ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁয়ের ছেলে ‘টেন্ডার শামীম’ ১০ কোটি টাকা, ২শ কোটির এফডিআর চেকসহ গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসময় তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মাদক, নগদ অর্থ ও প্রায় ২শ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন : মাদক ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: তথ্যমন্ত্রী

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাজধানীর গুলশান নিকেতন ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে শামীমের কার্যালয় ঘিরে অভিযান চালায় র‌্যাব।

কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র, মাদক, নগদ ১০ কোটি টাকা ও প্রায় ২শ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়।

সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ গ্রেফতার হওয়া জিকে শামীম এক সময় ছিলেন বিএনপির যুব সংগঠন যুবদল নেতা। পরে ভোল বদলে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগে। বাগিয়ে নেন দলের পদ। হয়ে ওঠেন প্রভাবশালী নেতা, বাগাতে থাকেন সরকারি টেন্ডার। এক সময় তার নামই হয়ে যায়, টেন্ডার শামীম।

যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিকে শামীম এক সময় যুবদল করতেন। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকও ছিলেন। ছিলেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ডান হাত। কিন্তু সদা ক্ষমতাপিয়াসী শামীম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পাল্টাতে থাকেন ভোল।

যুবদল ছেড়ে ভিড়তে থাকেন যুবলীগের দিকে। এক সময় পান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের পদ। তবে যুবলীগের নেতারা বলছেন আসলে তার যুবলীগের কোনো পদ নেই। তিনি নিজে নিজেই যুবলীগের নেতা এবং কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক দাবি করতেন। আবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেও শোনা যাচ্ছে।

যুবলীগের সংগঠনটির শিক্ষা সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু বলছেন, শামীম যুবলীগের কেউ নন, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

প্রতিটি সরকারি কাজের টেন্ডার ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এক সময় তিনি ‘টেন্ডার শামীম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সব সময় তার সঙ্গে রাখতেন ছয়জন অস্ত্রধারী দেহরক্ষী।

জিকে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর তার বিষয়ে জানতে চাইলে যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ কোনো কথা বলতে চাননি।

জিকে শামীম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সান্মান্দি ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, জিকে শামীম জেলা আওয়ামীলীগের কেউ নন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

সোনারগাঁয়ের ছেলে ‘টেন্ডার শামীম’ ১০ কোটি টাকা, ২শ কোটির এফডিআর চেকসহ গ্রেফতার

আপডেট টাইম ০১:৫৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে। এসময় তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মাদক, নগদ অর্থ ও প্রায় ২শ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন : মাদক ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: তথ্যমন্ত্রী

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাজধানীর গুলশান নিকেতন ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে শামীমের কার্যালয় ঘিরে অভিযান চালায় র‌্যাব।

কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র, মাদক, নগদ ১০ কোটি টাকা ও প্রায় ২শ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়।

সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ গ্রেফতার হওয়া জিকে শামীম এক সময় ছিলেন বিএনপির যুব সংগঠন যুবদল নেতা। পরে ভোল বদলে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগে। বাগিয়ে নেন দলের পদ। হয়ে ওঠেন প্রভাবশালী নেতা, বাগাতে থাকেন সরকারি টেন্ডার। এক সময় তার নামই হয়ে যায়, টেন্ডার শামীম।

যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিকে শামীম এক সময় যুবদল করতেন। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকও ছিলেন। ছিলেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ডান হাত। কিন্তু সদা ক্ষমতাপিয়াসী শামীম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পাল্টাতে থাকেন ভোল।

যুবদল ছেড়ে ভিড়তে থাকেন যুবলীগের দিকে। এক সময় পান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের পদ। তবে যুবলীগের নেতারা বলছেন আসলে তার যুবলীগের কোনো পদ নেই। তিনি নিজে নিজেই যুবলীগের নেতা এবং কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক দাবি করতেন। আবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেও শোনা যাচ্ছে।

যুবলীগের সংগঠনটির শিক্ষা সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু বলছেন, শামীম যুবলীগের কেউ নন, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

প্রতিটি সরকারি কাজের টেন্ডার ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এক সময় তিনি ‘টেন্ডার শামীম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সব সময় তার সঙ্গে রাখতেন ছয়জন অস্ত্রধারী দেহরক্ষী।

জিকে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর তার বিষয়ে জানতে চাইলে যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ কোনো কথা বলতে চাননি।

জিকে শামীম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সান্মান্দি ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, জিকে শামীম জেলা আওয়ামীলীগের কেউ নন।