ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

“শীর্ষ নির্বাহী আমজাদ হোসেন কনক এর দুর্নীতির দায়ে ডুবতে বসছে তৃতীয় প্রজন্মের বীমা গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃএর অসহায় গ্রাহকদের দেখার কেউ নেই”

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, ফেইক পলিসি, নূন্যতম নবায়ন ব্যবসা অর্জনে ব্যর্থতা, তদবির বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতিসহ নানাবিধ অযোগ্যতা ও অদক্ষতার ভারে ডুবিয়ে গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ কে দেউলিয়ার পথে নিয়ে যাওয়া ব্যর্থ ও পুতুল এম.ডি. আমজাদ হোসেন কনককে নিয়ে বীমাঙ্গনে চলছে বিশাল তোলপাড়। হাল আমলের এ জাতীয় তোলপাড় করার পিছনের কারণ হিসেবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্বদেশ লাইফ, পদ্মা ইসলামি লাইফ ও ডায়মন্ড লাইফ এর মতো কোম্পানি গুলোতে এমডি হতে তদবির করে ব্যর্থ হওয়া অনেক গুলো মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত কাগজে কলমে পলাতক আসামি আমজাদ সাহেব প্রকাশ্যে এসে প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুইরেন্স এ মূ্খ্য নির্বাহী হতে ইন্টারভিউ দিতে হাজির হয় এবং এই বিষয়টা আবার টাকার বিনিময়ে একটা নাম সর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচারও করে। বিষয়টি এখন ইন্সুরেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে টক অব দ্যা ইন্সুরেন্স। অনেকেই বিষয়টি কে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন। শুধুমাত্র লবিংকে পুঁজি করে কোন কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী হওয়ার যোগ্যতায় অযোগ্য ব্যক্তি আমজাদ লবিং তদবির করেই গোল্ডেন লাইফ এর মতো কোম্পানির নির্বাহী পদে নিয়োগ নেন। নিয়োগের পর হতে কোম্পানিটিকে যথাযথ ভাবে পরিচালনায়, গ্রাহকের দেনা পরিশোধে ও ব্যবসায়িক লক্ষ মাত্রা অর্জনে দীর্ঘ সময় ধরে মারাত্মক ভাবে ব্যর্থ হলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ(ইডরা) সেখানে বোর্ড স্থগিত করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এ প্রেক্ষাপটে মালিক পক্ষ এহেন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে মাতারিক্ত তদবির বাণিজ্যের কারণে বোঝা হয়ে বসে থাকা আমজাদ হোসেনকে পুনরায় বিশ্বাস করে সেখানে তৌহিদুল আলম নামক একজনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন এবং গ্রাহকের দায় পরিশোধ করে কোম্পানিকে লাভজনক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে তেজগাঁওয়ে কোম্পানির নামে ক্রয়কৃত একমাত্র স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে পরিচালকগন তাদের সুনাম রক্ষায় বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ বুঝিয়ে দেন। ২০২০/২১ সালে মালিক পক্ষ থেকে উক্ত নগদ ৫০ কোটি টাকা বুঝে নিয়ে উপদেষ্টার সাথে যোগসাজশে নিজেদেরকে আরও বিত্তশালী করে তুলেন| ইতিপূর্বে বিভিন্ন কোম্পানি হতে বাদপড়া আমজাদ গং ও তার দোসরেরা কোন ধরনের বিধিনিষেধ ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা এবং হাজার হাজার গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা না করে এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৬/৭ মাসের বেতন বকেয়া থাকার পরও আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা আমজাদ এক ধাক্কায় নিজের বেতন দ্বিগুণ বাড়িয়ে নেন। রাতারাতি মালিক বনে যান একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের। মানুষ কি কখনো শুধুমাত্র নিজের বিত্তবৈভবের জন্য এতটা হিংস্র হতে পারে?
