সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মিরপুরের কালশী এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম কালশী খাল পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, ওয়াসার মালিকানাধীন এই খালটির আবর্জনা গত দুই দিন ধরে ডিএনসিসি পরিষ্কার করছে। মেয়র সাংবাদিক কলোনির পাশের এই খালটির কালশী মেইন রোড থেকে মদিনা নগর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে কালশী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। মেয়র বলেন, “যদিও খালটি ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত, কিন্তু খালটির সাথে অন্যান্য সংস্থা যুক্ত রয়েছে। যেমন খালের দুই পাড় ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধীনে এবং খালটির মালিক ঢাকা ওয়াসা, তারপরও জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নগরের একজন সেবক হিসাবে আমি বসে থাকতে রাজি নই”। “খাল ঘুরে আপনার কী অভিজ্ঞতা হলো?” সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখানে মুল রাস্তার পাশে খালটি ১৮ ফুট চওড়া কিন্তু আপনি যখন আরো সামনে যাবেন দেখবেন আস্তে আস্তে খালটি সংকুচিত হতে হতে এক পর্যায়ে ৪ ফুট এমনকি ২ ফুটে পরিণত হয়েছে। সেখানে খালের জায়গা ভরাট করে মানুষ অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছে। খালের দুই পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দায়িত্ব ঢাকা জেলা প্রশাসনের, তবে ডিএনসিসির মালিকানাধীন কোন জায়গার উপর অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে ডিএনসিসি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। পাশাপাশি আমি ইতোমধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসককে তাদের মালিকানাধীন জায়গার উপর অবৈধভাবে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়ে থাকলে তা উচ্ছেদ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি”। খালে ময়লা ফেলার বিষয়ে মেয়র বলেন, “এই খালটিকে জনগণ ডাস্টবিনে পরিণত করেছে”। তিনি খালে ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য জনগণের কাছে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। কেবল ডিএনসিসির পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সবাই এগিয়ে আসলেই সমস্যার সমাধান হবে”। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জুবায়ের সালেহীন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, ওয়াসার পরিচালক এ কে এম শহিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।