ফরহাদ হোসেন ফখরুল: জাতীয় প্রেক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে লাইজু হোসেন দেবর অব: মেজর মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ও জাহিদ হোসেন চৌধুরীর প্রতি ওই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমার স্বামী মৃত সাখায়াত হোসেন চৌধুরীর সাথে ২২/০১/২০০০ইং তারিখে আমাদের বিবাহ। ১৩ বছর সাংসারিক জীবনে হজ্জ থেকে ফেরার পর ০৮/১১/২০১৩ইং তারিখে আমার স্বামীর মালিবাগ খিদমা হসপিটালে মৃত্যু হয়। যানাজায় আমার শুশুরবাড়ীর লোকজন অংশ গ্রহণ করেন এবং তাদের সাথে আমার পূর্ব থেকে অনেক ভাল সম্পর্ক ছিল।
লাইজু হোসেন তার দেবর ও ননদের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, মৃত্যুর কিছুদিন পর স্বামীর যৌথ ব্যবসা মল্টি প্লাস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কোং’র হিসাব চাইতে গেলে তাহার সাথে খারাপ আচরন ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তার দেবর ও ননদরা । উপায়ান্ত না পেয়ে বিধবা স্ত্রী লাইজু হোসেন ০৮/০২/২০১৪ইং তারিখে রামপুরা থানায় একটি সাধার ডায়েরী করেন। জি.ডি নং- ৩৬৮।
তিনি বায়না করা জমির মালিক মনিরুল ইসলাম সরকারের পক্ষ নিয়ে বলেন, আমার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় মনিরুল ইসলাম সরকারের নিকট নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ৩ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি বায়না করে যাহার প্রমাণ মনিরুল ইসলাম সরকারের নিকট আছে। কিন্তু মনিরুল ইসলাম ওনার বায়নাকৃত জায়গা মৃত সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী লাইজু বেগমের নিকট চাইলে, লাইজু বেগমসহ মৃত সাখাওয়াত হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জমি দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু আমার দেবর ও ননদের যোগসাজেসে গোপনে মনিরুল ইসলাম চৌধুরীকে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তাদের ভাই মৃত সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর নাম ও ওয়ারিশের নাম বাদ দিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে সমস্ত সম্পত্তি মিউট্রিশান করে, ফতুল্লার ৩ শতাংশ জমি প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় ভূমিদূস্য মাহবুবে আলম এর নিকট জমি বিক্রয় করে দেন। অবৈধ দলিল নং ৯৬২৬, দলিলটি দ্রুত বাতিল হবে আশা প্রকাশ করছি।
লাইজু হোসনে বলেন, এহেন জগন্য অপরাধ থেকে বাচার জন্য আমার নামে কাবিননামা বাতিলের ঘোষণা মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার নং- ৮১/২১০৮। এতে আমার দেবর ও ননদরা অভিযোগ করেন যে, তাদের ভাই কোন দিন বিয়ে করে নাই। এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট সু বিচারের সহযোগিতা কামনা করার পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে তাহার বিবাহের প্রমাণ হিসেবে তাহার কাবিননামা, পাসপোর্ট, তাহার স্বামীর ৩টি পাসপোর্ট, এন.আই.ডি, স্বামী (মৃত সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর) স্কুল ও চাকরী জীবনের মূল সার্টিফিকেট, স্বামী-স্ত্রী ও তাহার দেবরের সাথে ছবি , একই তারিখে স্বামী -স্ত্রীর হজ্জ্ব ভিসা কপি, একই তারিখে স্বামী-স্ত্রীর হজ্জ্বে আসা – যাওয়ার কপি, হজ্জ্বে যাওয়া অন্যান্য যাত্রীদের স্বীকারোক্তি, কমিশনার থেকে প্রত্যায়নপত্র ওয়ারিশন সার্টিফিকেট, ঢাকা যুগ্ম জেলা জজ ৩য় আদালত হতে সাকসেসর সার্টিফিকেট এবং তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিটের নমিনী সাংবাদিকদের দেখান।