মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ষিদ্ধ জঙ্গিদের তালিকা থেকে হাফিজ সইদের নাম সরানোর আবেদন খারিজ করল রাষ্ট্রসংঘ। এর ফলে, আন্তর্জাতিক স্তরে নিষিদ্ধই রয়ে গেল জামাত-উদ-দাওয়া কর্ণধার। রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ জঙ্গিদের তালিকা থেকে নাম সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করেছিল হাফিজ। সেই আবেদন খারিজ করে দিল রাষ্ট্রসংঘের ১২৬৭ স্যাংকশন কমিটি।
মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন লস্করের এই শীর্ষ নেতা। মুম্বই হামলার পরেই তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করে রাষ্ট্রসংঘ। সেই থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে পরিচিত হাফিজ। কিন্তু ২০১৭ সালে আইনজীবী মারফত এই তালিকা থেকে নাম সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন হাফিজ। জঙ্গি নেতার এই আবেদনের বিরুদ্ধে জোরাল সওয়াল করে ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারত সরকার জানায়, এখনও গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে হাফিজ। তাঁর সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণও ভারত জমা দেয় রাষ্ট্রসংঘে। ভারতের পাশাপাশি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মতো বড় বড় দেশগুলি হাফিজের এই আবেদনের বিরোধিতা করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পাকিস্তান হাফিজের এই আবেদনের বিরোধিতা করেনি। কিন্তু, ভারতের দেওয়া অকাট্য প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপে হাফিজকে কালো তালিকাতে রাখতে বাধ্য হল রাষ্ট্রসংঘকে।
হাফিজ সইদ রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করেছিল পাকিস্তানের একটি আইনজীবী সংস্থার মাধ্যমে। মির্জা এবং মির্জা নামের ওই সংস্থাটির তরফে যে আইনজীবী আবেদনটি করেছিলেন তাঁকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনও হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। সে গোপনে জঙ্গি কার্যকলাপ চালু রেখেছে। হাফিজ সইদ এখনও পাকিস্তানেই রয়েছে। সেখান আপাতত ওই জঙ্গি নেতা গৃহবন্দি আছে বলে সূত্রের খবর। সইদের আবেদন খারিজ করার রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। পুলওয়ামা হামলার পর একের পর এক দেশকে পাশে পেয়েছে ভারত। হাফিজ সইদের বিরুদ্ধেও আমেরিকা, ইংল্যান্ড ফ্রান্সের মতো দেশগুলিকে পাশে পেল ভারত। এদিকে, হাফিজ সইদের আবেদন খারিজের দিনই তাঁকে আড়াল করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করল পাকিস্তান। হাফিজের সাক্ষাতকারের জন্য পাকিস্তানের ভিসার আবেদন করেছিল রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দল। সেই ভিসার আবেদন নাকচ করে দিল পাক সরকার।