সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, বর্তমান সরকার আমলে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সমন্বয়হীনতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সুষ্ঠু ও নগর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ কথা বলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র বলেন,ঢাকার নাগরিকদের সেবার মান বৃদ্ধি করার জন্য দুই সিটি করপোরেশনের মত রাজধানীর অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর দুই ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। সেবা সংস্থাগুলোর উত্তর-দক্ষিণে মত বিভক্ত করা গেলে আরো বেশি সেবা নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হইবে। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় এসেছে,চিন্তা করার সময় এসেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন,পুরান ঢাকা রি-ডেভলপমেন্ট করতে চাই। সিঙ্গাপুর, টোকিও শহরও আমাদের পুরান ঢাকারমত ছিল। সেই শহর যেভাবে পরিকল্পনা করে সাজিয়েছে আমরাও সেই মানের উন্নত শহর করতে চাই। পুরান ঢাকাকে নিয়ে নতুন গল্প নতুন করে লিখতে চাই। এটা আমাদের পরিকল্পনায় আছে। চারবছরে যেসকল কাজ করেছেন সেই সকল বিষয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন,এখনো কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছাতে পারেননি।এর জন্য সেবাসংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনত রয়েছে।সুষ্ঠু নগর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবার ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা একটা বড় মাত্রার প্রতিবন্ধকতা। আমরা যদি আমাদের রাজধানীর সেবায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে সঠিক সমন্বয় করতে পারি, তাহলে আমাদের অনেক সমস্যাই সমাধান করতে সক্ষম হতে পারি। এ সময় উদাহরণ টেনে মেয়র বলেন,আমাদের অনেক রাস্তা মাত্র করেছি, সেই রাস্তা করতে অনেক ব্যয়ও হয়েছে, উন্নয়নকাজের সময় নাগরিকদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কাজ শেষ হবার সময় দেখা গেলো কোনো সংস্থা রাস্তা কাটার অনুমতি চাইছে নাগরিকদের প্রয়োজনে আমরা অনুমতি দিতে বাধ্য হই। যে কারণে একটি রাস্তা বার বার খোঁড়াখুঁড়ি হয়, হচ্ছে। যদি সমন্বয় থাকত তাহলে কাজগুলো এক সঙ্গে করতে পারতাম। এরপর ৫-১০ বছরের ভেতরে আর কাটতে হতো না। তাই আমি মনে করি সমন্বয়হীনতা নগর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি বড় রকমের প্রতিবন্ধকতা। এই প্রতিবন্ধকতা যত দ্রুত সম্ভব দূর করা যায় তাহলে অবশ্যই পরিকল্পিতি নাগরিক সেবা দিতে পারব। আগামী এক বছরে যেসকল কাজের পরিকল্পনায় রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করে মেয়র বলেন,আমরা এই চার বছরে শহরে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে সক্ষম হয়েছি। মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করেছি। সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন করেছি। ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ রাস্তা চলাচলের উপযোগী করেছি। এখন নবসংযুক্ত ইউনিয়নগুলো নিয়ে মহাপরিকল্পনা করছি। এছাড়া বুড়িগঙ্গার চ্যানেলে হাতিরঝিলের মতো আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। কাজ করতে যেয়ে বাঁধা আসলেও বসে থাকেননি বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন,প্রতিবন্ধকতা থাকবেই কিন্তু সেটাকে বড় করে দেখার সুযোগ নেই। প্রতিবন্ধকতা আসবে আবার চলেও যাবে। শেষ বছরে আমার লক্ষ্য থাকবে প্রকল্পগুলো সুচারু রূপে সম্পন্ন করার। আর কাজের ব্যর্থতা সফলতার ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। বাকি সময়ও নগরবাসীকে পাশে চাই। সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী,পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এমপি, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি,ডিএসসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী ইফতার মাহফিলে অংশ নেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান,ডিএসসিসি সচিব মোস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খান, ইঞ্জিনিয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা,আজম খান, সাংবাদিক কলামিস্ট ও পরিবেশবাদী আন্দোলন নেতা সৈয়দ আবুল মকসুদ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ প্রমুখ।
সংবাদ শিরোনাম ::
বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড সমন্বয়হীনতার কারণে বাধাগ্রস্ত: মেয়র সাঈদ খোকন
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৫:২৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯
- ৯৮৪ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