বীমা আইনে উপদেষ্টা এমডির চাইতে কম সম্মানীতে নিয়োগ করার সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও পুতুল এমডি খ্যাত মাকালফল আমজাদ সাহেব শুধুমাত্র নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং পরিচালনা পর্ষদকে ভুলবাল বুঝিয়ে উপদেষ্টা পদে তৌহিদুল আলমকে তার চেয়েও অধিক সুযোগ সুবিধা ও মাসিক ৭ (সাত) লক্ষ টাকা সম্মানীতে নিয়োগ প্রদান করেন। যা বীমা আইন প্রবিধিমালা, মালিক ও গ্রাহক স্বার্থ পরিপন্থী। ফলশ্রুতিতে ২০/২১ সালে গ্রহণকৃত ৫০ কোটি টাকা মাত্র দু’বছরে ২২/২৩ সালেই লুটপাট হয়ে যায়। গ্রাহকের দেনার পরিমাণ বাড়ে ,আমজাদ সাহেবের ভোগকৃত সুবিধার মতোই কয়েকগুণ। গোল্ডেন লাইফকে পরিনত করেন লুন্ঠনের স্বর্গরাজ্যে। শুধু তাই নয় তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে স্বামী স্ত্রী ও পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যবসা উন্নয়নের নামে কক্সবাজারে প্রমোদ ভ্রমণ করেন। অফিসকে ব্যক্তিগত পানশালায় পরিনত করে গ্রাহকের আমানত ভেংগে নিজের ও উপদেষ্টার জন্মদিনের উৎসবে খরচ করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁতে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের নামে ভূরিভোজ ও আমোদ ফুর্তিতে ব্যয় করেন কোটি কোটি টাকা। কোম্পানির ও গ্রাহকের স্বার্থ পরিপন্থী এ জাতীয় প্রমোদে নগদ ৫০ কোটিরও বেশি খরচের রেকর্ড করেন । এতো অনৈতিক ও অব্যবস্থাপনার কারণে কোম্পানি ধারণ করে বীমা জগতে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ হার। শুধুমাত্র এই একটি কারনেই একটা কোম্পানি ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। কোন ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই এতো বিশাল অংকের টাকা বিনা হিসাবে খরচ করায় তৎকালীন দায় ৭০/৮০ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২০০/২৫০ কোটিতে উপনীত হয়। বিষয় টি জানতে পেরে গ্রাহক গণ দিশেহারা হয়ে শত শত মামলা করেন মালিক পক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নামে। ১১৩টি মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আমজাদ সাহেব এখন টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ ম্যানেজ করে দাপিয়ে চলছে কাগজে কলমে পলাতক আসামি। শত শত মামলায় জর্জরিত মালিক পক্ষ হতাশা গ্রস্ত হয়ে কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার উপায় খুঁজছেন। বিক্রির বিষয়টা টের পেয়ে ধূর্ত আমজাদও বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ ও তদবির করে বেড়াচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তদবির নির্ভর এই মাফিয়া এমডির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সকল জেলায় এবং ইডরায় বার বার অভিযোগ করে কোন ধরনের প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্সের বিষয়টি দুদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ চাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। এ জন্য তারা কয়েক দফা মানব বন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
ডিগ্রি পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি প্রাপ্ত এবং সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত সার্টিফিকেট নিয়ে মোশাররফ যুগে টাকার বিনিময়ে নিয়োগকৃত এমডি জনাব আমজাদ সাহেব এর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং সফলতা ব্যর্থতার সঠিক খোঁজ খবর জানাযাবে ইতিপূর্বে চাকুরী করা বীমা কোম্পানি গুলো, তার বর্তমান কর্মস্থল গোল্ডেন লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী ও ইডরা কর্তৃপক্ষের কাছে । গোল্ডেন লাইফকে বাংলাদেশের শীর্ষ দশে উন্নীত এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত করনের আশ্বাস দিয়ে চাকরি নিলেও শতভাগ ব্যর্থ হওয়া জনাব আমজাদ হোসেন কনক চাকরি জীবনের