ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

আবরার হত্যা: অমিত-মিজানের পর এবার তোহা গ্রেপ্তার

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার মামলার ১১ নম্বর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:  আবরার হত্যা মামলায় অমিত সাহা আটক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে সকালে আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের আরও তিন শিক্ষার্থী অমিত সাহা ও মিজানুর রহমান মিজান ও আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় অমিত সাহাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মিজানুর এবং আরাফাতেরও এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার হত্যা মামলার এজাহারে অমিত, আবরারের সহপাঠী মিজানুর এবং আরাফাতের নাম নেই। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর আবরারের সহপাঠী মিজানুরকেও গ্রেফতার করা হয়।আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনায় আসে অমিত সাহার নাম। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন অমিত। তার কক্ষেই ডেকে নিয়ে প্রথমে পেটানো হয় আবরারকে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

আবরার হত্যা: অমিত-মিজানের পর এবার তোহা গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম ০৭:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার মামলার ১১ নম্বর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:  আবরার হত্যা মামলায় অমিত সাহা আটক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে সকালে আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের আরও তিন শিক্ষার্থী অমিত সাহা ও মিজানুর রহমান মিজান ও আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় অমিত সাহাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মিজানুর এবং আরাফাতেরও এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার হত্যা মামলার এজাহারে অমিত, আবরারের সহপাঠী মিজানুর এবং আরাফাতের নাম নেই। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর আবরারের সহপাঠী মিজানুরকেও গ্রেফতার করা হয়।আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনায় আসে অমিত সাহার নাম। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন অমিত। তার কক্ষেই ডেকে নিয়ে প্রথমে পেটানো হয় আবরারকে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।