ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

হরিণাকুন্ডু থানায় জিডি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার! ভ্যানচালক

মোঃশাহ আলম ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়ে পুলিশের হেনস্তার শিকার হয়েছেন ছকির উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি। রবিবার সকালে থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার হুমকি দেওয়ার পর থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়নকান্তি গ্রামের ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিন। সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জিডি নিতে গড়িমসি করেন। তাকে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান এর কাছে যেতে বলেন। ভ্যানচালক ছকির একটি লিখিত ডায়েরী নিয়ে ওসি’র কাছে গেলে তিনি নিজে স্থাণীয় এক সাংবাদিকের সামনে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে যায়। হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান নির্দেশ দেন তাকে থানা গারদে ডুকাতে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডায়েরি করতে গিয়ে সামান্য একজন দিনমজুর বিনা অপরাধে ৭ ঘন্টা থানা গারদে থাকতে হয়। এর পর নিরীহ ছকির ওসির হাতেপায়ে ধরে অনেক আকুতি মিনতি করতে থাকে। তারপরও তাকে আটক করে থানা গারদে পাঠানো হয়। তার দেওয়া ডায়েরি অনুসারে জানাযায়, ছকির উদ্দিন গত ১৬-০৫-২০১৯ইং তারিখে প্রতিবেশী আশরাফুলের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং পরে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। স্থানীয় ভাবে আপোষ-মিমাংসা হওয়ায় পরের দিন ১৭-০৫-২০১৯ ইং তারিখে সে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করায় তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের মেম্বর আনিচুর রহমান ও তার লোকজন বসতবাড়িতে গিয়ে ছকিরউদ্দিনকে ভয়ভীতির হুমকি এবং এক পর্যায়ে তাকে খুন করার হুমকি দেয়। হত্যার হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য সে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করার জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হরিণাকুন্ডু থানার ওসি তার কোন কথায় না শুনে তাকে মারতে যায় এবং থানা গারদে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। একটি শার্তানেসি মহলকে খুশি এবং তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সামান্য একজন দিনমজুর ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিনকে থানা গারদে সাত ঘন্টা আটকে রাখে। তাকে ব্যবহার করে থানার ওসি, আনিচ মেম্বরসহ একটি মহল মোটা অংকের বানিজ্য করতে চেয়েছিল। স্থানীয় একটি গ্রুপের প্ররোচনায় ছকিরউদ্দিন অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়। প্রতিবেশিদের সাথে মিমাংসা হওয়ায় ওসি ও মেম্বরসহ সকলের বানিজ্য ভন্ডুল হয়ে যাওয়ায় ছকির উদ্দিনের উপর তারা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। এইসব কারনেই ছকির থানায় জিডি করতে গেলে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

হরিণাকুন্ডু থানায় জিডি করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার! ভ্যানচালক

আপডেট টাইম ০৫:২১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

মোঃশাহ আলম ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়ে পুলিশের হেনস্তার শিকার হয়েছেন ছকির উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি। রবিবার সকালে থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার হুমকি দেওয়ার পর থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়নকান্তি গ্রামের ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিন। সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জিডি নিতে গড়িমসি করেন। তাকে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান এর কাছে যেতে বলেন। ভ্যানচালক ছকির একটি লিখিত ডায়েরী নিয়ে ওসি’র কাছে গেলে তিনি নিজে স্থাণীয় এক সাংবাদিকের সামনে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে যায়। হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান নির্দেশ দেন তাকে থানা গারদে ডুকাতে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডায়েরি করতে গিয়ে সামান্য একজন দিনমজুর বিনা অপরাধে ৭ ঘন্টা থানা গারদে থাকতে হয়। এর পর নিরীহ ছকির ওসির হাতেপায়ে ধরে অনেক আকুতি মিনতি করতে থাকে। তারপরও তাকে আটক করে থানা গারদে পাঠানো হয়। তার দেওয়া ডায়েরি অনুসারে জানাযায়, ছকির উদ্দিন গত ১৬-০৫-২০১৯ইং তারিখে প্রতিবেশী আশরাফুলের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং পরে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। স্থানীয় ভাবে আপোষ-মিমাংসা হওয়ায় পরের দিন ১৭-০৫-২০১৯ ইং তারিখে সে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করায় তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের মেম্বর আনিচুর রহমান ও তার লোকজন বসতবাড়িতে গিয়ে ছকিরউদ্দিনকে ভয়ভীতির হুমকি এবং এক পর্যায়ে তাকে খুন করার হুমকি দেয়। হত্যার হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য সে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করার জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হরিণাকুন্ডু থানার ওসি তার কোন কথায় না শুনে তাকে মারতে যায় এবং থানা গারদে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। একটি শার্তানেসি মহলকে খুশি এবং তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই হরিণাকুন্ডু থানার ওসি সামান্য একজন দিনমজুর ভ্যানচালক ছকিরউদ্দিনকে থানা গারদে সাত ঘন্টা আটকে রাখে। তাকে ব্যবহার করে থানার ওসি, আনিচ মেম্বরসহ একটি মহল মোটা অংকের বানিজ্য করতে চেয়েছিল। স্থানীয় একটি গ্রুপের প্ররোচনায় ছকিরউদ্দিন অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়। প্রতিবেশিদের সাথে মিমাংসা হওয়ায় ওসি ও মেম্বরসহ সকলের বানিজ্য ভন্ডুল হয়ে যাওয়ায় ছকির উদ্দিনের উপর তারা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। এইসব কারনেই ছকির থানায় জিডি করতে গেলে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।