প্রথমে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ডেলটা লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী হতে বাদ পড়েন তদবিরে পপুলার লাইফে যোগদান করে অর্থ আত্মসাৎ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সেখানেও টিকতে পারেননি। নৈতিক স্খলন জনিত কারণে বার বার বাদ পড়া অর্থলোভী আমজাদ সাহেব ইন্সুইরেন্স কোম্পানীর চাকুরীতে সুবিধা করতে না পেরে আত্মসাৎ করা টাকায় ঢাকার ধানমন্ডিতে রাফা প্লাজায় একটা খাবার হোটেল খুলে বসেন। সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেন নি। উপায়ন্তর না দেখে বিভিন্ন কোম্পানি ঘুরে পরবর্তীতে জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্সুইরেন্স এ যোগদান করে। কোম্পানিকে শীর্ষ পর্যায়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেনিথ লাইফে পদোন্নতি নিয়ে এমডি হয়ে একমাসের মধ্যেই কোম্পানির এফডিআর সঞ্চয়পত্র ভাংগানোর মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। পরিচালনা পর্ষদের দুরদর্শিতায় এ যাত্রায় সে সফল হতে পারেনি। মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাদ পড়ে জেনিথ ইসলামি লাইফ থেকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আবারও লবিং করে তৎকালীন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মাহফুজুল বারী সাহেবের মাধ্যমে ডিএমডি হিসেবে গোল্ডেন লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে জনাব মাহফুজুল বারী সাহেব আমেরিকায় পাড়ি জমালে মাহফুজুল বারী সাহেবের মাধ্যমে ভাগিনা পরিচয় দিয়ে গোল্ডেন লাইফ এ এমডি (সিসি) হিসেবে ভারপ্রাপ্ত হয়ে একপর্যায়ে তদবির করে সেখানে বিতর্কিত সার্টিফিকেট দিয়ে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ বাগিয়ে নেন।
প্রগ্রেসিভ লাইফের সরকার কর্তৃক সৃষ্ট পরিচালনা পর্ষদে কি ভাবে পুলিশের তালিকায় মোস্টওয়ান্টেড ভুক্ত ফেরারি আসামি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির হয় এটাই রহস্যময়। কর্তৃপক্ষের উচিত হবে কাউকে এ ধরনের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ বা সাক্ষাতকার বোর্ডে ডাকলে তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া। কোম্পানী পরিচালনা পর্ষদ কাউকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগে কোন ধরনের ভুল করলে আবারও সমস্যায় পড়তে পারে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত ও বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানি। কেননা এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ইডরা, দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলো খুবই প্রাসঙ্গিক।
তদবিরবাজ আমজাদ এর কোন ধরনের তদবির ও মুখের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে তার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে পরিচালিত হওয়া গোল্ডেন লাইফ এ খোঁজ নিলেই বেরিয়ে আসবে অনেক জানা অজানা তথ্য। গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্সের গলার কাঁটা জনাব আমজাদ হোসেন যতটা না কলঙ্কিত করে তার কর্মস্থল, কোম্পানি ও তার অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের, তার চাইতে শতগুণ নষ্ট করে মালিক পক্ষের সুনাম ও সুখ্যাতি। নিজের অপকর্মের কারণে মালিক পক্ষকে জড়িয়ে ফেলেন মামলার বেড়াজালে। অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয় মহৎপ্রাণ উদ্যোক্তা মালিকদের শত সহস্র স্বপ্নের আলোর বাতিঘর। ডুবে যায় অনাগত দিনের স্বপ্ন বিলাসী মানুষ ও একটি স্বতন্ত্র স্বত্তা বিশিষ্ট কোম্পানি। অথচ সহজ সরল এ সকল মালিকদের মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে সে শুরুতে কোম্পানিতে নিয়োগ নিয়েছিল। যারা মানব কল্যান, বেকারত্বের কর্মসংস্থান ও নিজেদের লাভবান করার এক মহৎ স্বপ্ন নিয়ে গঠন করেছিলেন একটা কোম্পানি। যার বাস্তব প্রমাণ গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্স লিঃ। এর চাইতে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে। খুবই নিকট অতীতের তার সফলতা ব্যর্থতার কর্মস্থল গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্স লিঃ হতে পারে শুধুমাত্র তদবির নির্ভর ও কথার জাদুকর আমজাদ হোসেন কনকের নিকৃষ্টতম যোগ্যতার উৎকৃষ্টতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ধরনের তদবির বাজ মাফিয়া নির্ভর এমডি বিভিন্ন কোম্পানির উর্ধতনদের তার তদবির এবং কথার জালে জড়িয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাগিয়ে নেন পদ পদবী কিন্তু কিছু সময় পরে সেটা গলার ফাঁস হয়ে ধ্বংস করে বীমা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে। গোল্ডেন লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানির লক্ষাধিক গ্রাহকের আমানত রক্ষা, সহস্রাধিক লোকের কর্মসংস্থান এবং কোম্পানিটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত পূর্বক দ্রুত আমজাদ হোসেন সহ দায়ী সকলকে আইনের আওতায় এনে কোম্পানিটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় কোম্পানিটি দেউলিয়া হওয়ার দায় এড়াতে পারবেনা কেউই। কলঙ্কিত হবে বীমা শিল্প।
উপরোক্ত বিষয়ের সত্যতা জানতে দৈনিক মাতৃভূমির খবরের প্রতিনিধি দল এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঘটনার সত্যতা |
উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির বর্তমান এম ডি আমজাদ হোসেন কনক এর মতামত জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ করেন, কিন্তু উপরোক্ত বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান | পরের দিন তার সাথে সরাসরি অফিসে এসে দেখা করতে বলেন| এম ডি মহোদ্বয়ের কথামতো মতামত নেয়ার লক্ষ্যে অদ্দ ০৪ /১০ /২০২৩ ইং তারিখে তার বলা সময়ে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি| এমনকি তার কক্ষে বসে মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি , তাই এ বিষয়টি সম্পর্কে এম ডি র কোনো মতামত পাওয়া যায় নি |( বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায় আসছে )

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

“শীর্ষ নির্বাহী আমজাদ হোসেন কনক এর দুর্নীতির দায়ে ডুবতে বসছে তৃতীয় প্রজন্মের বীমা গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃএর অসহায় গ্রাহকদের দেখার কেউ নেই”

আপডেট টাইম ০৫:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, ফেইক পলিসি, নূন্যতম নবায়ন ব্যবসা অর্জনে ব্যর্থতা, তদবির বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতিসহ নানাবিধ অযোগ্যতা ও অদক্ষতার ভারে ডুবিয়ে গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ কে দেউলিয়ার পথে নিয়ে যাওয়া ব্যর্থ ও পুতুল এম.ডি. আমজাদ হোসেন কনককে নিয়ে বীমাঙ্গনে চলছে বিশাল তোলপাড়। হাল আমলের এ জাতীয় তোলপাড় করার পিছনের কারণ হিসেবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্বদেশ লাইফ, পদ্মা ইসলামি লাইফ ও ডায়মন্ড লাইফ এর মতো কোম্পানি গুলোতে এমডি হতে তদবির করে ব্যর্থ হওয়া অনেক গুলো মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত কাগজে কলমে পলাতক আসামি আমজাদ সাহেব প্রকাশ্যে এসে প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুইরেন্স এ মূ্খ্য নির্বাহী হতে ইন্টারভিউ দিতে হাজির হয় এবং এই বিষয়টা আবার টাকার বিনিময়ে একটা নাম সর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচারও করে। বিষয়টি এখন ইন্সুরেন্স ইন্ডাস্ট্রিতে টক অব দ্যা ইন্সুরেন্স। অনেকেই বিষয়টি কে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন। শুধুমাত্র লবিংকে পুঁজি করে কোন কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী হওয়ার যোগ্যতায় অযোগ্য ব্যক্তি আমজাদ লবিং তদবির করেই গোল্ডেন লাইফ এর মতো কোম্পানির