ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বকেয়া পাওনা নিয়ে ঠিকাদার খুনের ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ আব্দুস সালাম।

বকেয়া পাওনা অসন্তোষে ঠিকাদার মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৮)কে খুনের ঘটনার সহিত জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যে এ তথ্য জানান মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজনগর উপজেলার শ্যামেরকোনা, (নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে আব্দুল মুমিন (২৩) ও মানিক মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (২১) ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে জয়নাল মিয়ার ছেলে মাহিন আহমদ তাদের বসত বাড়িতে একটি মৃত দেহ পড়িয়া রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে মৃত দেহ উদ্ধার করে । তদন্তকালে জানা যায় যে, মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ চুনু মিয়া, সাং-মালিকোনা, ৮নং মুনসুরনগর ইউপি, থানা- রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার এর কাজ করিত। গত ১ বছর যাবত অত্র থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ছিকরাইল সাকিনের জনৈক মাহিন আহমদ, পিতা-জয়নাল মিয়া এর বসত বাড়িতে পাকা বিল্ডিং এর বসত ঘর নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের মাধ্যমে করিয়া আসিতেছে। গত দেড় মাস পূর্বে নির্মান কাজের জন্য শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়োগ করে। বেশ কয়েকদিন যাবত তাহার নিয়োগকৃত শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদীর কাজের মজুরী নিয়া মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২.১০ ঘটিকা হইতে বিকাল অনুমান ৩.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে মৃত সিরাজুল ইসলাম এর মাথায়, ডান গালে, ডান চুখের ভ্রুর উপর, উভয় ঠোঁটের ডান পাশে, থুথুনীর ডান পাশে এবং নাকের অগ্রভাগে কাটা জখম করিয়া হত্যা করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয় ।
ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম(১৯) উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত এজাহারের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা রুজু করিয়া মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ) আবুল কালাম চৌধুরী এর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়।পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার, নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন রাসেল এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য এসআই/ আবুল কালাম চৌধুরী সহ একটি অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

বকেয়া পাওনা নিয়ে ঠিকাদার খুনের ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আপডেট টাইম ০২:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ আব্দুস সালাম।

বকেয়া পাওনা অসন্তোষে ঠিকাদার মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৮)কে খুনের ঘটনার সহিত জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যে এ তথ্য জানান মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজনগর উপজেলার শ্যামেরকোনা, (নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে আব্দুল মুমিন (২৩) ও মানিক মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (২১) ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে জয়নাল মিয়ার ছেলে মাহিন আহমদ তাদের বসত বাড়িতে একটি মৃত দেহ পড়িয়া রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে মৃত দেহ উদ্ধার করে । তদন্তকালে জানা যায় যে, মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ চুনু মিয়া, সাং-মালিকোনা, ৮নং মুনসুরনগর ইউপি, থানা- রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার এর কাজ করিত। গত ১ বছর যাবত অত্র থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ছিকরাইল সাকিনের জনৈক মাহিন আহমদ, পিতা-জয়নাল মিয়া এর বসত বাড়িতে পাকা বিল্ডিং এর বসত ঘর নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের মাধ্যমে করিয়া আসিতেছে। গত দেড় মাস পূর্বে নির্মান কাজের জন্য শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়োগ করে। বেশ কয়েকদিন যাবত তাহার নিয়োগকৃত শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদীর কাজের মজুরী নিয়া মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২.১০ ঘটিকা হইতে বিকাল অনুমান ৩.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে মৃত সিরাজুল ইসলাম এর মাথায়, ডান গালে, ডান চুখের ভ্রুর উপর, উভয় ঠোঁটের ডান পাশে, থুথুনীর ডান পাশে এবং নাকের অগ্রভাগে কাটা জখম করিয়া হত্যা করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয় ।
ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম(১৯) উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত এজাহারের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা রুজু করিয়া মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ) আবুল কালাম চৌধুরী এর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়।পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার, নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন রাসেল এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য এসআই/ আবুল কালাম চৌধুরী সহ একটি অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।