ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরে ভূমিসেবা সপ্তাহে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সেতুতে একদিনে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার টোল আদায় নরসিংদীতে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করলেন শিল্পমন্ত্রী চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা

শখ থেকে উদ্যোক্তা, কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করে মাসে আয় আড়াই লাখ।

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ শখ করে কোয়েল পাখি পালন করতে গিয়ে আজ উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী মাহবুবুল আলম নাঈম। তার কোয়েল পাখির খামার থেকে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার ডিম আসে। প্রতি মাসে সেই ডিম বিক্রি করে তিনি আয় করছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। তার সফলতা দেখে কোয়েল পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার যুবকরা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের যুবক মাহবুবুল আলম নাঈম। তিনি ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ হলে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে উত্তর অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গার কৃষি ও খামার পরিদর্শন করতে গিয়ে শখ করে ৩শ কোয়েলের বাচ্চা সংগ্রহ করে গড়ে তোলেন খামার। লাভ ভালো হওয়ায় পরবর্তীতে ১ হাজার কোয়েল দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন কোয়েল পাখির ব্যবসা। খামার দেওয়ার পরে ঠাণ্ডার কারণে তার বেশ কিছু পাখি মারা যায়। এরপরও হাল ছাড়েনি নাঈম। অবশেষে খামার দেওয়ার এক বছরে কোয়েলের ডিম বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির পাশেই নুরজাহান লাইভ স্টক হ্যাচারি অ্যান্ড ফার্ম নামে তার খামারে তিনটি টিনসেড ঘর রয়েছে। সেখানে প্রায় ৬ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। নাঈম ও তার পরিবারের লোকজন এগুলোর দেখাশুনা করছেন। এছাড়া আরও ৩ কর্মচারী রয়েছে খামার পরিচালনার জন্য। যার ফলে তাদেরও তৈরি হয়েছে একটি আয়ের উৎস। প্রতিনিয়ত এ খামার থেকে সংগ্রহ হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার ডিম। প্রতি পিস ডিম পাইকারি বিক্রি করছেন ৩ টাকা দরে। শুধু কোয়েল পাখিই নয় এর পাশাপাশি নাঈম পালন করছেন কিছু সংখ্যক সোনালী, লেয়ার ও টারকি মুরগি। খামারটি সব সময় পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত থাকে।
এছাড়াও খুচরা বিক্রি করার জন্য রয়েছে তার‌ খামারের সামনে নিজস্ব দোকান। যেখানে কোয়েল পাখির ডিম, কোয়েল পাখি, বয়লার মুরগি ও গবাদি পশুর খাবারসহ ঔষধ বিক্রি করা হয়। খরচ বাদে এতে তার মাসে আয় হচ্ছে আড়াই লাখ টাকা।
সফল কোয়েল খামারি মাহবুবুল আলম নাঈম বলেন, ২০১৭ সালে কোয়েল পালন শুরু করেছিলাম। ডিমের চাহিদা এবং মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় পরিবারের সহায়তায় পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল খামার গড়ে তুলি। এই খামারে প্রতিদিন পাখির জন্য চার বেলায় ১০০ কেজির মতো খাবার দিতে হয়। দিনে ২ বার ও রাতে ২ বার করে মোট ৪ বার স্টাটার ফিড ও কোয়েল ফিড দেই। বর্তমানে আমার খামারে থাকা সাড়ে ৩ হাজার কোয়েল পাখিই ডিম দেয়। বেশ ভালো লাভবান হচ্ছি। অনেকেই আমার খামার ঘুরে দেখছে এবং আমি অনেক যুবককে কোয়েল খামার গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছি। আমার দেখাদেখি অনেক শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে পড়াশোনার পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে কোয়েল পাখি পালন শুরু করেছে।
ফার্মের কর্মচারী রায়হান হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঢাকায় চাকরি করেছি এরপরে নাঈম ভাইয়ের এখানে চাকরি নিয়েছি। তার ফার্ম থাকার কারণে আমার চাকরির সুযোগ হয়েছে। কোয়েল পাখির পালনে অনেক লাভবান হওয়া যায় কারণ কোয়েল পাখিতে রোগবালাই কম হয়।
মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নতুন উদ্যোক্তা রাহাত খান বলেন, নাঈম ভাইয়ের খামার থেকে ৫০টি কোয়েল পাখি নিয়ে একটি খামার শুরু করেছি। ইতোমধ্যে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি ডিম আমি বিক্রি করছি স্থানীয় বাজারে। আর আমার এই খামার পরিচালনার জন্য সকল পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নাঈম ভাই।
স্থানীয় বাসিন্দা নেছার আহমেদ বলেন, আমাদের কলাপাড়ার গর্ব নাঈম ভাই। সে একজন সফল কোয়েল খামারী। আমরা তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা পেয়ে থাকি। তার কাছ থেকে ১শ‘ কোয়েল পাখির বাচ্চা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি আমিও সফল হতে পারব।
কলাপাড়া পৌর শহরের দারুল ইহসান মডেল মাদরাসার শিক্ষক রাসেল‌ মাহমুদ বলেন, নাঈম ভাই আমার প্রতিবেশী আমি অনেক বছর ধরেই দেখছি এই খামার করে তিনি লাভবান হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকার মানুষজন এখান থেকে কোয়েল পাখির ডিম কিনে নিয়ে যান। আমিও এখান থেকে ডিম কিনে নিয়ে খাই। আপনারা যে কেউ চাইলে এই কোয়েল পাখির খামার করতে পারেন এটা লাভজনক একটি খামার।লালন পালনে তেমন বেশি কষ্ট নেই। কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জোনায়েদ খান লেলিন জানান, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ফলেট, ভিটামিন-এ,ই,ডি ও কোলস্টেরল সমৃদ্ধ কোয়েল পাখির ডিম। তাই মানবদেহের এসব চাহিদা পূরণে কোয়েল পাখির ডিম অপরিহার্য। আমরা বিশেষ করে অপুষ্টিকর শিশুদের বেশি বেশি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেই।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডাক্তার সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, মাহাবুবুল আলম নাঈম কোয়েল পাখির পালন‌ করে সফল হয়েছেন। তার ফার্মে প্রথমে ৩০০টি দিয়ে শুরু করেছিল এখন তার ফার্মে প্রায় ৬ হাজারের মতো কোয়েল পাখি রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের মতো ডিম উৎপাদন হয় তার খামারে। বিদেশ ফেরত অথবা যুবক-যুবতী যারা এই কোয়েল পাখির খামার দিতে চায় তাদের জন্য আমাদের প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে ভূমিসেবা সপ্তাহে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শখ থেকে উদ্যোক্তা, কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করে মাসে আয় আড়াই লাখ।

