ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা নারায়ণগঞ্জের বন্দর ষষ্ঠ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহন ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেএ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রামগঞ্জে ২টি কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা

ধামরাইয়ে অভিযোগ কারীর উপর হামলা করতে এসে থানার প্রধান ফটকে গ্রেফতার হলেন নাশকতা মামলার আসামি বিএনপির সভাপতি সেলিম খান।।

অপু চক্রবর্তী ,ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধামরাইয়ে অভিযোগ কারীর উপর হামলা করতে এসে থানার প্রধান ফটকের গ্রেপ্তার হয়েছেন নাশকতা মামলার অন্যতম আসামী ও বিএনপি’র সভাপতি সেলিম খান। তিনি উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও রোয়াইলল গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুস সবুর ওরফে সাবু খানের ছেলে।ধামরাই থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও রোয়াইল গ্রামের মোঃ আব্দুস সবুর ওরফে সাবু খানের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম খান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান সাতটার দিকে স্থানীয় সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের প্রেম চাঁন রাজবংশীকে রোয়াইল বাজারে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।

এসময় প্রেম চাঁন রাজবংশীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সংখ্যালঘু সম্ তিনি কোনমতে প্রাণে রক্ষা পান। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় মাতবর ও গ্রাম হিতৈষীদের কাছে শনিবার দিনভর ধরনা দিয়েও এ ব্যাপারে কোন প্রতিকার পাননি তিনি। হলে নিরুপায় হয়ে এ ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই ভুক্তভোগী প্রেমচাঁন রাজবংশী শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিএনপি’র সভাপতি ওই সেলিম খানের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে আসেন।

বিষয়টি সভাপতি ও নাশকতা মামলার অন্যতম আসামি সেলিম খান জানতে পেরে সদলবলে ধামরাই থানার প্রধান ফটকের কাছে কম্পিউটারের দোকানে এসে ওই ভুক্তভোগী প্রেমচাঁন রাজবংশীকে অভিযোগ লিখতে বাধা প্রদান করেন।

তার বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে অভিযোগ থানার ভেতরে ডিউটি অফিসারের কক্ষে অভিযোগ জমা দিতে যাওয়ার পথিমধ্যে থানার প্রধান ফটকে ওই ভুক্তভোগী প্রেমচাঁদ রাজবংশীর উপর অতর্কিত হামলা চালান বিএনপির সভাপতি ওলাসকতা মামলার অন্যতম আসামি সেলিম খান।

বিষয়টি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ধামরাই থানার সুযোগ্য পুলিশ অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হারুন অর রশিদ ফোর্স পাঠিয়ে ওই নাশকতা মামলার অন্যতম আসামি সেলিম খান কে গ্রেফতার করান। তাকে নাশকতা মামলায় রোববার ঢাকাস্থ্য ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হব।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রেম সং রাজবংশী বলেন,সেলিম খান রয়েল বাজারের সুদের ব্যবসার অফিস খুলে বসেছে। তার চড়া সুদে ঋণের খপ্পরে পড়ে সমাজের অনেকেই হচ্ছেন নিঃস্ব একে আরো নিঃস্ব। গরিব হচ্ছেন আরো গরিব।তার এখনো কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তিনি আমার উপর ক্ষুব্ধ হন।

এরিজের ধরে তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় বোয়াইল বাজারে আমার পেটে অস্ত্র থেকে হত্যার চেষ্টা করে।আমার ডাকে তার স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আমি কোন মতে প্রাণে রক্ষা পাই। এ ঘটনায় আমি স্থানীয় মাতব্বর ও গ্রামহিতৈষীদের কাছে শনিবার দিনভর ধরনা দিয়েও আমি কোন প্রতিকার পাইনি। নিরুপায় হয়ে ধামরাই থানায় অভিযোগ করতে আসি তার বিরুদ্ধে।

খবর পেয়ে তিনি থানার গেটে এসেই আমার উপর হামলা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। আর বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা রয়েছ। তার গ্রেপ্তারে আমি মহা খুশি হয়েছি।উপরওয়ালা আমার সঠিক বিচার করে দেখিছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপি’র সভাপতি সেলিম খান বলে, আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।আমি কোন জ্বালাও পুড়াও,ভাঙচুর ও ধ্বংসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ন। মন রাজনীতি আমি করিনা। আমার বিরুদ্ধে সত্য নয়।এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।কে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এলাকার দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা আমার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছ। এ মামলায় আমার কিছুই হবে ন।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলে, থানার সামনে কম্পিউটারের দোকানে ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নাশকতা মামলার অন্যতম আসামি royal union এর এক নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম খানকে তার করা হয়।তাকে আজ রোববার ঢাকা তো ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হব।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

