ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাসাদ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয় রাঙ্গুনিয়ায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন প্রার্থী ভোট হবে ভাইস চেয়ারম্যানের (চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।) “কেরানীগঞ্জে এক হাজার পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন সাংবাদিকরা” লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক দিঘলিয়ায় মে দিবস পালিত। মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের র‌্যালি ও সমাবেশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ বগুড়া শাজাহানপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও “দেশ টিভির সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ”

সাত কারখানার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করলো অ্যাকর্ড

কমপ্লায়েন্স (কারখানার নিরাপত্তা ও উন্নত কর্মপরিবেশ) নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে আরও সাতটি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অ্যাকার্ড এ তধ্য জানিয়েছে। অ্যাকার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দুর্বলতা ও জোটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগে কারখানাগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। অ্যাকর্ডের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

বাদ পড়া কারখানাগুলো হলো- চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর সুপার নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস। একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন অন্য পাঁচ পোশাক কারখানা হলো- গ্রিনল্যান্ড অ্যাপারেলস, ইপসিতা গার্মেন্টস, সুপার সিনথেটিক্স, সুপার থ্রেড ও ভিজুয়াল ইকো স্টাইল ওয়্যার। এ ছাড়া বাদ পড়া তালিকায় রয়েছে ঢাকার পল্লবীর এসবি নিটেক্স।

এ নিয়ে অ্যাকর্ড থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১টি। অপর ক্রেতা জোট উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটিও একই অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫৭টি কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দুই জোট থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা এখন দাঁড়ালো ৩০৮টিতে। এসব কারখানা দুই জোটের কোনো ক্রেতার রফতানি আদেশ পাচ্ছে না। অর্থাৎ কার্যত এসব কারখানা বন্ধ। সাব-কন্ট্রাক্ট বা ঠিকা ভিত্তিতে শুধু এই কারখানাগুলো উৎপাদনে টিকে থাকতে পারে।

রানা প্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কার উন্নয়নে কাজ করছে অ্যাকর্ড। বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে অ্যাকর্ডের ক্রেতারা পোশাক আমদানি করে থাকে- এরকম দুই হাজার ৯৬টি কারখানাকে প্রাথমিক পরিদর্শনের জন্য বাছাই করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৬৩১টি কারখানার প্রাথমিক পরিদর্শন শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পরিদর্শনে এসব কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি নিরাপত্তা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ৮৬ হাজার ৭৮৯টি ত্রুটি ধরা পড়ে। অ্যাকর্ডের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রুটির ৮৪ ভাগ এরই মধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। নতুন করে পরিদর্শনের কথা রয়েছে ৭৪টির। ৪৯টিকে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ৮৮টি কারখানা। স্থানান্তর আবশ্যক হওয়া বাকি ৫৮টি কারখানা এখন আর অ্যাকর্ডের আওতায় নেই।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে: মেয়র রেজাউল

সাত কারখানার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করলো অ্যাকর্ড

আপডেট টাইম ১১:০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৮

কমপ্লায়েন্স (কারখানার নিরাপত্তা ও উন্নত কর্মপরিবেশ) নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে আরও সাতটি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অ্যাকার্ড এ তধ্য জানিয়েছে। অ্যাকার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দুর্বলতা ও জোটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগে কারখানাগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। অ্যাকর্ডের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

বাদ পড়া কারখানাগুলো হলো- চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর সুপার নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস। একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন অন্য পাঁচ পোশাক কারখানা হলো- গ্রিনল্যান্ড অ্যাপারেলস, ইপসিতা গার্মেন্টস, সুপার সিনথেটিক্স, সুপার থ্রেড ও ভিজুয়াল ইকো স্টাইল ওয়্যার। এ ছাড়া বাদ পড়া তালিকায় রয়েছে ঢাকার পল্লবীর এসবি নিটেক্স।

এ নিয়ে অ্যাকর্ড থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১টি। অপর ক্রেতা জোট উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটিও একই অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫৭টি কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দুই জোট থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা এখন দাঁড়ালো ৩০৮টিতে। এসব কারখানা দুই জোটের কোনো ক্রেতার রফতানি আদেশ পাচ্ছে না। অর্থাৎ কার্যত এসব কারখানা বন্ধ। সাব-কন্ট্রাক্ট বা ঠিকা ভিত্তিতে শুধু এই কারখানাগুলো উৎপাদনে টিকে থাকতে পারে।

রানা প্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কার উন্নয়নে কাজ করছে অ্যাকর্ড। বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে অ্যাকর্ডের ক্রেতারা পোশাক আমদানি করে থাকে- এরকম দুই হাজার ৯৬টি কারখানাকে প্রাথমিক পরিদর্শনের জন্য বাছাই করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৬৩১টি কারখানার প্রাথমিক পরিদর্শন শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পরিদর্শনে এসব কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি নিরাপত্তা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ৮৬ হাজার ৭৮৯টি ত্রুটি ধরা পড়ে। অ্যাকর্ডের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রুটির ৮৪ ভাগ এরই মধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। নতুন করে পরিদর্শনের কথা রয়েছে ৭৪টির। ৪৯টিকে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ৮৮টি কারখানা। স্থানান্তর আবশ্যক হওয়া বাকি ৫৮টি কারখানা এখন আর অ্যাকর্ডের আওতায় নেই।