ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ ফেব্রুয়ারি

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত জানান ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

এই মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও শুনানিতে অংশ নেন। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

আরো পড়ুন :  মালিতে জঙ্গি হামলায় শান্তিরক্ষা মিশনের ১০ জন নিহত

খালেদা জিয়ার পক্ষে আংশিক শুনানির পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সময় চান। আদালত তা মঞ্জুর করেন। অপর আসামি শহিদুল হকের পক্ষে অপর এক আইনজীবী আংশিক শুনানি করে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

নাইকো দুর্নীতি মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

মাতৃভূমির খবর/শমএস

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ ফেব্রুয়ারি

আপডেট টাইম ০৯:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত জানান ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

এই মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও শুনানিতে অংশ নেন। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

আরো পড়ুন :  মালিতে জঙ্গি হামলায় শান্তিরক্ষা মিশনের ১০ জন নিহত

খালেদা জিয়ার পক্ষে আংশিক শুনানির পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সময় চান। আদালত তা মঞ্জুর করেন। অপর আসামি শহিদুল হকের পক্ষে অপর এক আইনজীবী আংশিক শুনানি করে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

নাইকো দুর্নীতি মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

মাতৃভূমির খবর/শমএস