ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। টাঙ্গাইলে এইচআইভি ও এইডস রোগের সচেতনতা সৃষ্টিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ বগুড়া শিবগঞ্জে নাতির রাম দা’র কোপে নানী খুন ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত।

চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও আমন ধান চাষে ব্যস্তসময় পার করছে চৌগাছার চাষিরা

মোঃ মহিদুল ইসলাস, চৌগাছা(যশোর) যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজারো চাষিরা চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও চলতি আমন ধান চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজারো কৃষকরা ইতি মধ্যে আমন ধান চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

উপজেলার  অনেক কৃষকরা বৃষ্টির পানির ভরসা না করে সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপন করেছেন। ফলে একদিকে বাড়ছে ধানের বাড়তি খরচ,  অন্যদিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।

বিগত কয়েক শত বছরের হিসাব অনুসারে  আগের সময়ে সাধারণ কৃষকেরা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে জমি চাষ করতো,  বর্তমানে আবহাওয়া ভালো না থাকায় সেটা সম্ভাব হয়নি। আষাঢ় মাস চলে গেলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি,  মাঝে মাঝে হালকা একটু বৃষ্টির দেখা মেলে। যা ধান চাষের জন্য উপযুক্ত নয়।

চৌগাছা উপজেলার কৃষি অফিসে কর্মরত মোঃ তরিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে জানান, এ বছর অত্র উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ ৫০০ হেক্টর বিঘা জমি, কিন্তু বৃষ্টি না হবার কারণে এখনও অনেক জমি ধান রোপনের উপযুক্ত করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, গতবার একই পরিমাণ জমিতে ধান চাষের জন্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ  করা হয়েছিল কিন্তু এবার কম বেশি হতে পারে।

বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি করে ধানের চারা তৈরি করলেও পানির অভাবে রোপন করতে পারছেন না এ অঞ্চালের কৃষকরা,  ফলে কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা ও হতাশা।

সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করতে কৃষকের পকেট থেকে খরচ হচ্ছে বাড়তি টাকা, এমনিতেই গত বোর ধান চাষ করে উপজেলার অনেক চাষিই ধান বিক্রয় করতে পারেনি।  অনেকে আবার ধান বিক্রয় করতে পেলেও তিন চার মাস আড়ৎদার থেকে ধানের টাকা আদায় করতে পারেনি। ঘনঘন ধানের দাম কমে যাবার ফলে এক প্রকার ধান কেনা বেচা কমেই গেছে।

একে তো ধান উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি তার পরেও তুলনা মূলক ধানের দাম কম থাকায় সাধারণ কৃষকদের এবার ধান চাষে আগ্রহ অনেক কম।

উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের গরিবপুর গ্রামের সন্তোষ সাহার ছেলে পোল্লাদ সাহা এ প্রতিবেদকে জানান, পানির অভাবে তিন বিঘা জমির মধ্যে এক বিঘা জমির ধান ও চাষ করতে পারিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ জুরে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। মুরাদনগর উপজেলা মোট-১৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও আমন ধান চাষে ব্যস্তসময় পার করছে চৌগাছার চাষিরা

আপডেট টাইম ০৬:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯
মোঃ মহিদুল ইসলাস, চৌগাছা(যশোর) যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজারো চাষিরা চরম অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যেও চলতি আমন ধান চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজারো কৃষকরা ইতি মধ্যে আমন ধান চাষের জন্য জমির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

উপজেলার  অনেক কৃষকরা বৃষ্টির পানির ভরসা না করে সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপন করেছেন। ফলে একদিকে বাড়ছে ধানের বাড়তি খরচ,  অন্যদিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।

বিগত কয়েক শত বছরের হিসাব অনুসারে  আগের সময়ে সাধারণ কৃষকেরা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে জমি চাষ করতো,  বর্তমানে আবহাওয়া ভালো না থাকায় সেটা সম্ভাব হয়নি। আষাঢ় মাস চলে গেলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি,  মাঝে মাঝে হালকা একটু বৃষ্টির দেখা মেলে। যা ধান চাষের জন্য উপযুক্ত নয়।

চৌগাছা উপজেলার কৃষি অফিসে কর্মরত মোঃ তরিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদকে জানান, এ বছর অত্র উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ ৫০০ হেক্টর বিঘা জমি, কিন্তু বৃষ্টি না হবার কারণে এখনও অনেক জমি ধান রোপনের উপযুক্ত করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, গতবার একই পরিমাণ জমিতে ধান চাষের জন্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ  করা হয়েছিল কিন্তু এবার কম বেশি হতে পারে।

বিদ্যুতচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে বীজতলা তৈরি করে ধানের চারা তৈরি করলেও পানির অভাবে রোপন করতে পারছেন না এ অঞ্চালের কৃষকরা,  ফলে কৃষকের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা ও হতাশা।

সেচ পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করতে কৃষকের পকেট থেকে খরচ হচ্ছে বাড়তি টাকা, এমনিতেই গত বোর ধান চাষ করে উপজেলার অনেক চাষিই ধান বিক্রয় করতে পারেনি।  অনেকে আবার ধান বিক্রয় করতে পেলেও তিন চার মাস আড়ৎদার থেকে ধানের টাকা আদায় করতে পারেনি। ঘনঘন ধানের দাম কমে যাবার ফলে এক প্রকার ধান কেনা বেচা কমেই গেছে।

একে তো ধান উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি তার পরেও তুলনা মূলক ধানের দাম কম থাকায় সাধারণ কৃষকদের এবার ধান চাষে আগ্রহ অনেক কম।

উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের গরিবপুর গ্রামের সন্তোষ সাহার ছেলে পোল্লাদ সাহা এ প্রতিবেদকে জানান, পানির অভাবে তিন বিঘা জমির মধ্যে এক বিঘা জমির ধান ও চাষ করতে পারিনি।