ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা। গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় খাদে প্রাইভেটকার, নিহত ৩ সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন সংস্কৃতি চর্চা: মেয়র রেজাউল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হাতীবান্ধায় নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ১০ ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার, প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই রোগী দেখে সবার মন জয় করেলেন ডাক্তার মোঃ হুমায়ুন রশিদ শাকিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আরজেএফ’র সুপেয় পানি স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ দুমকীতে খাল সংস্কার প্রকল্পে অনিয়মসহ শত শতগাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ। বাকেরগঞ্জ বাসীর উন্নয়নমুলক সকল প্রত্যাশা পুরনে কাজ করব। ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ রাজীব আহমেদ তালুকদার।

আজও উত্তাল বুয়েট, শিক্ষার্থীদের ১০ দফার আলটিমেটাম

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়েছে। বুয়েট থেকে হত্যাকারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাসহ দশ দফার দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে আসতে থাকেন। এরআগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেন।

আরো পড়ুন: আবরার হত্যায় বিস্মিত ও মর্মাহত যুক্তরাজ্য

আরো পড়ুন: আবরার হত্যাকাণ্ড: ভিসি প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

সমাবেশ সমাবেশে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম আবরার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধেরও দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

আবরার হত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার বিকেল থেকেই উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস। আবরার আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা মামলার অভিযোগপত্র না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন। যে দাবি এখন প্রবল তা হলো, দলীয় রাজনীতি ক্যাম্পাসে বন্ধ করে দিতে হবে। ছাত্ররা স্লোগান তুলেছেন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ করো, বন্ধ করো।

বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গতকাল মঙ্গলবার ৮ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ আরো দুই দফা দাবি বাড়িয়ে মোট ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্যের নিকট নিয়ে গেছেন।

শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, খুনিদের শানাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১ অক্টোবরের মধ্যে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ এবং ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীন স্বল্পতম সময়ে নিস্পত্তি করতে হবে, অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, ঘটনার পর ভিসি কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং ৩৮ ঘন্টা পর গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় আজ দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে তার জবাব দিতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগ এর নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, এ ধরণের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপত্তার জন্য সব হলের উইংয়ের দুই পাশে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে আসলে আন্দোলনকারীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য তার কাছে দাবি জানান।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই।’

এ ছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে বুয়েটে সব ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবরোধ করে শ্রমিকেরা।

আজও উত্তাল বুয়েট, শিক্ষার্থীদের ১০ দফার আলটিমেটাম

আপডেট টাইম ১২:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়েছে। বুয়েট থেকে হত্যাকারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাসহ দশ দফার দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে আসতে থাকেন। এরআগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেন।

আরো পড়ুন: আবরার হত্যায় বিস্মিত ও মর্মাহত যুক্তরাজ্য

আরো পড়ুন: আবরার হত্যাকাণ্ড: ভিসি প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

সমাবেশ সমাবেশে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম আবরার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধেরও দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

আবরার হত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার বিকেল থেকেই উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস। আবরার আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা মামলার অভিযোগপত্র না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন। যে দাবি এখন প্রবল তা হলো, দলীয় রাজনীতি ক্যাম্পাসে বন্ধ করে দিতে হবে। ছাত্ররা স্লোগান তুলেছেন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ করো, বন্ধ করো।

বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গতকাল মঙ্গলবার ৮ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ আরো দুই দফা দাবি বাড়িয়ে মোট ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্যের নিকট নিয়ে গেছেন।

শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, খুনিদের শানাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১ অক্টোবরের মধ্যে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ এবং ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীন স্বল্পতম সময়ে নিস্পত্তি করতে হবে, অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, ঘটনার পর ভিসি কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং ৩৮ ঘন্টা পর গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় আজ দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে তার জবাব দিতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগ এর নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, এ ধরণের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপত্তার জন্য সব হলের উইংয়ের দুই পাশে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ক্যাম্পাসে আসলে আন্দোলনকারীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য তার কাছে দাবি জানান।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজন নেই।’

এ ছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে বুয়েটে সব ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।