আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালি উল্যাহ সরকারের জানাজায় হাজার হাজার মুসুল্লীরা অংশগ্রহন করছে। ওয়ালী উল্যাগ সরকার ২৬ জুলাই শুক্রবার ৪.৩০ মিনিটে তার নিজ বাসায় ষ্টোক করলে দ্রুত মতলব উওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে তাকে শেষ দেখা দেখতে আসেন এলাকা সর্বদলীয় নেতাকর্মিরা । ২৭ জুলাই ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) শুভাশীষ ঘোষ ও মতলব উওর থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ পুলিশ তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। জানাজা অনুষ্টানে জেলা ছাএলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল-মামুদ টিটু মোল্লার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর – ২ আসনের সাংসদ এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাবেক ভাইসচ্যান্সেলর ড. আমিনুল হক, মরহুমের মেজো ছেলে কেন্দ্রীয় ছাএলীগের সাবেক নেতা আরিফুল ইসলাম সরকার, উপজেলা আওয়ামীলের সভাপতি এ্যাডভোকেট রুহুল আমিন সরকার, উপজেলা আওয়মীগের সহ-সভাপতি শহীদউল্লা প্রধান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতা নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ছেংগারচর বাজারের ব্যাবসায়ী ও দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ওয়ালি উল্যাহ সরকার মৃত্যুকালে তার বয়স ৮৪ বছর। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ছেংগারচর পৌরসভাস্থ বালুরচর গ্রামে ওয়ালি উল্যাহ সরকার জন্মগ্রহন করেন। সাবেক ছেংগারচর ইউনিয়নকে পৌরসভা গঠনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরবর্তীতে ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি । মতলব উওর উপজেলা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রতা সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। তাঁর পরিবার ছেংগারচর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিদাতা। তিনি ছেংগারচর সরকারী ডিগ্রী কলেজ ও ছেংগারচর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানিজং কমিটির সদস্য ছিলেন।