ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী বরিশালে সার্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪ উদ্বোধন হিরাঝীলে বিশ্বাস মঞ্জিল নামের একটি বিল্ডিং হেলে পড়ে,নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী বাকেরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জন প্রিয়তার শীর্ষে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া। বাকেরগঞ্জে যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে চারটি দোকান ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ। গাছবাড়ীয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের সমম্বয় সমিতি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত- সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফখরু উদ্দিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনার ফুলতলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি। –চোরাইকৃত ১৪টি ইজিবাইক উদ্ধারসহ আটক চোর চক্রের পলাতক তিনজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; চোরাইকৃত আরো তিনটি ইজিবাইক এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ। চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া …

ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে দিলো এসআই জাহিদ

আখতারুজ্জামান,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জনগণের সেবক যে পুলিশ তা আরেকবার প্রমানিত হলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পুরস্কারপ্রাপ্ত সদস্য এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম সেটাই করে দেখিয়েছেন। জানা যায়, গত ২৮ মার্চ বুধবার সোনামসজিদ পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার খাসেরহাট এলাকার মাস্টার্স এর ছাত্রী জোসনা খাতুন। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে জোসনার নিকট থাকা ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় এক যুবক। সে ব্যাগে কিছু টাকাসহ একটি স্বর্ণের চেইন ও আঙটিও ছিলো। এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম জানান, ছিনতাই এর পরে জোসনা আমার নিকট এসে সব ঘটনা খুলে বলে। শুরু করে কান্নাকাটি। ছিনতাইকারির কোন পরিচয় কিংবা নাম ঠিকানা জানা ছিলো না মেয়েটির। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি আমলে নিয়ে আমি সোনামসজিদ পার্ক এলাকার বিভিন্নস্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরবর্তিতে ৩ এপ্রিল বুধবার শিবগঞ্জের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে চেইন ও আঙটি উদ্ধার করি। এসআই জাহিদ আরো জানান, যে যুবক ছিনতাই করেছিলো তার পরিবারে মা-বাবা অসুস্থ। তাঁদের চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করতেই সে ছিনতাই করে বলে অকপটে স্বীকার করে। ছিনতাই এর পরে যে স্বর্ণের দোকানে চেইন ও আঙটি বিক্রয় করা হয়েছিলো তা জানায় আমাকে ছিনতাইকারি যুবক। পওে সে যুবকের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরিস্থিতির স্বীকার হয়েই যে ছিনতাই করেছিলো তা স্পষ্ট বুঝা যায়। সতর্ক করে ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে। তাঁর পরিবারকে চিকিৎসার জন্য কিছু টাকাও দিয়ে আসি। এসআই জাহিদ আরো জানান, মানুষ মানুষের জন্য সে দিক বিবেচনা করেই আজ মেয়েটির ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে জোসনা ও তাঁর ছোট ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিলাম। দায়িত্বের বাইরে আমিও একজন মানুষ। যখন চেইন ও আঙটি জোসনা ও তাঁর ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিই তখন তাদের চোখেমুখে ছিলো এক অন্যরকমের সুখ, এক অন্য রকমের আনন্দ। যেতে যেতে তাদের একটাই কথা কানে বাজছিলো আমার তা হচ্ছে, জনগণের সেবক পুলিশ সেটা জাহিদ ভাই দেখিয়ে দিলেন। এটাইতো আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এমন ঘটনা সত্যি বিরল ইতিহাস হয়ে থাকলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে শপথ বাক্য পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী

ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে দিলো এসআই জাহিদ

আপডেট টাইম ০৬:০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

আখতারুজ্জামান,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জনগণের সেবক যে পুলিশ তা আরেকবার প্রমানিত হলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পুরস্কারপ্রাপ্ত সদস্য এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম সেটাই করে দেখিয়েছেন। জানা যায়, গত ২৮ মার্চ বুধবার সোনামসজিদ পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার খাসেরহাট এলাকার মাস্টার্স এর ছাত্রী জোসনা খাতুন। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে জোসনার নিকট থাকা ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় এক যুবক। সে ব্যাগে কিছু টাকাসহ একটি স্বর্ণের চেইন ও আঙটিও ছিলো। এসআই মো. আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম জানান, ছিনতাই এর পরে জোসনা আমার নিকট এসে সব ঘটনা খুলে বলে। শুরু করে কান্নাকাটি। ছিনতাইকারির কোন পরিচয় কিংবা নাম ঠিকানা জানা ছিলো না মেয়েটির। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি আমলে নিয়ে আমি সোনামসজিদ পার্ক এলাকার বিভিন্নস্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরবর্তিতে ৩ এপ্রিল বুধবার শিবগঞ্জের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে চেইন ও আঙটি উদ্ধার করি। এসআই জাহিদ আরো জানান, যে যুবক ছিনতাই করেছিলো তার পরিবারে মা-বাবা অসুস্থ। তাঁদের চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করতেই সে ছিনতাই করে বলে অকপটে স্বীকার করে। ছিনতাই এর পরে যে স্বর্ণের দোকানে চেইন ও আঙটি বিক্রয় করা হয়েছিলো তা জানায় আমাকে ছিনতাইকারি যুবক। পওে সে যুবকের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরিস্থিতির স্বীকার হয়েই যে ছিনতাই করেছিলো তা স্পষ্ট বুঝা যায়। সতর্ক করে ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে। তাঁর পরিবারকে চিকিৎসার জন্য কিছু টাকাও দিয়ে আসি। এসআই জাহিদ আরো জানান, মানুষ মানুষের জন্য সে দিক বিবেচনা করেই আজ মেয়েটির ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের চেইন ও আঙটি উদ্ধার করে জোসনা ও তাঁর ছোট ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিলাম। দায়িত্বের বাইরে আমিও একজন মানুষ। যখন চেইন ও আঙটি জোসনা ও তাঁর ভাই এর নিকট বুঝিয়ে দিই তখন তাদের চোখেমুখে ছিলো এক অন্যরকমের সুখ, এক অন্য রকমের আনন্দ। যেতে যেতে তাদের একটাই কথা কানে বাজছিলো আমার তা হচ্ছে, জনগণের সেবক পুলিশ সেটা জাহিদ ভাই দেখিয়ে দিলেন। এটাইতো আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এমন ঘটনা সত্যি বিরল ইতিহাস হয়ে থাকলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশের।