ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।। বরিশালে সুলভ মুল্যে বসুন্ধরা পন্য পেয়ে ক্রেতারা খুশী। বাবুগঞ্জে স্কুল ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার সময় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ। আমার বাবাও মায়ের দেওয়া উপদেশ বড়দের সম্মান কর ছোটদের স্নেহ করো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু। টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু বাকেরগঞ্জে প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করায় হায়দর সিপাই গ্রেফতার। বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের কৃত মামলায় স্বামী পারভেজ খান গ্রেফতার।। বাকেরগঞ্জে তরমুজ চাষী হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী রুদ্র গাজী গ্রেফতার টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় বউকে মারধর, গ্রেপ্তার হিরো আলম

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : বউ পিটিয়ে ‘চাপাবাজ’ হিরো আলম এবার গ্রেপ্তার। বহুল আলোচিত আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমের পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় বউকে পিটিয়ে আহত করার দায়ে মামলা হয়েছে। স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে মঙ্গলবার স্ত্রী সাদিয়া আখতার সুমিকে মারধর করে হিরো আলম। সাদিয়া অভিযোগ করেন, হিরো আলমের পরকীয়ার প্রতিবাদ করার কারণে তাঁকে মারধর করা হয়। হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া আখতার সুমি অভিযোগ করেন, মাঝেমধ্যেই হিরো আলম তাঁকে মারধর করে। দুদিন আগে সে ঢাকা থেকে আসে। ‘রাতে খাবারের পর মোবাইলে কোনও মেয়ের সাথে কথা বলছিল। আমি নিষেধ করলে বলে আমি ১০টা মেয়ে নিয়ে ঘুরব, যা ইচ্ছে তা-ই করব।’ হিরো আলমের স্ত্রী বলেন, ‘হিরো আলম বলে, আমি ঢাকায় বিয়ে করেছি। এভাবে থাকতে পারলে থাকো না হলে চলে যাও। এর এক পর্যায়ে আলম আমার গলা চেপে ধরে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে জখম করে। এখন আমার ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব?’

সাদিয়া বেগম সুমিকে (২৮) আহত অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমিকে মারধরের খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাপের বাড়ির লোকজন হিরো আলমকেও মারধর করেছেন। এই ঘটনায় হিরো আলমও তার শ্বশুর ও স্ত্রী-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। স্ত্রীর পরিবার থেকেও হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি সাংবাদিকদের জানান, ‘দুই মাস পর গত সোমবার রাতে হিরো আলম বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া গ্রামে তার বাড়িতে আসে। বাড়িতে ফেরার পর থেকে সে বিছানায় শুয়ে একটানা তিন ঘণ্টা মোবাইলে ঢাকার এক মহিলার সঙ্গে কথা বলে।’ এর প্রতিবাদ করলে সোমবার রাতে স্ত্রীকে মারধর করে হিরো আলম। সুমির অভিযোগ, হিরো আলম ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এ কারণে বগুড়ায় থাকা স্ত্রী-সন্তানের কোনও খবর সে রাখে না। সংসারের খরচও দেয় না। এর প্রতিবাদ করায় আগেও সুমিকে শারীরিক নির্যাতন করেছে হিরো আলম।

হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধের পর মেয়েকে আবারও নির্যাতন করা হয়েছে, খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুমির মাথার পিছনে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে হাসপাতালে স্ত্রী ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই হিরো আলম বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে হিরো উল্লেখ করে, স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ও স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি-সহ পাঁচজন তার বাড়িতে গিয়ে কাঠ দিয়ে তাকে মারধর করে। বিষয়টি যাচাই করতে বুধবার সকাল থেকে যোগাযোগের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও হিরো আলমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরুলিয়া বাজারে তার অফিসটিও বন্ধ থাকতে দেখা যায়। বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বগুড়া সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম জানান, মঙ্গলবার রাতে হিরো আলম থানায় হাজির হয়ে তার শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখায়। তাকে মারধর করা হয়েছে উল্লেখ করে সে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বুধবার সকালে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন হিরো আলমও তার স্ত্রীকে মারধর করেছে। এ কারণে তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে ড. আবদুস সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা।।

পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় বউকে মারধর, গ্রেপ্তার হিরো আলম

আপডেট টাইম ০৬:৫১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : বউ পিটিয়ে ‘চাপাবাজ’ হিরো আলম এবার গ্রেপ্তার। বহুল আলোচিত আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমের পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় বউকে পিটিয়ে আহত করার দায়ে মামলা হয়েছে। স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে মঙ্গলবার স্ত্রী সাদিয়া আখতার সুমিকে মারধর করে হিরো আলম। সাদিয়া অভিযোগ করেন, হিরো আলমের পরকীয়ার প্রতিবাদ করার কারণে তাঁকে মারধর করা হয়। হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া আখতার সুমি অভিযোগ করেন, মাঝেমধ্যেই হিরো আলম তাঁকে মারধর করে। দুদিন আগে সে ঢাকা থেকে আসে। ‘রাতে খাবারের পর মোবাইলে কোনও মেয়ের সাথে কথা বলছিল। আমি নিষেধ করলে বলে আমি ১০টা মেয়ে নিয়ে ঘুরব, যা ইচ্ছে তা-ই করব।’ হিরো আলমের স্ত্রী বলেন, ‘হিরো আলম বলে, আমি ঢাকায় বিয়ে করেছি। এভাবে থাকতে পারলে থাকো না হলে চলে যাও। এর এক পর্যায়ে আলম আমার গলা চেপে ধরে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে জখম করে। এখন আমার ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব?’

সাদিয়া বেগম সুমিকে (২৮) আহত অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমিকে মারধরের খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাপের বাড়ির লোকজন হিরো আলমকেও মারধর করেছেন। এই ঘটনায় হিরো আলমও তার শ্বশুর ও স্ত্রী-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। স্ত্রীর পরিবার থেকেও হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি সাংবাদিকদের জানান, ‘দুই মাস পর গত সোমবার রাতে হিরো আলম বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া গ্রামে তার বাড়িতে আসে। বাড়িতে ফেরার পর থেকে সে বিছানায় শুয়ে একটানা তিন ঘণ্টা মোবাইলে ঢাকার এক মহিলার সঙ্গে কথা বলে।’ এর প্রতিবাদ করলে সোমবার রাতে স্ত্রীকে মারধর করে হিরো আলম। সুমির অভিযোগ, হিরো আলম ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এ কারণে বগুড়ায় থাকা স্ত্রী-সন্তানের কোনও খবর সে রাখে না। সংসারের খরচও দেয় না। এর প্রতিবাদ করায় আগেও সুমিকে শারীরিক নির্যাতন করেছে হিরো আলম।

হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধের পর মেয়েকে আবারও নির্যাতন করা হয়েছে, খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুমির মাথার পিছনে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে হাসপাতালে স্ত্রী ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই হিরো আলম বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে হিরো উল্লেখ করে, স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ও স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি-সহ পাঁচজন তার বাড়িতে গিয়ে কাঠ দিয়ে তাকে মারধর করে। বিষয়টি যাচাই করতে বুধবার সকাল থেকে যোগাযোগের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও হিরো আলমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরুলিয়া বাজারে তার অফিসটিও বন্ধ থাকতে দেখা যায়। বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বগুড়া সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম জানান, মঙ্গলবার রাতে হিরো আলম থানায় হাজির হয়ে তার শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখায়। তাকে মারধর করা হয়েছে উল্লেখ করে সে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বুধবার সকালে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন হিরো আলমও তার স্ত্রীকে মারধর করেছে। এ কারণে তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।