ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, হোটেল-মোটেলে চলছে বিশেষ ছাড়।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, হোটেল-মোটেলে চলছে বিশেষ ছাড়। রমজানের শুরু থেকই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। রমজানের আগে ছুটির দিনগুলোতে সৈকতের আশপাশের আবাসিক হোটেলে কক্ষ না পেয়ে অনেক পর্যটককেই খোলা আকাশের নিচে, বাসের মধ্যে কিংবা সৈকতের বেঞ্চিতে রাত্রিযাপন করতে দেখা গেছে। কিন্তু সৈকতের সেই চিত্র এখন পুরোপুরি ভিন্ন। পর্যটকের আনাগোনা না থাকায় সংকটে পড়েছেন পর্যটক সংশ্লিষ্ট নিম্ন আয়ের মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট, লেবুর বন, শুঁটকি পল্লী, লাল কাকড়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কাউয়ারচর, গঙ্গামতিসহ সকল পর্যটন স্পটই এখন পর্যটকশূন্য। দোকান খুলে বসে রয়েছেন গুটি কয়েক ফুচকা বিক্রেতা। ১০ থেকে ১২ জন আলোকচিত্রী সৈকতে বালুভর্তি জিওব্যাগের উপরে বসে গল্প করছেন। সৈকতের ভাসমান দোকান, শুঁটকি মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মহিলা মার্কেটে পর্যটকদের আনাগোনা নেই। আগের মতো নেই কোলাহল। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে।
সৈকতের আলোকচিত্রী মো. আয়নাল বলেন, রমজানের আগে প্রতিদিন ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা আয় হতো। এখন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতেই অনেক কষ্ট হয়। রমজানের শুরু থেকে পর্যটকদের সংখ্যা কমে গেছে। এখন বাজার করতেই কষ্ট হয়। ঈদের বাজার কীভাবে করবো জানি না।
ফুচকা বিক্রেতা নিজাম বলেন, রমজানের আগে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতো। এখন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। বেচা-কেনা একেবারে কমে গেছে। খুব সমস্যার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
বৃদ্ধ ভ্যানচালক রুহুল আমিন বলেন, রমজানের আগে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা আয় করতাম। বর্তমানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করতে কষ্ট হয়। এছাড়া সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, রমজানের আগে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। এখন ৫০০ টাকা বিক্রি করতেও কষ্ট হয়। এ বিষয়ে কথা হয় আবাসিক হোটেল সী-ভিউ এর ম্যানেজার মো. সোলায়মান ফরাজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের হোটেলে ৫০% ছাড় চলছে। শুধু আমাদের হোটেলেই নয়, রমজানের শুরু থেকে প্রায় সব হোটেলে ছাড় চলছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, রমজান মাসে পর্যটক কম এবং ঈদ সামনে থাকায় হোটেল-মোটেলগুলো ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, রমজানের শুরু থেকেই পর্যটক কমে গেছে। এই সময়ে হোটেল মেরামত, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ক্রয় করে ঈদের সিজনটাকে ধরার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, এখন যে সকল পর্যটক কুয়াকাটায় রয়েছে, আমরা তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি।###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, হোটেল-মোটেলে চলছে বিশেষ ছাড়।

আপডেট টাইম ১১:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা, হোটেল-মোটেলে চলছে বিশেষ ছাড়। রমজানের শুরু থেকই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। রমজানের আগে ছুটির দিনগুলোতে সৈকতের আশপাশের আবাসিক হোটেলে কক্ষ না পেয়ে অনেক পর্যটককেই খোলা আকাশের নিচে, বাসের মধ্যে কিংবা সৈকতের বেঞ্চিতে রাত্রিযাপন করতে দেখা গেছে। কিন্তু সৈকতের সেই চিত্র এখন পুরোপুরি ভিন্ন। পর্যটকের আনাগোনা না থাকায় সংকটে পড়েছেন পর্যটক সংশ্লিষ্ট নিম্ন আয়ের মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট, লেবুর বন, শুঁটকি পল্লী, লাল কাকড়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কাউয়ারচর, গঙ্গামতিসহ সকল পর্যটন স্পটই এখন পর্যটকশূন্য। দোকান খুলে বসে রয়েছেন গুটি কয়েক ফুচকা বিক্রেতা। ১০ থেকে ১২ জন আলোকচিত্রী সৈকতে বালুভর্তি জিওব্যাগের উপরে বসে গল্প করছেন। সৈকতের ভাসমান দোকান, শুঁটকি মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মহিলা মার্কেটে পর্যটকদের আনাগোনা নেই। আগের মতো নেই কোলাহল। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে।
সৈকতের আলোকচিত্রী মো. আয়নাল বলেন, রমজানের আগে প্রতিদিন ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা আয় হতো। এখন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতেই অনেক কষ্ট হয়। রমজানের শুরু থেকে পর্যটকদের সংখ্যা কমে গেছে। এখন বাজার করতেই কষ্ট হয়। ঈদের বাজার কীভাবে করবো জানি না।
ফুচকা বিক্রেতা নিজাম বলেন, রমজানের আগে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতো। এখন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। বেচা-কেনা একেবারে কমে গেছে। খুব সমস্যার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
বৃদ্ধ ভ্যানচালক রুহুল আমিন বলেন, রমজানের আগে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা আয় করতাম। বর্তমানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করতে কষ্ট হয়। এছাড়া সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, রমজানের আগে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। এখন ৫০০ টাকা বিক্রি করতেও কষ্ট হয়। এ বিষয়ে কথা হয় আবাসিক হোটেল সী-ভিউ এর ম্যানেজার মো. সোলায়মান ফরাজীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের হোটেলে ৫০% ছাড় চলছে। শুধু আমাদের হোটেলেই নয়, রমজানের শুরু থেকে প্রায় সব হোটেলে ছাড় চলছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, রমজান মাসে পর্যটক কম এবং ঈদ সামনে থাকায় হোটেল-মোটেলগুলো ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ বলেন, রমজানের শুরু থেকেই পর্যটক কমে গেছে। এই সময়ে হোটেল মেরামত, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ক্রয় করে ঈদের সিজনটাকে ধরার জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, এখন যে সকল পর্যটক কুয়াকাটায় রয়েছে, আমরা তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি।###