নির্বাহী পদে নিয়োগ নেন। নিয়োগের পর হতে কোম্পানিটিকে যথাযথ ভাবে পরিচালনায়, গ্রাহকের দেনা পরিশোধে ও ব্যবসায়িক লক্ষ মাত্রা অর্জনে দীর্ঘ সময় ধরে মারাত্মক ভাবে ব্যর্থ হলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ(ইডরা) সেখানে বোর্ড স্থগিত করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এ প্রেক্ষাপটে মালিক পক্ষ এহেন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে মাতারিক্ত তদবির বাণিজ্যের কারণে বোঝা হয়ে বসে থাকা আমজাদ হোসেনকে পুনরায় বিশ্বাস করে সেখানে তৌহিদুল আলম নামক একজনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন এবং গ্রাহকের দায় পরিশোধ করে কোম্পানিকে লাভজনক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে তেজগাঁওয়ে কোম্পানির নামে ক্রয়কৃত একমাত্র স্থাবর সম্পদ বিক্রি করে পরিচালকগন তাদের সুনাম রক্ষায় বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ বুঝিয়ে দেন। ২০২০/২১ সালে মালিক পক্ষ থেকে উক্ত নগদ ৫০ কোটি টাকা বুঝে নিয়ে উপদেষ্টার সাথে যোগসাজশে নিজেদেরকে আরও বিত্তশালী করে তুলেন| ইতিপূর্বে বিভিন্ন কোম্পানি হতে বাদপড়া আমজাদ গং ও তার দোসরেরা কোন ধরনের বিধিনিষেধ ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা এবং হাজার হাজার গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা না করে এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৬/৭ মাসের বেতন বকেয়া থাকার পরও আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা আমজাদ এক ধাক্কায় নিজের বেতন দ্বিগুণ বাড়িয়ে নেন। রাতারাতি মালিক বনে যান একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের। মানুষ কি কখনো শুধুমাত্র নিজের বিত্তবৈভবের জন্য এতটা হিংস্র হতে পারে?
বীমা আইনে উপদেষ্টা এমডির চাইতে কম সম্মানীতে নিয়োগ করার সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও পুতুল এমডি খ্যাত মাকালফল আমজাদ সাহেব শুধুমাত্র নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং পরিচালনা পর্ষদকে ভুলবাল বুঝিয়ে উপদেষ্টা পদে তৌহিদুল আলমকে তার চেয়েও অধিক সুযোগ সুবিধা ও মাসিক ৭ (সাত) লক্ষ টাকা সম্মানীতে নিয়োগ প্রদান করেন। যা বীমা আইন প্রবিধিমালা, মালিক ও গ্রাহক স্বার্থ পরিপন্থী। ফলশ্রুতিতে ২০/২১ সালে গ্রহণকৃত ৫০ কোটি টাকা মাত্র দু’বছরে ২২/২৩ সালেই লুটপাট হয়ে যায়। গ্রাহকের দেনার পরিমাণ বাড়ে ,আমজাদ সাহেবের ভোগকৃত সুবিধার মতোই কয়েকগুণ। গোল্ডেন লাইফকে পরিনত করেন লুন্ঠনের স্বর্গরাজ্যে। শুধু তাই নয় তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে স্বামী স্ত্রী ও পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যবসা উন্নয়নের নামে কক্সবাজারে প্রমোদ ভ্রমণ করেন। অফিসকে ব্যক্তিগত পানশালায় পরিনত করে গ্রাহকের আমানত ভেংগে নিজের ও উপদেষ্টার জন্মদিনের উৎসবে খরচ করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁতে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের নামে ভূরিভোজ ও আমোদ ফুর্তিতে ব্যয় করেন কোটি কোটি টাকা। কোম্পানির ও গ্রাহকের স্বার্থ পরিপন্থী এ জাতীয় প্রমোদে নগদ ৫০ কোটিরও বেশি খরচের রেকর্ড করেন । এতো অনৈতিক ও অব্যবস্থাপনার কারণে কোম্পানি ধারণ করে বীমা জগতে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ হার। শুধুমাত্র এই একটি কারনেই একটা কোম্পানি ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। কোন ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই এতো বিশাল অংকের টাকা বিনা হিসাবে খরচ করায় তৎকালীন দায় ৭০/৮০ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২০০/২৫০ কোটিতে উপনীত হয়। বিষয় টি জানতে পেরে গ্রাহক গণ দিশেহারা হয়ে শত শত মামলা করেন মালিক পক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নামে। ১১৩টি মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আমজাদ সাহেব এখন টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ ম্যানেজ করে দাপিয়ে চলছে কাগজে কলমে পলাতক আসামি। শত শত মামলায় জর্জরিত মালিক পক্ষ হতাশা গ্রস্ত হয়ে কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার উপায় খুঁজছেন। বিক্রির বিষয়টা টের পেয়ে ধূর্ত আমজাদও বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ ও তদবির করে বেড়াচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তদবির নির্ভর এই মাফিয়া এমডির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সকল জেলায় এবং ইডরায় বার বার অভিযোগ করে কোন ধরনের প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্সের বিষয়টি দুদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ চাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। এ জন্য তারা কয়েক দফা মানব বন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
ডিগ্রি পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি প্রাপ্ত এবং সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত সার্টিফিকেট নিয়ে মোশাররফ যুগে টাকার বিনিময়ে নিয়োগকৃত এমডি জনাব আমজাদ সাহেব এর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং সফলতা ব্যর্থতার সঠিক খোঁজ খবর জানাযাবে ইতিপূর্বে চাকুরী করা বীমা কোম্পানি গুলো, তার বর্তমান কর্মস্থল গোল্ডেন লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী ও ইডরা কর্তৃপক্ষের কাছে । গোল্ডেন লাইফকে বাংলাদেশের শীর্ষ দশে উন্নীত এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত করনের আশ্বাস দিয়ে চাকরি নিলেও শতভাগ ব্যর্থ হওয়া জনাব আমজাদ হোসেন কনক চাকরি জীবনের প্রথমে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ডেলটা লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী হতে বাদ পড়েন তদবিরে পপুলার লাইফে যোগদান করে অর্থ আত্মসাৎ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সেখানেও টিকতে পারেননি। নৈতিক স্খলন জনিত কারণে বার বার বাদ পড়া অর্থলোভী আমজাদ সাহেব ইন্সুইরেন্স কোম্পানীর চাকুরীতে সুবিধা করতে না পেরে আত্মসাৎ করা টাকায় ঢাকার ধানমন্ডিতে রাফা প্লাজায় একটা খাবার হোটেল খুলে বসেন। সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেন নি। উপায়ন্তর না দেখে বিভিন্ন কোম্পানি ঘুরে পরবর্তীতে জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্সুইরেন্স এ যোগদান করে। কোম্পানিকে শীর্ষ পর্যায়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেনিথ লাইফে পদোন্নতি নিয়ে এমডি হয়ে একমাসের মধ্যেই কোম্পানির এফডিআর সঞ্চয়পত্র ভাংগানোর মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। পরিচালনা পর্ষদের দুরদর্শিতায় এ যাত্রায় সে সফল হতে পারেনি। মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাদ পড়ে জেনিথ ইসলামি লাইফ থেকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আবারও লবিং করে তৎকালীন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মাহফুজুল বারী সাহেবের মাধ্যমে ডিএমডি হিসেবে গোল্ডেন লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে জনাব মাহফুজুল বারী সাহেব আমেরিকায় পাড়ি জমালে মাহফুজুল বারী সাহেবের মাধ্যমে ভাগিনা পরিচয় দিয়ে গোল্ডেন লাইফ এ এমডি (সিসি) হিসেবে ভারপ্রাপ্ত হয়ে একপর্যায়ে তদবির করে সেখানে বিতর্কিত সার্টিফিকেট দিয়ে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ বাগিয়ে নেন।
