ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

রাজাপুরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ভর্তি নয় জন

মোঃ সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৯ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চার জন নারী ও পাঁচ জন পুরুষ রয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত উপজেলার দুটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে ১৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আট জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা বরিশাল শেবাচিম সহ বিভিন্ন স্থানে সেবা নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই উপজেলায় ডেঙ্গু পরীক্ষার প্রয়োজনীয় রি-এজেন্টের সংকট হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু পরীক্ষার (এনএস-১) কিট, (আইজিজি ও আইজিএম) কিট এবং সিবিসির রি-এজেন্টের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে নেই কোন আয়োজন। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি আর কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ৮ জন ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর এদের মধ্যে ৪ জন ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন আর বাকী ৫ জনই এলাকায় বসেই আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীরা হলেন, মসিউর, ফাতেমা বেগম, এনামুল, আশিক, সোলায়মান, নাঈম, লাইলি বেগম, হোসেন খান ও মুকুল বেগম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আট জনকে অভজার্ভে রেখেছি। আমাদের সাধ্যমতো রোগীদের সেবা করছি। তবে এডিস মসা নিধনের জন্য আমাদের উপজেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো ধ্বংসে সফলতা পাওয়া না গেলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব আরো বাড়তে পারে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ ইমরান শাহারিয়ার জানান, আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ঝোপঝাড়, পানি নিস্কাশনসহ বিভিন্ন পড়ামর্শ দিয়েছি। তবে স্প্রে করার জন্য মেডিশিন না পাওয়ায় স্প্রে করা সম্ভব হয়নি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

রাজাপুরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ভর্তি নয় জন

আপডেট টাইম ১১:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯

মোঃ সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৯ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চার জন নারী ও পাঁচ জন পুরুষ রয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত উপজেলার দুটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে ১৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আট জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা বরিশাল শেবাচিম সহ বিভিন্ন স্থানে সেবা নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই উপজেলায় ডেঙ্গু পরীক্ষার প্রয়োজনীয় রি-এজেন্টের সংকট হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু পরীক্ষার (এনএস-১) কিট, (আইজিজি ও আইজিএম) কিট এবং সিবিসির রি-এজেন্টের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে নেই কোন আয়োজন। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি আর কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ৮ জন ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর এদের মধ্যে ৪ জন ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন আর বাকী ৫ জনই এলাকায় বসেই আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীরা হলেন, মসিউর, ফাতেমা বেগম, এনামুল, আশিক, সোলায়মান, নাঈম, লাইলি বেগম, হোসেন খান ও মুকুল বেগম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আট জনকে অভজার্ভে রেখেছি। আমাদের সাধ্যমতো রোগীদের সেবা করছি। তবে এডিস মসা নিধনের জন্য আমাদের উপজেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো ধ্বংসে সফলতা পাওয়া না গেলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব আরো বাড়তে পারে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ ইমরান শাহারিয়ার জানান, আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় ঝোপঝাড়, পানি নিস্কাশনসহ বিভিন্ন পড়ামর্শ দিয়েছি। তবে স্প্রে করার জন্য মেডিশিন না পাওয়ায় স্প্রে করা সম্ভব হয়নি।