মোঃ মশিউর রহমানের/টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সহধর্মিণী বেগম আলেমা খাতুন ভাসানীর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের সন্তোষ ভাসানী দরবার হলে মরহুমার কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও ইয়াতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এ সময় ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সৈয়দ ইরফানুল বারী, মোঃ হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও কবি ও সাহিত্যিক অনিক রহমান বুলবুল প্রমূখ। এছাড়া মরহুমার পরিবারের সদস্য, ভক্ত ও অনুসারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আলেমা খাতুন ভাসানী ছিলেন বগুড়া জেলার পাঁচবিবির বীরনগরের জমিদার-কন্যা। তাঁর পিতা সামীর উদ্দীন তালুকদার পাঁচবিবির বীরনগরের ২৪ পরগনা ৪০ মৌজার জমিদার ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে, বিশের দশকের মাঝামাঝিতে মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধে বৃটিশরা হুলিয়া জারি করলে তাদের ফাঁকি দিয়ে ‘মুনশি’ সেজে আলেমা খাতুনের পিতার কাছে মওলানা ভাসানী আশ্রয় নেন এবং তাঁর পুত্র-কন্যাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন।
আনুমানিক ১৯২৫ সালে আলেমা খাতুনের সাথে ভাসানীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জমিদার পিতার তরফ থেকে আলেমা খাতুন পেয়েছিলেন প্রায় ৬০ বিঘা জমি। পাঁচবিবি থেকে ৩/৪ কিলোমিটার পূর্বে মহিপুর গ্রামের সেই জমিতে মওলানা ভাসানী গড়ে তুলেন তাঁর ‘হক্কুল এবাদ মিশনের’ স্কুল-কলেজ-লাইব্রেরিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ। মমতাময়ী এই মানুষটির আতিথ্য গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, উঠতি নেতা থেকে শুরু করে গ্রাম-বাংলার কৃষক-শ্রমিকসহ প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
মওলানা ভাসানীর মাজার শরীফের পাশেই তিনি সমাহিত। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয়েছে এই মহীয়সী নারীর সম্মানে। তাঁর এই মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ভক্ত অনুসারীরা।
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলের সন্তোষে আলেমা খাতুন ভাসানীর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৮:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
- ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