ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে চসিক ও সিএমপি নির্বাচনী ছড়া বাড়ছে সাংবাদিক কমছে সাংবাদিকতা-মোঃ রাব্বী মেল্লা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাতুয়াইলে বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও আহত ২ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা অন্যতম প্রধান শর্ত। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করাই ‘ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’র (এফইএমবিওএসএ) মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সংসদ। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরী।
আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’ (এফইএমবিওএসএ)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ফেমবোসা’র (এফইএমবিওএসএ) সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিবর্গকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।
আফগানিস্তান নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ও ফেমবোসার বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. গোলাজান এ. বাদি সাইদ এবং বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বক্তব্য রাখেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবম ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’র উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি ফেমবোসার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ভূটানের নির্বাচন কমিশন সচিব দাউয়া তানজিন, ভারতের নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, মালদ্বীপের এম্বাসেডর এশাথ শান শাকির, নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা. আইয়োদী প্রাশাদ জাদেভ, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহ ফয়সাল কাকার, শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান মাহিন্দ্রা দেশাপ্রিয়াসহ বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনারগণ এবং দেশি-বিদেশী প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সেই কারণে কিনি জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারিগরী উদ্ভাবন, ওয়েরসাইট ডিজাইন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন খুব নিকটে উল্লেখ করে বলেন, ইতোমধ্যে কমিশন স্মার্ট কার্ডসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ফেমবোসার এ ধরনের সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়া দেশসমূহের মাঝে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক জ্ঞান লাভে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা আনয়নে ফেমবোসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
স্পিকার আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ২লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ বিজয় ছিনিয়ে আনে। এখন তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রথম ধাপ ইন্দুরকানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইভিএম ভোট কেন্দ্র

অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি

আপডেট টাইম ১১:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা অন্যতম প্রধান শর্ত। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করাই ‘ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’র (এফইএমবিওএসএ) মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সংসদ। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরী।
আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’ (এফইএমবিওএসএ)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ফেমবোসা’র (এফইএমবিওএসএ) সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিবর্গকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।
আফগানিস্তান নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ও ফেমবোসার বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. গোলাজান এ. বাদি সাইদ এবং বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বক্তব্য রাখেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবম ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’র উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি ফেমবোসার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ভূটানের নির্বাচন কমিশন সচিব দাউয়া তানজিন, ভারতের নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, মালদ্বীপের এম্বাসেডর এশাথ শান শাকির, নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা. আইয়োদী প্রাশাদ জাদেভ, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহ ফয়সাল কাকার, শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান মাহিন্দ্রা দেশাপ্রিয়াসহ বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনারগণ এবং দেশি-বিদেশী প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সেই কারণে কিনি জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারিগরী উদ্ভাবন, ওয়েরসাইট ডিজাইন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন খুব নিকটে উল্লেখ করে বলেন, ইতোমধ্যে কমিশন স্মার্ট কার্ডসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ফেমবোসার এ ধরনের সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়া দেশসমূহের মাঝে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক জ্ঞান লাভে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা আনয়নে ফেমবোসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
স্পিকার আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ২লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ বিজয় ছিনিয়ে আনে। এখন তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।