ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অরিত্রী আত্মহত্যা মামলা: জামিন পেলেন দুই শিক্ষিকা

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর রির্পোট :  নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিদের বয়স এবং অন্য আসামি হাসনা হেনা জামিনে আছেন-এই বিবেচনায় এ জামিন দেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর স্কুলে পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকরা অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলের মাধ্যমে নকল করার অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। অরিত্রীর বাবা-মা স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে বলে জানান। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যায়। তার বাবা-মা শান্তিনগরের বাসায় গিয়ে মেয়েকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে অরিত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যা‍য়  গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

 

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

অরিত্রী আত্মহত্যা মামলা: জামিন পেলেন দুই শিক্ষিকা

আপডেট টাইম ১১:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর রির্পোট :  নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিদের বয়স এবং অন্য আসামি হাসনা হেনা জামিনে আছেন-এই বিবেচনায় এ জামিন দেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর স্কুলে পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকরা অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলের মাধ্যমে নকল করার অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। অরিত্রীর বাবা-মা স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে বলে জানান। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যায়। তার বাবা-মা শান্তিনগরের বাসায় গিয়ে মেয়েকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে অরিত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যা‍য়  গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।