ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিআাই খোলা মোড় ডিএনডি লেক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ আইনের সেবক আর মানুষের কল্যাণে সর্বদা বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন।। ইন্দুরকানীতে বিশ^ তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪ উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচী –ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী ও রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি এলাকা হতে ৯৩২০ পিস ইয়াবা ও ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও দুইটি মোটরসাইকেল জব্দ। কুমিল্লা,মুরাদনগরে মোবাইল কোর্টে দুই মাদক সেবীকে-১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। নারায়ণগঞ্জে ইউসিবির উদ্যোগে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যখাতের উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “ “র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ” দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইকবালসহ মোট ০৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

নড়াইলে যৌতুক না দেওয়ায় মারধরের শিকার সিভিল ইন্জিঃ স্ত্রী

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় যৌতুক না দেওয়ায় মারধরের শিকার হয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন এক নারী সিভিল ইন্জিনিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার লোহাগড়া পৌরসভার রামপুর গ্রামে। এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ ২০১১ইং তারিখে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ইস্ট লেন রোড সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার মোঃ আবদুর রহমান এর ছেলে মনিরুল হাসান এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয় রামপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসান এর কন্যা ফাহমিদা হাসানের সাথে। বিয়ের পর থেকে মনিরুলের পরিবার বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবী করে আসছিল ফাহমিদার পরিবারের কাছে। ফাহমিদার ভাই সৌদি আরব থাকায় স্বামী মনিরুল এই সুযোগে বিভিন্ন সময় ব্যাবসার জন্য সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়েছে। যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে স্ত্রী ফাহমিদার উপর চালানো হতো চরম ভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার ও নির্যাতন । বিয়ের ৭ বছর পর ঐ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় এক কণ্যা শিশু। কন্যা শিশু জন্ম নেওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। স্বামী মনিরুল এর মা,বাবা,ভাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে স্ত্রী ফাহমিদাকে যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য মারধর করে বাবার বাড়ি রামপুর পাঠিয়ে দিতেন। এর মধ্যে গত ১৫.১১.২০২০ ইং তারিখে ফাহমিদার পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
ভাইয়ের মৃত্যুর পর যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচার ও নির্যতন আরো চরম আকার ধারন করে। তার উপর চালানো হয় চরম অমানুষিক নির্যাতন, স্বামী মনিরুলের পরিবার নির্যাতন করে ৩ দিন যাবত ঘরের রুমের মধ্যে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করলে পুলিশের এক ডিআইজির হস্তক্ষেপে উদ্ধার করে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
পুলিশের হস্তক্ষেপে আবার স্বমীর বাড়ি গেলে পরের দিন থেকে আবার শুরু হয় শারিরীক নির্যাতন এবং বলে বাবার বাড়িতে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে আয় আমি কনস্ট্রাকশনের ব্যাবসা করবো এই বলে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্ত্রী ফাহমিদাকে। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্বামী মনিরুল, শ্বশুর আবদুর রহমান, শ্বাশুড়ি হাফিজা বেগম ও দেবররা সকলে মিলে গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে ফাহমিদার রামপুরের বাড়িতে এসে যৌতুকের ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলেন, টাকা দিতে না পারায় স্ত্রী ফাহমিদাকে শারীরিক নির্যাতন করে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ফাহমিদা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ছে। ফাহমিদা এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে ৫ বছরের কণ্যা শিশু ও বিধবা মাকে নিয়ে কি করবে ভেবেই কান্নায় হাসপাতালের বেডের বালিশ ভেজাচ্ছে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিআাই খোলা মোড় ডিএনডি লেক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

নড়াইলে যৌতুক না দেওয়ায় মারধরের শিকার সিভিল ইন্জিঃ স্ত্রী

আপডেট টাইম ০৭:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় যৌতুক না দেওয়ায় মারধরের শিকার হয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন এক নারী সিভিল ইন্জিনিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার লোহাগড়া পৌরসভার রামপুর গ্রামে। এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ ২০১১ইং তারিখে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ইস্ট লেন রোড সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার মোঃ আবদুর রহমান এর ছেলে মনিরুল হাসান এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয় রামপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসান এর কন্যা ফাহমিদা হাসানের সাথে। বিয়ের পর থেকে মনিরুলের পরিবার বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবী করে আসছিল ফাহমিদার পরিবারের কাছে। ফাহমিদার ভাই সৌদি আরব থাকায় স্বামী মনিরুল এই সুযোগে বিভিন্ন সময় ব্যাবসার জন্য সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়েছে। যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে স্ত্রী ফাহমিদার উপর চালানো হতো চরম ভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার ও নির্যাতন । বিয়ের ৭ বছর পর ঐ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় এক কণ্যা শিশু। কন্যা শিশু জন্ম নেওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। স্বামী মনিরুল এর মা,বাবা,ভাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে স্ত্রী ফাহমিদাকে যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য মারধর করে বাবার বাড়ি রামপুর পাঠিয়ে দিতেন। এর মধ্যে গত ১৫.১১.২০২০ ইং তারিখে ফাহমিদার পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
ভাইয়ের মৃত্যুর পর যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যাচার ও নির্যতন আরো চরম আকার ধারন করে। তার উপর চালানো হয় চরম অমানুষিক নির্যাতন, স্বামী মনিরুলের পরিবার নির্যাতন করে ৩ দিন যাবত ঘরের রুমের মধ্যে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করলে পুলিশের এক ডিআইজির হস্তক্ষেপে উদ্ধার করে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
পুলিশের হস্তক্ষেপে আবার স্বমীর বাড়ি গেলে পরের দিন থেকে আবার শুরু হয় শারিরীক নির্যাতন এবং বলে বাবার বাড়িতে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে আয় আমি কনস্ট্রাকশনের ব্যাবসা করবো এই বলে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্ত্রী ফাহমিদাকে। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্বামী মনিরুল, শ্বশুর আবদুর রহমান, শ্বাশুড়ি হাফিজা বেগম ও দেবররা সকলে মিলে গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে ফাহমিদার রামপুরের বাড়িতে এসে যৌতুকের ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলেন, টাকা দিতে না পারায় স্ত্রী ফাহমিদাকে শারীরিক নির্যাতন করে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ফাহমিদা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ছে। ফাহমিদা এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে ৫ বছরের কণ্যা শিশু ও বিধবা মাকে নিয়ে কি করবে ভেবেই কান্নায় হাসপাতালের বেডের বালিশ ভেজাচ্ছে।