কাতারের রাজপরিবার বিলাসবহুল একটি প্রাইভেট জেট বিমান বেচতে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮-কে বিমান না বলে প্রাসাদ বলাই ভালো। কেননা যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিমানের মধ্যেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার জন্য আছে ছোট হাসপাতাল। বিমানে আছে অত্যাধুনিক বেডরুম, মিটিং রুমসহ ১০টি আধুনিক শৌচাগার। বিশ্বের অন্যতম বিজনেস ক্লাসের এই বিমানের দাম হাঁকা হয়েছে ৫০ কোটি ইউরো। তবে কেন এই ড্রিমলাইনারটি বেচতে যাচ্ছে রাজপরিবার, তা জানা যায়নি।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮-কে বিমান না বলে প্রাসাদ বলাই ভালো। ছবি: সংগৃহীতকাতারের রাজপরিবারের কাছে দুটো সুপার লাক্সারি প্রাইভেট জেট বিমান আছে। এর একটি তারা বেচতে যাচ্ছে। বিমানটি মোট ৪৬৭ জন যাত্রী বহন করতে পারে। তবে বিমানে রাজপরিবারের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে গিয়ে আসন অনেক কমে গেছে। বর্তমানে মাত্র ৭৬ জন যাত্রী এবং ১৮ ক্রুর বসার জায়গা রয়েছে বিমানে। সংখ্যা কম হলেও যাত্রীরা বিমানের মধ্যেই অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন। বিমানে আছে একটি ডবল বেডরুম, একটি লিভিং রুম, মিটিং রুম এবং ১০টি শৌচাগার।
২০১২ সালে ড্রিমলাইনারটি কেনে রাজপরিবার। এরপরই ভেতরের কারুকাজের জন্য কাজ শুরু করা হয়। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। আর এর পরের বছরের জানুয়ারিতে আকাশে উড়ে ৩৭ কোটি ডলারে কেনা এই রাজকীয় বিমানটি।
কাতারের রাজপরিবার বিলাসবহুল প্রাইভেট জেট বিমানে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাই আছে। ছবি: সংগৃহীতকোনো যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিমানের মধ্যেই তৎক্ষণাৎ তাঁর চিকিৎসা শুরু করা যাবে। কারণ, নিজস্ব ছোট একটি হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনে ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা বিমানেই করতে পারবেন চিকিৎসকেরা। এত কিছুর সঙ্গে রাজকীয়তার ছাপ বজায় রেখে বিমানের প্রতিটি অংশই খুব নিখুঁতভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ২০১৫ সালে জানুয়ারিতে এটা প্রথম আকাশে ওড়ে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০৩ ঘণ্টা উড্ডয়ন করেছে বিমানটি। উড্ডয়নের দিক থেকে হিসাব করলে বিমানটি পুরোনো হয়নি। তা সত্ত্বেও কেন হঠাৎ কাতারের রাজপরিবার বিমানটি বেচতে চাইছে তা জানা যায়নি। এখনো পর্যন্ত এর দাম ধার্য হয়েছে ৫০ কোটি ইউরো! কেউ কিনতে চাইলে সুইজারল্যান্ডের আমাক এরোস্পেসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।