স্টাফ নারায়ণগঞ্জ: দৌড়ে এসে বল করছে বোলার, আর অন্য প্রান্তে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে চার-ছক্কা হাকাচ্ছে ব্যাটসম্যান। কখন আবার বোলারদের আক্রমনে উইকেট হারাচ্ছে প্রতিপক্ষ। আর এ নিয়েই মাঠের দর্শক গ্যালারিতে দেখা গেছে ব্যাপক হৈ চৈ আর উন্মাদনা।রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চেইঞ্জেস স্কুল চানমারী ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে এ ক্রিকেট খেলা। চলেছে দুপুর পর্যন্ত।
আরো পড়ুন : আইইটি স্কুলে মোড়ের চেকপোস্টে নতুন পুলিশ বক্সের উদ্বোধন
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেইঞ্জেস স্কুলের আয়োজনে উৎসব আমেজে চলছিলো চেইঞ্জেস ক্রিকেট লীগ ২০১৯। এসময় সবুজ, হলুদ আর লাল জার্সি গায়ে মাঠে নামে ৪টি দল। পরে কেউ চার-ছক্কা, আবার কেউ বোলারদের আক্রমণের উইকেট হারান। দুইটি গ্রুপে ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সারা স্কুল ক্যাম্পাসে দর্শকদের মধ্যে কাজ করে উত্তেজনা। এক পর্যায়ে গ্রুপ ‘এ’তে ক্যাম্পাস ১ এর ক্লাস ১ এবং গ্রুপ ‘বি’তে ক্যাম্পাস-১ এর ক্লাস ৪ বিজয় হয়।
পরে শুরু হয় বিজয়ী ও রানার আপদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ। পুরস্কার বিতরণ করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জি এম ফারুক। উপস্থিত ছিলেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাদিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ নাসিমা বেগম।
এ সময় জিএম ফারুন বলেন, এখনকার মায়েরা বাচ্চাদের বের হতে দেয় না। বাচ্চাদের যদি একটু দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা করতে না দেয়া হয়, তাহলে আমরা যে জাংক ফুড খাই, তাতে বাচ্চাদের অনেক ক্ষতি হয়। এক সময় চিপসের বিজ্ঞাপনে বলা হতো, ‘একা একা খেতে চাও, দরজা বন্ধ করে খাও’। এই জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে বিকশিত করতে চাই। যাতে বাচ্চারা আমি ও আমার এই শব্দ থেকে আমরা এবং আমাদের শব্দে পরিনত হয়। তাই চেইঞ্জেস স্কুল কর্তৃপক্ষ মননশীলতার বিকাশ ঘটানোর লক্ষে খেলাধুলা, বির্তক প্রতিযোগীতা ও পিকনিকসহ নানা আয়োজনে বাচ্চাদের অংশগ্রহণ করাচ্ছে।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় চেইঞ্জেস স্কুল ক্রিকেট লীগ। এতে অংশগ্রহন করে ক্যাম্পাস-১ এবং ক্যাম্পাস-২ এর ইনফেন্ট-জুনিয়রদের বেশ কয়েকটি দল। পরে একের পর এক বিভিন্ন দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসে গ্রুপ ‘এ’তে ক্যাম্পাস-১ এর ক্লাস ১, ক্যাম্পাস ১ এর কেজি-১ ও ২। এছাড়া গ্রুপ ‘বি’তে ক্যাম্পাস-১ এর ক্লাস ফোর ও ক্যাম্পাস ২ এর ক্লাস ২।