আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের পরও বদলায়নি মাদক ব্যবসায়ীদের স্বভাব। বন্ধ হয়নি মাদকের চালান। অভিযানের মধ্যেই ভিন্ন কৌশলে মাদক পাচার করছেন ব্যবসায়ীরা। অভিজাত হোটেল ও ক্লাবে অবৈধভাবে মাদকের ব্যবসাও চলার খবর দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা। আবার কখনও বাসে বিশেষভাবে তৈরি চ্যাম্বারে, কখনও ডাবে, কখনও ফলের গাড়িতে, কখনও বা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আড়ালে বাহক কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় ইয়াবা আসার খবর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এবার ফেসওয়াশ-ক্রিমের আড়ালে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ইয়াবার বড় চালান আসার খবর দিলো র্যাব।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ভাটিকা ও প্যারাসুটের আড়ালে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা নেয়ার সময় র্যাব-১০ এর হাতে আটক হন ইয়াবার চার ডিলার আরিফ, ফোরকান, রুবেল ও আবু নাইম।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (কমান্ডিং অফিসার) এডিশনাল ডিআইজি কাইয়ুমুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ভাটিকা ও প্যারাসুট কসমেটিক্সের কৌটার মধ্যে বিশেষ কৌশল খাটিয়ে ইয়াবাগুলো কুরিয়ার করা হয়। প্রত্যেক কৌটায় ১ হাজার পিস করে ইয়াবা ছিল। যা বাইরে থেকে সহজে কেউ বুঝতে পারবে না যে কৌটাগুলোতে ইয়াবা আছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা আগে থেকেই অবস্থান নেয়। পরে চার যুবক পার্সেল চারটি রিসিভ করতেই র্যাব সদস্যরা আটক করে তাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে সিও বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসের মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা যাতে আরও সতর্ক থাকেন মালামাল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে। তাদের কেউ মাদকের চালান আনা নেয়ার ক্ষেত্রে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।