ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরে ভূমিসেবা সপ্তাহে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার টোল আদায় নরসিংদীতে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করলেন শিল্পমন্ত্রী চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা

হবিগঞ্জকে জাতীয় উন্নয়নে যুক্ত করতে চাই : প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :   হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। সোমবার বিকেলে তিনি বঙ্গভবনে অন্যান্য মন্ত্রীগণের সাথে শপথ গ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। মাহবুব আলীকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা আসাদ আলীর ছেলে মাহবুব আলী ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বুনিয়াদী আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারেই বেড়ে ওঠা তাঁর। বাবা মাওলানা আসাদ আলী এ আসন থেকেই ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান ও সজ্জন নেতা হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল সর্বত্রই। সাধারণ মানুষের মাঝেও তিনি ছিলেন পরম শ্রদ্ধার পাত্র। গণমানুষের নেতা মাওলানা আসাদ আলীর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের মাঝে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী চতুর্থ। তিনিও বাবার মতোই সততা ও নিষ্ঠায় অতি অল্পদিনেই সুখ্যাতি অর্জন করেন। স্থানীয় আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর ১৯৭৯ সালে তিনি ঢাকা বারের সদস্য পদ লাভ করেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। অতি অল্প দিনেই বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। দলের হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকেই বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফলে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ¶মতায় এসেই তাকে সহকারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৯৮ সালে তিনি এ পদ ছেড়ে দেন। ২০০৩-২০০৪ মেয়াদে তিনি সুপ্রীম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তি জীবনে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী দুই মেয়ের জনক। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। আর ছোট মেয়ে আইন বিষয়ে অনার্স পড়ছেন।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী মাধবপুর চুনারুঘাটসহ জেলাবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রিয় মাধবপুর-চুনারুঘাটবাসী আমাকে আবারো এমপি নির্বাচিত করায় আমি প্রতিমন্ত্রী হয়েছি, তাই শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ্তালার নিকট। কৃতজ্ঞতা, অভিনন্দন ও অভিবাদন জানাচ্ছি মাধবপুর-চুনারুঘাটের সর্বস্তরের জনগণসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের সকল প্রিয় নেতাকর্মীদের। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এই বিজয় হলো আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। এই বিজয় আপনাদের, এই বিজয় দেশ উন্নয়নের, এই বিজয় দেশরতত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের। এবার আমার পরিকল্পনা পূরণ করতে চাই। হবিগঞ্জকে জাতীয় উন্নয়নে যুক্ত করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে আমাকে অতীতে স্নেহ করেছেন এবারও তাঁর স্নেহ পাব আশা করি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে ভূমিসেবা সপ্তাহে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জকে জাতীয় উন্নয়নে যুক্ত করতে চাই : প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

আপডেট টাইম ০১:৩৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :   হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। সোমবার বিকেলে তিনি বঙ্গভবনে অন্যান্য মন্ত্রীগণের সাথে শপথ গ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। মাহবুব আলীকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা আসাদ আলীর ছেলে মাহবুব আলী ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বুনিয়াদী আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারেই বেড়ে ওঠা তাঁর। বাবা মাওলানা আসাদ আলী এ আসন থেকেই ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান ও সজ্জন নেতা হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল সর্বত্রই। সাধারণ মানুষের মাঝেও তিনি ছিলেন পরম শ্রদ্ধার পাত্র। গণমানুষের নেতা মাওলানা আসাদ আলীর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের মাঝে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী চতুর্থ। তিনিও বাবার মতোই সততা ও নিষ্ঠায় অতি অল্পদিনেই সুখ্যাতি অর্জন করেন। স্থানীয় আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর ১৯৭৯ সালে তিনি ঢাকা বারের সদস্য পদ লাভ করেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। অতি অল্প দিনেই বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। দলের হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকেই বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফলে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ¶মতায় এসেই তাকে সহকারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৯৮ সালে তিনি এ পদ ছেড়ে দেন। ২০০৩-২০০৪ মেয়াদে তিনি সুপ্রীম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তি জীবনে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী দুই মেয়ের জনক। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। আর ছোট মেয়ে আইন বিষয়ে অনার্স পড়ছেন।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী মাধবপুর চুনারুঘাটসহ জেলাবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রিয় মাধবপুর-চুনারুঘাটবাসী আমাকে আবারো এমপি নির্বাচিত করায় আমি প্রতিমন্ত্রী হয়েছি, তাই শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ্তালার নিকট। কৃতজ্ঞতা, অভিনন্দন ও অভিবাদন জানাচ্ছি মাধবপুর-চুনারুঘাটের সর্বস্তরের জনগণসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের সকল প্রিয় নেতাকর্মীদের। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এই বিজয় হলো আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। এই বিজয় আপনাদের, এই বিজয় দেশ উন্নয়নের, এই বিজয় দেশরতত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের। এবার আমার পরিকল্পনা পূরণ করতে চাই। হবিগঞ্জকে জাতীয় উন্নয়নে যুক্ত করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে আমাকে অতীতে স্নেহ করেছেন এবারও তাঁর স্নেহ পাব আশা করি।