ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

মাঠে প্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতি দেখে অবাক টেলর

মাতৃভূমরি খবর ডেক্স : মাঠের নাম না জানা থাকলে যে কেউ দ্বিধায় পড়ে যেতে বাধ্য। লন্ডনের কেনিংটন ওভাল নাকি ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা?- প্রশ্নটাও করে ফেলতে পারে কেউ কেউ। এমন প্রশ্ন করলে অবশ্য তাদের দোষ দেয়া যাবে না মোটেও।

দেশে মজা করেই সিলেট শহরকে বলা হয়, ‘বাংলার লন্ডন’। তবে কথাটি যে প্রায় অনেকখানিই সত্য, তার প্রমাণ মিলছে এবারের বিশ্বকাপে, বাংলাদেশের ম্যাচের দিনগুলোতে। বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম দুই ম্যাচই ছিলো লন্ডনে, কেনিংটন ওভালে।

গত ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আগের ম্যাচেও ওভাল ছিল দর্শকে ভরা। বাংলাদেশের সমর্থকে ঠাসা। প্রবাসী বাঙালি আর দেশ থেকে খেলা দেখতে যাওয়া সমর্থক-ভক্তদের গগনবিদারী চিৎকার, হাততালি, বাংলাদেশ-বাংলাদেশ, সাকিব-সাকিব ধ্বনিতে বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছিল ওভালের আকাশ বাতাস।

আজও (বুধবার) একই অবস্থা। সেই দুপুর দেড়টায় খেলা শুরুর অন্তত আড়াই ঘন্টা আগে থেকে লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাতাল রেল (টিউব), বাস, প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সিতে চেপে ওভালে এসে সমবেত হয় অন্তত ১৫ হাজার বাঙালি। তাদের বেশির ভাগেরই পরনে বাংলাদেশের সবুজ জার্সি। অনেকেরই হাতে ছোট বড় জাতীয় পতাকা।

আর একারণেই দ্বিধায় পড়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান রস টেলরও। দলকে জেতানোর পথে ৯১ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলা টেলরের মনে হচ্ছিলো তিনি যেন খেলছেন বাংলাদেশের ঢাকা বা চট্টগ্রামে। সুদূর ইংল্যান্ডেও বাংলাদেশের এতো দর্শক সমাগম দেখে বেশ অবাকই হন টেলর।

Taylor

নিজের ম্যাচসেরার পুরষ্কার গ্রহণ করে টেলর বলেন, ‘সত্যি বললে শেষদিকে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে বাংলাদেশকে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। বিশেষ করে তাদের সমর্থকদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিলো আমরা ঢাকা বা চট্টগ্রামে খেলছি। তারা আমাদের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাচটা যেকোনো দিকেই যেতে পারতো।’

এসময় বাংলাদেশের সংগ্রহকে ২৪৪ রানে আটকে রাখতে পারায় নিজ দলের বোলারদের বাহবা দেন টেলর। কারণ তারা মনে করছিলেন ২৭০-২৮০ রান এ উইকেটে হবে ভালো সংগ্রহ।

টেলরের ভাষ্যে, ‘আমি মনে করি বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তাদের গড়পড়তা স্কোরের নিচে আটকে রেখেছে। আমরা ধরে রেখেছিলাম এ উইকেটে ২৭০-২৮০ রান হয়েই যাবে। কিন্তু বোলাররা দারুণ করেছে। শেষপর্যন্ত ম্যাচ জিততে পেরে ভালো লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট নিয়ে কাজ করতে হবে। বেশ কিছু ক্লোজ কল ছিলো। যেগুলো এদিক ওদিক হলেই ফল বদলে যেতে পারত। আমি ব্যক্তিগতভাবে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ব্যাটিং করতে ভালোবাসি। আশা করি আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে এটি (রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট) ঠিক হয়ে যাবে।’

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

মাঠে প্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতি দেখে অবাক টেলর

আপডেট টাইম ০৫:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০১৯

মাতৃভূমরি খবর ডেক্স : মাঠের নাম না জানা থাকলে যে কেউ দ্বিধায় পড়ে যেতে বাধ্য। লন্ডনের কেনিংটন ওভাল নাকি ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা?- প্রশ্নটাও করে ফেলতে পারে কেউ কেউ। এমন প্রশ্ন করলে অবশ্য তাদের দোষ দেয়া যাবে না মোটেও।

দেশে মজা করেই সিলেট শহরকে বলা হয়, ‘বাংলার লন্ডন’। তবে কথাটি যে প্রায় অনেকখানিই সত্য, তার প্রমাণ মিলছে এবারের বিশ্বকাপে, বাংলাদেশের ম্যাচের দিনগুলোতে। বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম দুই ম্যাচই ছিলো লন্ডনে, কেনিংটন ওভালে।

গত ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আগের ম্যাচেও ওভাল ছিল দর্শকে ভরা। বাংলাদেশের সমর্থকে ঠাসা। প্রবাসী বাঙালি আর দেশ থেকে খেলা দেখতে যাওয়া সমর্থক-ভক্তদের গগনবিদারী চিৎকার, হাততালি, বাংলাদেশ-বাংলাদেশ, সাকিব-সাকিব ধ্বনিতে বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছিল ওভালের আকাশ বাতাস।

আজও (বুধবার) একই অবস্থা। সেই দুপুর দেড়টায় খেলা শুরুর অন্তত আড়াই ঘন্টা আগে থেকে লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাতাল রেল (টিউব), বাস, প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সিতে চেপে ওভালে এসে সমবেত হয় অন্তত ১৫ হাজার বাঙালি। তাদের বেশির ভাগেরই পরনে বাংলাদেশের সবুজ জার্সি। অনেকেরই হাতে ছোট বড় জাতীয় পতাকা।

আর একারণেই দ্বিধায় পড়ে গেছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান রস টেলরও। দলকে জেতানোর পথে ৯১ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলা টেলরের মনে হচ্ছিলো তিনি যেন খেলছেন বাংলাদেশের ঢাকা বা চট্টগ্রামে। সুদূর ইংল্যান্ডেও বাংলাদেশের এতো দর্শক সমাগম দেখে বেশ অবাকই হন টেলর।

Taylor

নিজের ম্যাচসেরার পুরষ্কার গ্রহণ করে টেলর বলেন, ‘সত্যি বললে শেষদিকে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে বাংলাদেশকে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। বিশেষ করে তাদের সমর্থকদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিলো আমরা ঢাকা বা চট্টগ্রামে খেলছি। তারা আমাদের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাচটা যেকোনো দিকেই যেতে পারতো।’

এসময় বাংলাদেশের সংগ্রহকে ২৪৪ রানে আটকে রাখতে পারায় নিজ দলের বোলারদের বাহবা দেন টেলর। কারণ তারা মনে করছিলেন ২৭০-২৮০ রান এ উইকেটে হবে ভালো সংগ্রহ।

টেলরের ভাষ্যে, ‘আমি মনে করি বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তাদের গড়পড়তা স্কোরের নিচে আটকে রেখেছে। আমরা ধরে রেখেছিলাম এ উইকেটে ২৭০-২৮০ রান হয়েই যাবে। কিন্তু বোলাররা দারুণ করেছে। শেষপর্যন্ত ম্যাচ জিততে পেরে ভালো লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট নিয়ে কাজ করতে হবে। বেশ কিছু ক্লোজ কল ছিলো। যেগুলো এদিক ওদিক হলেই ফল বদলে যেতে পারত। আমি ব্যক্তিগতভাবে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ব্যাটিং করতে ভালোবাসি। আশা করি আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে এটি (রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট) ঠিক হয়ে যাবে।’