ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

রাষ্ট্রসংঘে আবেদন খারিজ, নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকাতেই থাকছে হাফিজ সইদ

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ষিদ্ধ জঙ্গিদের তালিকা থেকে হাফিজ সইদের নাম সরানোর আবেদন খারিজ করল রাষ্ট্রসংঘ। এর ফলে, আন্তর্জাতিক স্তরে নিষিদ্ধই রয়ে গেল জামাত-উদ-দাওয়া কর্ণধার। রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ জঙ্গিদের তালিকা থেকে নাম সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করেছিল হাফিজ। সেই আবেদন খারিজ করে দিল রাষ্ট্রসংঘের ১২৬৭ স্যাংকশন কমিটি।

মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন লস্করের এই শীর্ষ নেতা। মুম্বই হামলার পরেই তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করে রাষ্ট্রসংঘ। সেই থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে পরিচিত হাফিজ। কিন্তু ২০১৭ সালে আইনজীবী মারফত এই তালিকা থেকে নাম সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন হাফিজ। জঙ্গি নেতার এই আবেদনের বিরুদ্ধে জোরাল সওয়াল করে ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারত সরকার জানায়, এখনও গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে হাফিজ। তাঁর সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণও ভারত জমা দেয় রাষ্ট্রসংঘে। ভারতের পাশাপাশি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মতো বড় বড় দেশগুলি হাফিজের এই আবেদনের বিরোধিতা করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাকিস্তান হাফিজের এই আবেদনের বিরোধিতা করেনি। কিন্তু, ভারতের দেওয়া অকাট্য প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপে হাফিজকে কালো তালিকাতে রাখতে বাধ্য হল রাষ্ট্রসংঘকে।

হাফিজ সইদ রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করেছিল পাকিস্তানের একটি আইনজীবী সংস্থার মাধ্যমে। মির্জা এবং মির্জা নামের ওই সংস্থাটির তরফে যে আইনজীবী আবেদনটি করেছিলেন তাঁকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনও হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। সে গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালু রেখেছে। হাফিজ সইদ এখনও পাকিস্তানেই রয়েছে। সেখান আপাতত ওই জঙ্গি নেতা গৃহবন্দি আছে বলে সূত্রের খবর। সইদের আবেদন খারিজ করার রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। পুলওয়ামা হামলার পর একের পর এক দেশকে পাশে পেয়েছে ভারত। হাফিজ সইদের বিরুদ্ধেও আমেরিকা, ইংল্যান্ড ফ্রান্সের মতো দেশগুলিকে পাশে পেল ভারত। এদিকে, হাফিজ সইদের আবেদন খারিজের দিনই তাঁকে আড়াল করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করল পাকিস্তান। হাফিজের সাক্ষাতকারের জন্য পাকিস্তানের ভিসার আবেদন করেছিল রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দল। সেই ভিসার আবেদন নাকচ করে দিল পাক সরকার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

রাষ্ট্রসংঘে আবেদন খারিজ, নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকাতেই থাকছে হাফিজ সইদ

আপডেট টাইম ০৪:৫৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ষিদ্ধ জঙ্গিদের তালিকা থেকে হাফিজ সইদের নাম সরানোর আবেদন খারিজ করল রাষ্ট্রসংঘ। এর ফলে, আন্তর্জাতিক স্তরে নিষিদ্ধই রয়ে গেল জামাত-উদ-দাওয়া কর্ণধার। রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ জঙ্গিদের তালিকা থেকে নাম সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করেছিল হাফিজ। সেই আবেদন খারিজ করে দিল রাষ্ট্রসংঘের ১২৬৭ স্যাংকশন কমিটি।

মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন লস্করের এই শীর্ষ নেতা। মুম্বই হামলার পরেই তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করে রাষ্ট্রসংঘ। সেই থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে পরিচিত হাফিজ। কিন্তু ২০১৭ সালে আইনজীবী মারফত এই তালিকা থেকে নাম সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন হাফিজ। জঙ্গি নেতার এই আবেদনের বিরুদ্ধে জোরাল সওয়াল করে ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারত সরকার জানায়, এখনও গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে হাফিজ। তাঁর সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণও ভারত জমা দেয় রাষ্ট্রসংঘে। ভারতের পাশাপাশি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মতো বড় বড় দেশগুলি হাফিজের এই আবেদনের বিরোধিতা করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাকিস্তান হাফিজের এই আবেদনের বিরোধিতা করেনি। কিন্তু, ভারতের দেওয়া অকাট্য প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপে হাফিজকে কালো তালিকাতে রাখতে বাধ্য হল রাষ্ট্রসংঘকে।

হাফিজ সইদ রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করেছিল পাকিস্তানের একটি আইনজীবী সংস্থার মাধ্যমে। মির্জা এবং মির্জা নামের ওই সংস্থাটির তরফে যে আইনজীবী আবেদনটি করেছিলেন তাঁকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনও হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। সে গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালু রেখেছে। হাফিজ সইদ এখনও পাকিস্তানেই রয়েছে। সেখান আপাতত ওই জঙ্গি নেতা গৃহবন্দি আছে বলে সূত্রের খবর। সইদের আবেদন খারিজ করার রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। পুলওয়ামা হামলার পর একের পর এক দেশকে পাশে পেয়েছে ভারত। হাফিজ সইদের বিরুদ্ধেও আমেরিকা, ইংল্যান্ড ফ্রান্সের মতো দেশগুলিকে পাশে পেল ভারত। এদিকে, হাফিজ সইদের আবেদন খারিজের দিনই তাঁকে আড়াল করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করল পাকিস্তান। হাফিজের সাক্ষাতকারের জন্য পাকিস্তানের ভিসার আবেদন করেছিল রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দল। সেই ভিসার আবেদন নাকচ করে দিল পাক সরকার।