সিনিয়র রিপোর্টার,ঢাকা: সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দলনেতা ও সহযোগী আটক করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর সিআইডি হেড কোয়াটারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিআইডি দক্ষিণের এস এস মোঃ কামরুজ্জামান। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- মোঃ আলতাফ হোসেন (৪৮) এবং তার সহযোগী শরিফুল ইসলাম (৫৮) সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, রাজধানীর বাড্ডা থানার সাতারকুল এলাকা হতে এই সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্রের দলনেতা ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময় আসামিদের নিকট হইতে পারে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ছবি তিনটি মোবাইল ফোন একটি ডেস্কটপ ও টাকা লেনদেনের চেক বই উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়েছে।উক্ত সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারকচক্র দলের অন্যান্য সদস্যদের আটক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত আরো উপকরণ জব্দের চেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দলের দলনেতা মোঃ আলতাফ হোসেন নিজেকে আমেরিকা প্রবাসী বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার যার সাথে আমেরিকার রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠতা,এমনকি বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের শহীদ সুসম্পর্ক রয়েছে বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আমেরিকা ভিসা করিয়ে দিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দিবে সাধারন লোকদের করে অপরাধজনক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে এসএস কামরুজ্জামান বলেন,এই প্রতারক চক্র নিজেদেরকে বাংলাদেশে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত আনোয়ারা জাস্টিস বৃদ্ধাশ্রমের মালামাল সাপ্লায়ার নামে ও তাদের আমেরিকা আমেরিকাস্ত, নিজস্ব বেসরকারি বিমান সংস্থা,ভেলা অ্যাসোসিয়েটস নামীও কোম্পানিতে লোক নিয়োগ ও নিজস্ব মার্কেটে কর্মচারী এবং মসজিদের ইমাম নিয়োগের কথা বলে ২০১৮ সালের সরলমনা নিরীহ ব্যক্তি শাহ আলম, শামীম বাসার, ফুয়াদ,মওদুদ, সাইফুল ইসলাম,ইয়াসিন মোল্লা,আতিয়ার রহমান, আল আমিন,আবুল কালাম,খালেকুজ্জামান,তরিকুল ইসলাম,শাহজাহান আলীদের নিকট হতে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করে। সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন,ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মোঃ শামীম বাসার উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির দক্ষিণের পুলিশ সুপার বলেন,আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করছি। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিবান কান্তি সরকার, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আজিজুল হক ও এই মামলার আইও সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর মনির হোসেন কামাল প্রমুখ।