ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা নারায়ণগঞ্জের বন্দর ষষ্ঠ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহন ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেএ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রামগঞ্জে ২টি কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা

হবিগঞ্জে সুতাং নদীর পানির প্রবাহ না থাকায় শুকিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক।

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

সুতাং নদীতে নেই পানির প্রবাহ ব্যাহত কৃষিকাজ এতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জের সুতাং নদী ভরাট হয়ে শুকিয়ে গিয়েছে নদীতে পলি পড়ে পানির প্রবাহ একেবারে বন্ধের দিকে। ফলে ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ স্থানীয় কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ে খনন না করার কারণে নদীটির এখন অচলাবস্থা। বর্ষার দিনে কিছুটা পানি আসলেও বর্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী পুরো শুকিয়ে যায় এতে ব্যাপকভাবে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় কৃষকদের, রহিম মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন, পানি ছাড়া কি কৃষিকাজ করা যায় বর্ষাকালে নদীতে সামান্য পরিমাণে পানি থাকে, তা দিয়ে কোনোরকমে ইরি ধান লাগিয়েছিলাম। বর্ষার শেষে আবার ধানের চারা লাগানোর সময় নদী শুকিয়ে যায় যার কারণে সেচকাজ না করতে পারায় আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

হেলাল মিয়া নামের এক কৃষক বলেন চারা রোপণের আগে জমি চাষাবাদের উপযুক্ত করতে প্রচুর পানি দিতে হয়। এরপর চারা রোপণের পর নিয়মিত সেচকাজ চালিয়ে যেতে হয় কিন্তু আমাদের নদীতে পানিই থাকে না। এমন হলে আমরা কীভাবে চাষাবাদ করবো এর আগেও ঠিকমতো পানি দিতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে স্থানীয় একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি এই নদী খনন করা হবে সেই আশায় অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোনো কাজতো শুরু হচ্ছে না পানির অভাবে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে না পারায় এই অঞ্চলের অনেক কৃষক এখন অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন বলেও জানান তারা।

হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আপাতত যে সকল ফসল চাষে অল্প সময় প্রয়োজন সেসব চাষাবাদ করা যেতে পারে। নদী খনন হয়ে গেলে ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ করা যাবে, এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, আমরা জেনেছি যে পানির অভাবে ওই অঞ্চলের কৃষকরা ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারছেন না এই নদীটি খননের জন্য এখনো কোনো প্রকল্পের টেন্ডার হয়নি। এমনকি এটি একনেক সভায়ও পাশ হয়নি ৬৪ জেলায় খাল খনন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাত্র।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জে সুতাং নদীর পানির প্রবাহ না থাকায় শুকিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক।

আপডেট টাইম ০৫:১৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

সুতাং নদীতে নেই পানির প্রবাহ ব্যাহত কৃষিকাজ এতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জের সুতাং নদী ভরাট হয়ে শুকিয়ে গিয়েছে নদীতে পলি পড়ে পানির প্রবাহ একেবারে বন্ধের দিকে। ফলে ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ স্থানীয় কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ে খনন না করার কারণে নদীটির এখন অচলাবস্থা। বর্ষার দিনে কিছুটা পানি আসলেও বর্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী পুরো শুকিয়ে যায় এতে ব্যাপকভাবে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় কৃষকদের, রহিম মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন, পানি ছাড়া কি কৃষিকাজ করা যায় বর্ষাকালে নদীতে সামান্য পরিমাণে পানি থাকে, তা দিয়ে কোনোরকমে ইরি ধান লাগিয়েছিলাম। বর্ষার শেষে আবার ধানের চারা লাগানোর সময় নদী শুকিয়ে যায় যার কারণে সেচকাজ না করতে পারায় আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

হেলাল মিয়া নামের এক কৃষক বলেন চারা রোপণের আগে জমি চাষাবাদের উপযুক্ত করতে প্রচুর পানি দিতে হয়। এরপর চারা রোপণের পর নিয়মিত সেচকাজ চালিয়ে যেতে হয় কিন্তু আমাদের নদীতে পানিই থাকে না। এমন হলে আমরা কীভাবে চাষাবাদ করবো এর আগেও ঠিকমতো পানি দিতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে স্থানীয় একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি এই নদী খনন করা হবে সেই আশায় অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোনো কাজতো শুরু হচ্ছে না পানির অভাবে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে না পারায় এই অঞ্চলের অনেক কৃষক এখন অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন বলেও জানান তারা।

হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আপাতত যে সকল ফসল চাষে অল্প সময় প্রয়োজন সেসব চাষাবাদ করা যেতে পারে। নদী খনন হয়ে গেলে ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ করা যাবে, এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, আমরা জেনেছি যে পানির অভাবে ওই অঞ্চলের কৃষকরা ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারছেন না এই নদীটি খননের জন্য এখনো কোনো প্রকল্পের টেন্ডার হয়নি। এমনকি এটি একনেক সভায়ও পাশ হয়নি ৬৪ জেলায় খাল খনন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাত্র।