ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মশার কামড়ে দিশেহারা ডেমরা কোনাপাড়ার এলাকাবাসী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কোনো চাপ নেই : ইসি আলমগীর “নাদিহা আলীর মৃত্যতে বসুন্ধরা পরিবারের শোক” বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচিত : তথ্যমন্ত্রী বাকেরগঞ্জে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক।। “শালবন ইকো রিসোর্ট অংশ নিচ্ছে ২২তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো তে” “সিটি গ্রুপ নারী কাবাডি লিগে পুলিশ চ্যাম্পিয়ন” গজারিয়ায় ভবেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গজারিয়া উপজেলা সরকারি দুই দপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীর নৌকার বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই : কৃষিমন্ত্রী

২৫টি ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়েছেন মুশফিক

মুশফিকুর রহিমের বাঁ পাঁজরের ৯ নম্বর হাড়টা ভেঙে গেছে। এমন একটা জায়গা, যেখানে ইনজেকশনও দেওয়া যায় না। টেপ লাগিয়ে, ট্যাবলেট খেয়ে খেলতে হয়। দিনে ৬টির মতো করে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে, দুবাইয়ের তীব্র গরমে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলেছেন মুশফিক

উইকেটকিপিং অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পান ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু চোটটা এমন এক জায়গায় যে সেখানে ইনজেকশন দেওয়া যায় না। আবার যায় না ব্যান্ডেজ করাও। মুশফিকুর রহিম তাই নিজেকে খেলার মতো ফিট রাখছেন ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়ে।

‘গত চার দিনে ২৫টির মতো ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়েছি। এভাবেই খেলছি।’ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছেন পরশু দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যান। চোট সম্পর্কে জানতে চাইলে মুশফিক জানিয়েছেন, ‘বাঁ পাঁজরের ৯ নম্বর হাড়টা ভেঙে গেছে। এখনো ওটা ভাঙাই আছে। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে ইনজেকশনও দেওয়া যায় না। টেপ লাগিয়ে, ট্যাবলেট খেয়ে যতটুকু খেলা যায়। কাল (পরশু) তো পুরো ইনিংসেই সমস্যা হয়েছে। শট খেলতে গেলেই ওখানে লেগেছে।’

তবে নিজের ব্যথা মুশফিক ভুলে যাচ্ছেন তামিম ইকবালের সাহস দেখে, ‘ওর কিন্তু এক জায়গায় ভাঙেনি। দুই-তিন জায়গায় ভেঙেছে। ওই অবস্থায় খেলতে নামাটা অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত এবং তামিম নিজেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। দেশের প্রতি, খেলার প্রতি তার যে প্রতিজ্ঞা আর নিবেদন, এটা তা-ই প্রমাণ করে। ওকে দেখে সে জন্যই অন্য রকম একটা তাড়না কাজ করেছে আমার মধ্যে। আর কিছু না হোক, তামিমের জন্য হলেও আমাকে ২৫-২৬টা রান করতে হবে যাতে আমরা লড়াই করতে পারি।’

মুশফিক মনে করেন, দলের প্রতি সবার আত্মনিবেদনই অনেক। কিন্তু নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার এই ছবিটা সব সময় সেভাবে তুলে ধরা হয় না, ‘তামিমের সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বেই অনেক সম্মান পাবে। দলের প্রতি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের যে নিবেদন, সেটা আসলে খুব কম মানুষই জানে। গ্রায়েম স্মিথ সিডনিতে ভাঙা হাত নিয়ে খেলতে নামলে বিরাট ব্যাপার হয়ে যায়, কিন্তু আমাদের তামিম নামলে কিছু হয় না। আফসোসটা এ জায়গাতেই। হয়তো আমরা বাংলাদেশ দলে খেলি বলেই আমাদের নিয়ে ওই রকম আলোচনা হয় না। তবে আমরা নিজেরা অন্তত জানি কে কী রকম। দলের মধ্যে আমরা সবাই সবাইকে সম্মান করি। এটাই আমাদের আনন্দ

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মশার কামড়ে দিশেহারা ডেমরা কোনাপাড়ার এলাকাবাসী।

২৫টি ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়েছেন মুশফিক

আপডেট টাইম ১২:৩২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
মুশফিকুর রহিমের বাঁ পাঁজরের ৯ নম্বর হাড়টা ভেঙে গেছে। এমন একটা জায়গা, যেখানে ইনজেকশনও দেওয়া যায় না। টেপ লাগিয়ে, ট্যাবলেট খেয়ে খেলতে হয়। দিনে ৬টির মতো করে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে, দুবাইয়ের তীব্র গরমে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলেছেন মুশফিক

উইকেটকিপিং অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পান ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু চোটটা এমন এক জায়গায় যে সেখানে ইনজেকশন দেওয়া যায় না। আবার যায় না ব্যান্ডেজ করাও। মুশফিকুর রহিম তাই নিজেকে খেলার মতো ফিট রাখছেন ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়ে।

‘গত চার দিনে ২৫টির মতো ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়েছি। এভাবেই খেলছি।’ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছেন পরশু দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যান। চোট সম্পর্কে জানতে চাইলে মুশফিক জানিয়েছেন, ‘বাঁ পাঁজরের ৯ নম্বর হাড়টা ভেঙে গেছে। এখনো ওটা ভাঙাই আছে। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে ইনজেকশনও দেওয়া যায় না। টেপ লাগিয়ে, ট্যাবলেট খেয়ে যতটুকু খেলা যায়। কাল (পরশু) তো পুরো ইনিংসেই সমস্যা হয়েছে। শট খেলতে গেলেই ওখানে লেগেছে।’

তবে নিজের ব্যথা মুশফিক ভুলে যাচ্ছেন তামিম ইকবালের সাহস দেখে, ‘ওর কিন্তু এক জায়গায় ভাঙেনি। দুই-তিন জায়গায় ভেঙেছে। ওই অবস্থায় খেলতে নামাটা অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত এবং তামিম নিজেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। দেশের প্রতি, খেলার প্রতি তার যে প্রতিজ্ঞা আর নিবেদন, এটা তা-ই প্রমাণ করে। ওকে দেখে সে জন্যই অন্য রকম একটা তাড়না কাজ করেছে আমার মধ্যে। আর কিছু না হোক, তামিমের জন্য হলেও আমাকে ২৫-২৬টা রান করতে হবে যাতে আমরা লড়াই করতে পারি।’

মুশফিক মনে করেন, দলের প্রতি সবার আত্মনিবেদনই অনেক। কিন্তু নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার এই ছবিটা সব সময় সেভাবে তুলে ধরা হয় না, ‘তামিমের সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বেই অনেক সম্মান পাবে। দলের প্রতি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের যে নিবেদন, সেটা আসলে খুব কম মানুষই জানে। গ্রায়েম স্মিথ সিডনিতে ভাঙা হাত নিয়ে খেলতে নামলে বিরাট ব্যাপার হয়ে যায়, কিন্তু আমাদের তামিম নামলে কিছু হয় না। আফসোসটা এ জায়গাতেই। হয়তো আমরা বাংলাদেশ দলে খেলি বলেই আমাদের নিয়ে ওই রকম আলোচনা হয় না। তবে আমরা নিজেরা অন্তত জানি কে কী রকম। দলের মধ্যে আমরা সবাই সবাইকে সম্মান করি। এটাই আমাদের আনন্দ