ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ –রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাটে বহিষ্কৃত জাপা নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান টাঙ্গাইলে সদর সার্কেলের কার্যালয় পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার বগুড়ায় গ্রাহকের ২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও সংস্থা সিডো

বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

মোঃ ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম

নগরীর ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে বাড়াইপাড়া খাল খনন কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিত দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার সকালে মেয়র খালের বহদ্দারহাট অংশসহ খালের বিভিন্ন অংশের খনন কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যাতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনাসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদনের তাগাদা দেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, বারইপাড়া খালের সাথে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। এজন্য দ্রুততম সময়ে এ খাল খননের কাজ শেষ করতে হবে।

এ সময় মেয়রর সাথে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হারুন অর রশীদ, হাজী মোঃ ইয়াকুব, মোঃ সেকান্দর মোঃ বেলাল উদ্দিন, হাজী তৈয়ব, মোঃ ইসমাঈল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বারইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূরনগর হাউজিং হয়ে, ওয়াইজপাড়া থেকে বলিরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে।

এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরের বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে ওই এলাকার ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

আপডেট টাইম ০৪:৪১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ ইব্রাহিম মিন্টু স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম

নগরীর ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে বাড়াইপাড়া খাল খনন কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিত দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার সকালে মেয়র খালের বহদ্দারহাট অংশসহ খালের বিভিন্ন অংশের খনন কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যাতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনাসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদনের তাগাদা দেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, বারইপাড়া খালের সাথে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। এজন্য দ্রুততম সময়ে এ খাল খননের কাজ শেষ করতে হবে।

এ সময় মেয়রর সাথে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হারুন অর রশীদ, হাজী মোঃ ইয়াকুব, মোঃ সেকান্দর মোঃ বেলাল উদ্দিন, হাজী তৈয়ব, মোঃ ইসমাঈল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বারইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূরনগর হাউজিং হয়ে, ওয়াইজপাড়া থেকে বলিরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে।

এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরের বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে ওই এলাকার ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে।