাড়াতে সরকার এক হাজার কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলেও জানান তিনি। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে যোগ্য করে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী ১৪ জেলায় ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৬৪টি জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় ঘরের উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এ দেশ এখন যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলার সমর্থ রাখে। দুর্যোগ মোকাবেলায় কারো মুখাপেক্ষী যাতে না হতে হয় এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সচেতন না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কত বড় ক্ষতি হতে পারে ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ই তার বড় প্রমাণ। এর জন্য ওই সময়ের সরকারপ্রধান খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, সরকার ওই দুর্যোগের কথা আগে টেরই পায়নি।

দুর্যোগ প্রশমনে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছি। দিন দিন দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা আমরা করেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে প্রতিবন্ধীদের চিন্তা করেও আমরা কাজ করছি। আমরা ডেল্টা প্লান ২১০০ হাতে নিয়েছি। যাতে আজকের শিশুর কথাও বিবেচনা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানে বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ একটি ব-দ্বীপ। এ কারণে আমরা সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কৃষক লীগের মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করেছি। এতে বনভূমি বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজারের যে ঝাউ বন তা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। এ ঝাউ বনের জন্য কক্সবাজার রক্ষা পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, সৈয়দপুরের বিমানবন্দরকে আমরা আধুনিকায়ন করেছি। এতে করে পাশ্ববর্তী দেশও উপকৃত হবে। যখন নেপালে দুর্যোগ হয়েছিল তখন কিন্তু তারা তাদের বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারেনি। আমরা সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। এতে করে তারা তাদের ত্রাণসামগ্রী এ বিমানবন্দর থেকে ট্রাকযোগে তাদের দেশে নিতে পেরেছিল।