ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ –রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাটে বহিষ্কৃত জাপা নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান টাঙ্গাইলে সদর সার্কেলের কার্যালয় পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার বগুড়ায় গ্রাহকের ২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও সংস্থা সিডো

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ডাকাত সর্দার মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৭ই এপ্রিল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সোনাচড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বন্দর থানার এসআই মামুন সহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, সোনাচড়া এলাকা মৃত আসলাম ডাকাতের ছেলে মামুন সহ ১৫/ ২০ জনের একটি দল দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানাধীন সোনাচড়া, তালতলা, মনার বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও খুন সহ নানা অপকর্ম করে আসছিলো। এসকল অপরাধ করার কারণে বিভিন্ন সময়ে সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয় একাধিকবার। তবে জামিনে বেরিয়ে আবারো অপরাধ করে ভয়ংকর ডাকাত সর্দার মামুন বাহিনীর সদস্যরা। ঈদুল ফিতরের আগে অর্থাৎ রমজান মাসে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফার নির্দেশে সেকেন্ড অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এস আই শওকত, এস আই ইকবাল, এস আই সামাদ, এস আই ফয়েজ, এএসআই দ্বীন ইসলাম সহ আরও বেশ কয়েকটি টিম ধৃত ডাকাত সর্দার মামুনের বাসায়। এসময় তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পাকে বাসায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ডাকাত সর্দার মামুন একই এলাকার সুমি আক্তার কে সন্দেহ করে তার বাসা বাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায়। এসময় ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ভাই মনির গংদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সুমি আক্তার ‌। মামলা দায়ের করার পরের দিন বিকালে আবারো ৭/৮ জন ডাকাত সঙ্গে নিয়ে ডাকাত সর্দার মামুন সুমি ও তার স্বামী আলামিনকে উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষণ করে এবং তার মেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। এসময় ডাকাত সর্দার মামুনের মা এগিয়ে আসলে তাকেও হত্যা চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে সে পলাতক ছিলো। কিন্তু পুলিশের নজরদারি ছিলো তার উপর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ধৃত মামুন একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক নারী কিছুদিন আগে একটি হত্যা চেষ্টা ও লুটপাটের মামলা দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। তবে তার উপর নজরদারি রাখে। বুধবার সকালে তাকে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ‌।

এস আই মামুন জানান, ডাকাত সর্দার মামুন সে আমার তদন্তাধীন একটি মামলার আসামি ছিলো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। তাকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। আজ বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুমি আক্তার জানান, ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ভাই মনির গংরা বেশ কয়েকবার আমি ও আমার স্বামী আল-আমিন কে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। পরবর্তীতে আমি নিজে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে থানায় মামলা দায়ের করি। ডাকাত সর্দার মামুনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

আপডেট টাইম ১১:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ডাকাত সর্দার মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৭ই এপ্রিল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সোনাচড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বন্দর থানার এসআই মামুন সহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, সোনাচড়া এলাকা মৃত আসলাম ডাকাতের ছেলে মামুন সহ ১৫/ ২০ জনের একটি দল দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানাধীন সোনাচড়া, তালতলা, মনার বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও খুন সহ নানা অপকর্ম করে আসছিলো। এসকল অপরাধ করার কারণে বিভিন্ন সময়ে সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয় একাধিকবার। তবে জামিনে বেরিয়ে আবারো অপরাধ করে ভয়ংকর ডাকাত সর্দার মামুন বাহিনীর সদস্যরা। ঈদুল ফিতরের আগে অর্থাৎ রমজান মাসে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফার নির্দেশে সেকেন্ড অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এস আই শওকত, এস আই ইকবাল, এস আই সামাদ, এস আই ফয়েজ, এএসআই দ্বীন ইসলাম সহ আরও বেশ কয়েকটি টিম ধৃত ডাকাত সর্দার মামুনের বাসায়। এসময় তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পাকে বাসায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ডাকাত সর্দার মামুন একই এলাকার সুমি আক্তার কে সন্দেহ করে তার বাসা বাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায়। এসময় ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ভাই মনির গংদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সুমি আক্তার ‌। মামলা দায়ের করার পরের দিন বিকালে আবারো ৭/৮ জন ডাকাত সঙ্গে নিয়ে ডাকাত সর্দার মামুন সুমি ও তার স্বামী আলামিনকে উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষণ করে এবং তার মেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। এসময় ডাকাত সর্দার মামুনের মা এগিয়ে আসলে তাকেও হত্যা চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে সে পলাতক ছিলো। কিন্তু পুলিশের নজরদারি ছিলো তার উপর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ধৃত মামুন একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক নারী কিছুদিন আগে একটি হত্যা চেষ্টা ও লুটপাটের মামলা দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। তবে তার উপর নজরদারি রাখে। বুধবার সকালে তাকে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ‌।

এস আই মামুন জানান, ডাকাত সর্দার মামুন সে আমার তদন্তাধীন একটি মামলার আসামি ছিলো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। তাকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। আজ বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুমি আক্তার জানান, ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ভাই মনির গংরা বেশ কয়েকবার আমি ও আমার স্বামী আল-আমিন কে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। পরবর্তীতে আমি নিজে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে থানায় মামলা দায়ের করি। ডাকাত সর্দার মামুনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।