প্রগ্রেসিভ লাইফের সরকার কর্তৃক সৃষ্ট পরিচালনা পর্ষদে কি ভাবে পুলিশের তালিকায় মোস্টওয়ান্টেড ভুক্ত ফেরারি আসামি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির হয় এটাই রহস্যময়। কর্তৃপক্ষের উচিত হবে কাউকে এ ধরনের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ বা সাক্ষাতকার বোর্ডে ডাকলে তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া। কোম্পানী পরিচালনা পর্ষদ কাউকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগে কোন ধরনের ভুল করলে আবারও সমস্যায় পড়তে পারে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত ও বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানি। কেননা এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ইডরা, দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলো খুবই প্রাসঙ্গিক।
তদবিরবাজ আমজাদ এর কোন ধরনের তদবির ও মুখের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে তার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে পরিচালিত হওয়া গোল্ডেন লাইফ এ খোঁজ নিলেই বেরিয়ে আসবে অনেক জানা অজানা তথ্য। গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্সের গলার কাঁটা জনাব আমজাদ হোসেন যতটা না কলঙ্কিত করে তার কর্মস্থল, কোম্পানি ও তার অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের, তার চাইতে শতগুণ নষ্ট করে মালিক পক্ষের সুনাম ও সুখ্যাতি। নিজের অপকর্মের কারণে মালিক পক্ষকে জড়িয়ে ফেলেন মামলার বেড়াজালে। অন্ধকারে ডুবিয়ে দেয় মহৎপ্রাণ উদ্যোক্তা মালিকদের শত সহস্র স্বপ্নের আলোর বাতিঘর। ডুবে যায় অনাগত দিনের স্বপ্ন বিলাসী মানুষ ও একটি স্বতন্ত্র স্বত্তা বিশিষ্ট কোম্পানি। অথচ সহজ সরল এ সকল মালিকদের মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে সে শুরুতে কোম্পানিতে নিয়োগ নিয়েছিল। যারা মানব কল্যান, বেকারত্বের কর্মসংস্থান ও নিজেদের লাভবান করার এক মহৎ স্বপ্ন নিয়ে গঠন করেছিলেন একটা কোম্পানি। যার বাস্তব প্রমাণ গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্স লিঃ। এর চাইতে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে। খুবই নিকট অতীতের তার সফলতা ব্যর্থতার কর্মস্থল গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্স লিঃ হতে পারে শুধুমাত্র তদবির নির্ভর ও কথার জাদুকর আমজাদ হোসেন কনকের নিকৃষ্টতম যোগ্যতার উৎকৃষ্টতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ধরনের তদবির বাজ মাফিয়া নির্ভর এমডি বিভিন্ন কোম্পানির উর্ধতনদের তার তদবির এবং কথার জালে জড়িয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাগিয়ে নেন পদ পদবী কিন্তু কিছু সময় পরে সেটা গলার ফাঁস হয়ে ধ্বংস করে বীমা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে। গোল্ডেন লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানির লক্ষাধিক গ্রাহকের আমানত রক্ষা, সহস্রাধিক লোকের কর্মসংস্থান এবং কোম্পানিটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত পূর্বক দ্রুত আমজাদ হোসেন সহ দায়ী সকলকে আইনের আওতায় এনে কোম্পানিটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় কোম্পানিটি দেউলিয়া হওয়ার দায় এড়াতে পারবেনা কেউই। কলঙ্কিত হবে বীমা শিল্প।
উপরোক্ত বিষয়ের সত্যতা জানতে দৈনিক মাতৃভূমির খবরের প্রতিনিধি দল এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঘটনার সত্যতা |
উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির বর্তমান এম ডি আমজাদ হোসেন কনক এর মতামত জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ করেন, কিন্তু উপরোক্ত বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান | পরের দিন তার সাথে সরাসরি অফিসে এসে দেখা করতে বলেন| এম ডি মহোদ্বয়ের কথামতো মতামত নেয়ার লক্ষ্যে অদ্দ ০৪ /১০ /২০২৩ ইং তারিখে তার বলা সময়ে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি| এমনকি তার কক্ষে বসে মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি , তাই এ বিষয়টি সম্পর্কে এম ডি র কোনো মতামত পাওয়া যায় নি |( বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায় আসছে )