ধামরাইয়ে অভিযোগ কারীর উপর হামলা করতে এসে থানার প্রধান ফটকে গ্রেফতার হলেন নাশকতা মামলার আসামি বিএনপির সভাপতি সেলিম খান।।

আপডেট টাইম ০২:১৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অপু চক্রবর্তী ,ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধামরাইয়ে অভিযোগ কারীর উপর হামলা করতে এসে থানার প্রধান ফটকের গ্রেপ্তার হয়েছেন নাশকতা মামলার অন্যতম আসামী ও বিএনপি’র সভাপতি সেলিম খান। তিনি উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও রোয়াইলল গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুস সবুর ওরফে সাবু খানের ছেলে।ধামরাই থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও রোয়াইল গ্রামের মোঃ আব্দুস সবুর ওরফে সাবু খানের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম খান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান সাতটার দিকে স্থানীয় সংখ্যালঘুর সম্প্রদায়ের প্রেম চাঁন রাজবংশীকে রোয়াইল বাজারে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।

এসময় প্রেম চাঁন রাজবংশীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সংখ্যালঘু সম্ তিনি কোনমতে প্রাণে রক্ষা পান। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় মাতবর ও গ্রাম হিতৈষীদের কাছে শনিবার দিনভর ধরনা দিয়েও এ ব্যাপারে কোন প্রতিকার পাননি তিনি। হলে নিরুপায় হয়ে এ ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই ভুক্তভোগী প্রেমচাঁন রাজবংশী শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিএনপি’র সভাপতি ওই সেলিম খানের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে আসেন।

বিষয়টি সভাপতি ও নাশকতা মামলার অন্যতম আসামি সেলিম খান জানতে পেরে সদলবলে ধামরাই থানার প্রধান ফটকের কাছে কম্পিউটারের দোকানে এসে ওই ভুক্তভোগী প্রেমচাঁন রাজবংশীকে অভিযোগ লিখতে বাধা প্রদান করেন।

তার বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে অভিযোগ থানার ভেতরে ডিউটি অফিসারের কক্ষে অভিযোগ জমা দিতে যাওয়ার পথিমধ্যে থানার প্রধান ফটকে ওই ভুক্তভোগী প্রেমচাঁদ রাজবংশীর উপর অতর্কিত হামলা চালান বিএনপির সভাপতি ওলাসকতা মামলার অন্যতম আসামি সেলিম খান।

বিষয়টি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ধামরাই থানার সুযোগ্য পুলিশ অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হারুন অর রশিদ ফোর্স পাঠিয়ে ওই নাশকতা মামলার অন্যতম আসামি সেলিম খান কে গ্রেফতার করান। তাকে নাশকতা মামলায় রোববার ঢাকাস্থ্য ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হব।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রেম সং রাজবংশী বলেন,সেলিম খান রয়েল বাজারের সুদের ব্যবসার অফিস খুলে বসেছে। তার চড়া সুদে ঋণের খপ্পরে পড়ে সমাজের অনেকেই হচ্ছেন নিঃস্ব একে আরো নিঃস্ব। গরিব হচ্ছেন আরো গরিব।তার এখনো কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তিনি আমার উপর ক্ষুব্ধ হন।

এরিজের ধরে তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় বোয়াইল বাজারে আমার পেটে অস্ত্র থেকে হত্যার চেষ্টা করে।আমার ডাকে তার স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আমি কোন মতে প্রাণে রক্ষা পাই। এ ঘটনায় আমি স্থানীয় মাতব্বর ও গ্রামহিতৈষীদের কাছে শনিবার দিনভর ধরনা দিয়েও আমি কোন প্রতিকার পাইনি। নিরুপায় হয়ে ধামরাই থানায় অভিযোগ করতে আসি তার বিরুদ্ধে।

খবর পেয়ে তিনি থানার গেটে এসেই আমার উপর হামলা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। আর বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা রয়েছ। তার গ্রেপ্তারে আমি মহা খুশি হয়েছি।উপরওয়ালা আমার সঠিক বিচার করে দেখিছেন।

এ ব্যাপারে বিএনপি’র সভাপতি সেলিম খান বলে, আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।আমি কোন জ্বালাও পুড়াও,ভাঙচুর ও ধ্বংসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ন। মন রাজনীতি আমি করিনা। আমার বিরুদ্ধে সত্য নয়।এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।কে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এলাকার দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা আমার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছ। এ মামলায় আমার কিছুই হবে ন।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলে, থানার সামনে কম্পিউটারের দোকানে ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নাশকতা মামলার অন্যতম আসামি royal union এর এক নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম খানকে তার করা হয়।তাকে আজ রোববার ঢাকা তো ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হব।