ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার ৩ বছর পূর্তি আজ

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজানে রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী জঙ্গিরা আচমকা হামলা চালায়। এতে দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জন নিহত হন। এ হামলা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলা ছিল।

১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজানে হামলায় নিহতদের মধ্যে জাপানের নাগরিক, আর্জেন্টিনার নাগরিক, ইতালির নাগরিক ও ভারতের নাগরিক ছিলো।

সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

হামলাকারী জঙ্গিরা হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।

এ ঘটনায় ৪ জুলাই গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে অবশ্য তাহমিদকে গুলশান মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশকে অসহযোগিতার মামলা দেয় পুলিশ। সেই মামলায় তাহমিদ ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে খালাস পান।

তদন্ত সংস্থা সিটিটিসি সূত্র জানিয়েছে, হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে গত বছরের জুলাই মাসে। মামলার তদন্তে এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তারা হলেন তামিম চৌধুরী, সরোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমান, তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদ, নূরুল ইসলাম মারজান, বাশারুজ্জামান চকোলেট, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান, মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম, রায়হান কবির ওরফে তারেক, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিরবাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম উজ্জল ওরফে বিকাশ, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদীসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরীফুল ইসলাম খালিদ।

এই ২১ জনের মধ্যে ১৩জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। বাকি আটজনকে সরাসরি অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী, রকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিছুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু শুরু হয়েছে।

অভিযোগ গঠনের পর গত সাত মাসে এ মামলায় মোট ৬০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে এবং মামলাটি শিগগিরই নিষ্পত্তি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার ৩ বছর পূর্তি আজ

আপডেট টাইম ০৫:১৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজানে রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী জঙ্গিরা আচমকা হামলা চালায়। এতে দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জন নিহত হন। এ হামলা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলা ছিল।

১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজানে হামলায় নিহতদের মধ্যে জাপানের নাগরিক, আর্জেন্টিনার নাগরিক, ইতালির নাগরিক ও ভারতের নাগরিক ছিলো।

সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

হামলাকারী জঙ্গিরা হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।

এ ঘটনায় ৪ জুলাই গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে অবশ্য তাহমিদকে গুলশান মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশকে অসহযোগিতার মামলা দেয় পুলিশ। সেই মামলায় তাহমিদ ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে খালাস পান।

তদন্ত সংস্থা সিটিটিসি সূত্র জানিয়েছে, হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে গত বছরের জুলাই মাসে। মামলার তদন্তে এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তারা হলেন তামিম চৌধুরী, সরোয়ার জাহান ওরফে আব্দুর রহমান, তানভীর কাদেরী ওরফে জামসেদ, নূরুল ইসলাম মারজান, বাশারুজ্জামান চকোলেট, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান, মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম, রায়হান কবির ওরফে তারেক, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিরবাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম উজ্জল ওরফে বিকাশ, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলামুল ইসলাম ওরফে রাশেদ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদীসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরীফুল ইসলাম খালিদ।

এই ২১ জনের মধ্যে ১৩জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। বাকি আটজনকে সরাসরি অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী, রকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিছুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু শুরু হয়েছে।

অভিযোগ গঠনের পর গত সাত মাসে এ মামলায় মোট ৬০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে এবং মামলাটি শিগগিরই নিষ্পত্তি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।