ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ” বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

পুলিশের রবার বুলেটে চোখ হারালেন সাংবাদিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  হংকংয়ে চীনবিরোধী আন্দোলনে এক সাংবাদিকের ডান চোখের আলো চিরদিনের জন্য নিভে গেছে। ভেবে মেগা ইনদাহ নামের ওই ইন্দোনেশিয়ার সাংবাদিকের চোখে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে গতকাল বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়: তথ্যমন্ত্রী

কয়েক মাসব্যাপী চলা চীন ও চীনপন্থি সরকারবিরোধী আন্দোলনে স্থবির হয়ে আছে হংকং। চীনের স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে ০১ অক্টোবর বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ে। অনেকে জড়ো হোন লাঠিসোটা ও পেট্রোলবোমা নিয়েও। বিক্ষোভ-মিছিলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে বেশ কিছু আহতের ঘটনা ঘটে। ওয়ান চি এলাকায় চোখ যায় নিরাপত্তা গ্লাস পরা ওই সাংবাদিকেরও।

পুলিশ মোট ২৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ১০০ জনকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯০০টি রাবার বুলেট ও ১৪ শ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।

চোখ হারানো সাংবাদিক ভেবে মেগা ইনদাহ’র আইনজীবী জানান, মাত্র ৪০ ফুট দূরত্বে ওই সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি স্থায়ীভাবে ডান চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন।

মেগা ইনদাহ ইন্দোনেশিয়ার সুরাহ পত্রিকায় কাজ করছেন। তার সঙ্গে কাজ করা অন্যান্য সাংবাদিকরা জানান, পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ার আগেও ওই সাংবাদিক চিৎকার করে বলেছিলেন, গুলি করো না। আমরা সাংবাদিক।

এই ঘটনার পর ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস দেশটির নাগরিকদের আন্দোলনরত এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে চীনের সঙ্গে হংকং এর প্রস্তাবিত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের শুরু। আন্দোলনের মুখে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম প্রস্তাবিত ওই আইনকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রস্তাবিত আইন বাতিলের পরও আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে আসেনি। পুলিশের সঙ্গে তাদের প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে হংকং এর পার্লামেন্টের সংশোধনী।

Tag :

আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়

পুলিশের রবার বুলেটে চোখ হারালেন সাংবাদিক

আপডেট টাইম ০৯:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  হংকংয়ে চীনবিরোধী আন্দোলনে এক সাংবাদিকের ডান চোখের আলো চিরদিনের জন্য নিভে গেছে। ভেবে মেগা ইনদাহ নামের ওই ইন্দোনেশিয়ার সাংবাদিকের চোখে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে গতকাল বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়: তথ্যমন্ত্রী

কয়েক মাসব্যাপী চলা চীন ও চীনপন্থি সরকারবিরোধী আন্দোলনে স্থবির হয়ে আছে হংকং। চীনের স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে ০১ অক্টোবর বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ে। অনেকে জড়ো হোন লাঠিসোটা ও পেট্রোলবোমা নিয়েও। বিক্ষোভ-মিছিলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে বেশ কিছু আহতের ঘটনা ঘটে। ওয়ান চি এলাকায় চোখ যায় নিরাপত্তা গ্লাস পরা ওই সাংবাদিকেরও।

পুলিশ মোট ২৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ১০০ জনকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩০ পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯০০টি রাবার বুলেট ও ১৪ শ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।

চোখ হারানো সাংবাদিক ভেবে মেগা ইনদাহ’র আইনজীবী জানান, মাত্র ৪০ ফুট দূরত্বে ওই সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি স্থায়ীভাবে ডান চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন।

মেগা ইনদাহ ইন্দোনেশিয়ার সুরাহ পত্রিকায় কাজ করছেন। তার সঙ্গে কাজ করা অন্যান্য সাংবাদিকরা জানান, পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ার আগেও ওই সাংবাদিক চিৎকার করে বলেছিলেন, গুলি করো না। আমরা সাংবাদিক।

এই ঘটনার পর ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস দেশটির নাগরিকদের আন্দোলনরত এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে চীনের সঙ্গে হংকং এর প্রস্তাবিত বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের শুরু। আন্দোলনের মুখে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম প্রস্তাবিত ওই আইনকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রস্তাবিত আইন বাতিলের পরও আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে আসেনি। পুলিশের সঙ্গে তাদের প্রায়ই সংঘর্ষ হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে হংকং এর পার্লামেন্টের সংশোধনী।