ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

কোটচাঁদপুরে সেই আলোচিত অফিস সহায়ক রিনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে সাধারণ মানুষ

মোঃশহিদুল ইসলাম কোটচাঁদপুর(ঝিনাইদহ):  ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালের অভ্যান্তরে ঝোপে পাওয়া নবজাতকের ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত হাসপাতালের অফিস সহায়ক  রিনা খাতুনের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
শনিবার সকালে কোটচাঁদপুর হাসপাতাল গেটে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণকারী খায়রুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের অফিস সহায়ক রিনা খাতুন গ্রামের অতি সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতাল অভ্যান্তরে কোয়াটারে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১৯ জুলাই আমার এক ৭ মাসের সন্তান সম্ভবা আত্মীয়কে বলেন পেটের বাচ্চা মারা গেছে। পরের দিন তাকে গর্ভপাত ঘটায়ে জীবিত বাচ্চা পাশের বাগানে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে রোগীর অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন,ওই দিন ঝোপের মধ্যে জীবন্ত অবস্থায় শিশুটি পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পরও শিশুটি বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে জড় হয়ে রিনার বিচারের দাবী করে। বিকালে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ রিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে। পরের দিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। কয়েক দিন আগে অভিযুক্ত রিনা খাতুন প্রায় দেড় মাস জেল খাটার পর জামিনে এসেছেন। এখন তিনি বিভিন্ন জনের নামে মিথ্যা মামলা চাপানোর ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা তার এ অপকর্মের বিচার চাই।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারী হাসপাতাল এলাকার ক্লিনিক ব্যবসায়ী  জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রিনা খাতুনের গর্ভপাত ঘটানোর কাজ দীর্ঘ দিনের। অদৃশ্য কারণে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জেনেও তাকে কিছু বলেন না। আমরা তার চাকুরী চ্যুতি চাই। সেই সাথে এমন অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি চাই। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একই ঘটনার কারণে মামলা হয়।
মাসুদ হোসেন নামে এক গাড়ী চালক বলেন,  রিনা খাতুন সম্প্রতি জামিনে এসে মামলা ভিন্ন খাতে নিতে বিভিন্ন জনের দেখে নেয়ার হুমকী দিয়েছেন। এমনকি গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কয়েক জনের নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছেন আমরা তার জোরালো প্রতিবাদ করছি। পাশাপাশি তার অপকর্মের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, অভিযুক্ত রিনাকে ২০ জুলাই সময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে জামিনে এসে রিনার সংবাদ সম্মেলন করা বা অন্য কারুর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো তার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম বলেন, হাসপাতালের অফিস সহায়ক রিনার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ হাসপাতাল গেটে শান্তিপূর্ণ ভাবে মানব বন্ধন করেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। তিনি বলেন রিনার বিরুদ্ধে মামলা তদন্তধীন রয়েছে।
গত ২০ জুলাই হাসপাতালের অফিস সহায়ক রিনা খাতুন হাসপাতালের কোয়াটারে সে নিজে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ৭মাসের সন্তান সম্ভবা এক মহিলার গর্ভপাত ঘটান। পরে শিশুটি মৃত বলে পাশের একটি ঝোপে ফেলে দেন। পরে হাসপাতালের পাশের এক মহিলা ঝোপের মধ্যে একটি পলিথিন ব্যাগে শিশুটি কাঁদতে দেখে এলাকাবাসীকে খবর দিলে হাজার হাজার এলাকাবাসী রিনার কোয়াটার ঘেরাও করে প্রচন্ড রক্ত ক্ষরনে আশংকা জনক  অবস্থায় ভূক্ত ভোগী মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ রিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

কোটচাঁদপুরে সেই আলোচিত অফিস সহায়ক রিনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে সাধারণ মানুষ

আপডেট টাইম ০১:৩৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
মোঃশহিদুল ইসলাম কোটচাঁদপুর(ঝিনাইদহ):  ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালের অভ্যান্তরে ঝোপে পাওয়া নবজাতকের ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত হাসপাতালের অফিস সহায়ক  রিনা খাতুনের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
আরো পড়ুন : অপরাধী যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার সকালে কোটচাঁদপুর হাসপাতাল গেটে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণকারী খায়রুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের অফিস সহায়ক রিনা খাতুন গ্রামের অতি সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতাল অভ্যান্তরে কোয়াটারে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১৯ জুলাই আমার এক ৭ মাসের সন্তান সম্ভবা আত্মীয়কে বলেন পেটের বাচ্চা মারা গেছে। পরের দিন তাকে গর্ভপাত ঘটায়ে জীবিত বাচ্চা পাশের বাগানে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে রোগীর অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন,ওই দিন ঝোপের মধ্যে জীবন্ত অবস্থায় শিশুটি পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পরও শিশুটি বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে জড় হয়ে রিনার বিচারের দাবী করে। বিকালে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ রিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে। পরের দিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। কয়েক দিন আগে অভিযুক্ত রিনা খাতুন প্রায় দেড় মাস জেল খাটার পর জামিনে এসেছেন। এখন তিনি বিভিন্ন জনের নামে মিথ্যা মামলা চাপানোর ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা তার এ অপকর্মের বিচার চাই।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারী হাসপাতাল এলাকার ক্লিনিক ব্যবসায়ী  জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রিনা খাতুনের গর্ভপাত ঘটানোর কাজ দীর্ঘ দিনের। অদৃশ্য কারণে হাসপাতাল কতৃপক্ষ জেনেও তাকে কিছু বলেন না। আমরা তার চাকুরী চ্যুতি চাই। সেই সাথে এমন অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি চাই। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একই ঘটনার কারণে মামলা হয়।
মাসুদ হোসেন নামে এক গাড়ী চালক বলেন,  রিনা খাতুন সম্প্রতি জামিনে এসে মামলা ভিন্ন খাতে নিতে বিভিন্ন জনের দেখে নেয়ার হুমকী দিয়েছেন। এমনকি গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কয়েক জনের নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছেন আমরা তার জোরালো প্রতিবাদ করছি। পাশাপাশি তার অপকর্মের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, অভিযুক্ত রিনাকে ২০ জুলাই সময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে জামিনে এসে রিনার সংবাদ সম্মেলন করা বা অন্য কারুর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো তার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম বলেন, হাসপাতালের অফিস সহায়ক রিনার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ হাসপাতাল গেটে শান্তিপূর্ণ ভাবে মানব বন্ধন করেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। তিনি বলেন রিনার বিরুদ্ধে মামলা তদন্তধীন রয়েছে।
গত ২০ জুলাই হাসপাতালের অফিস সহায়ক রিনা খাতুন হাসপাতালের কোয়াটারে সে নিজে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ৭মাসের সন্তান সম্ভবা এক মহিলার গর্ভপাত ঘটান। পরে শিশুটি মৃত বলে পাশের একটি ঝোপে ফেলে দেন। পরে হাসপাতালের পাশের এক মহিলা ঝোপের মধ্যে একটি পলিথিন ব্যাগে শিশুটি কাঁদতে দেখে এলাকাবাসীকে খবর দিলে হাজার হাজার এলাকাবাসী রিনার কোয়াটার ঘেরাও করে প্রচন্ড রক্ত ক্ষরনে আশংকা জনক  অবস্থায় ভূক্ত ভোগী মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ রিনা খাতুনকে গ্রেফতার করে।