আপডেট টাইম ১২:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ শখ করে কোয়েল পাখি পালন করতে গিয়ে আজ উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী মাহবুবুল আলম নাঈম। তার কোয়েল পাখির খামার থেকে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার ডিম আসে। প্রতি মাসে সেই ডিম বিক্রি করে তিনি আয় করছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। তার সফলতা দেখে কোয়েল পাখি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার যুবকরা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের যুবক মাহবুবুল আলম নাঈম। তিনি ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ হলে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে উত্তর অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গার কৃষি ও খামার পরিদর্শন করতে গিয়ে শখ করে ৩শ কোয়েলের বাচ্চা সংগ্রহ করে গড়ে তোলেন খামার। লাভ ভালো হওয়ায় পরবর্তীতে ১ হাজার কোয়েল দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন কোয়েল পাখির ব্যবসা। খামার দেওয়ার পরে ঠাণ্ডার কারণে তার বেশ কিছু পাখি মারা যায়। এরপরও হাল ছাড়েনি নাঈম। অবশেষে খামার দেওয়ার এক বছরে কোয়েলের ডিম বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির পাশেই নুরজাহান লাইভ স্টক হ্যাচারি অ্যান্ড ফার্ম নামে তার খামারে তিনটি টিনসেড ঘর রয়েছে। সেখানে প্রায় ৬ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। নাঈম ও তার পরিবারের লোকজন এগুলোর দেখাশুনা করছেন। এছাড়া আরও ৩ কর্মচারী রয়েছে খামার পরিচালনার জন্য। যার ফলে তাদেরও তৈরি হয়েছে একটি আয়ের উৎস। প্রতিনিয়ত এ খামার থেকে সংগ্রহ হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার ডিম। প্রতি পিস ডিম পাইকারি বিক্রি করছেন ৩ টাকা দরে। শুধু কোয়েল পাখিই নয় এর পাশাপাশি নাঈম পালন করছেন কিছু সংখ্যক সোনালী, লেয়ার ও টারকি মুরগি। খামারটি সব সময় পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত থাকে।
এছাড়াও খুচরা বিক্রি করার জন্য রয়েছে তার‌ খামারের সামনে নিজস্ব দোকান। যেখানে কোয়েল পাখির ডিম, কোয়েল পাখি, বয়লার মুরগি ও গবাদি পশুর খাবারসহ ঔষধ বিক্রি করা হয়। খরচ বাদে এতে তার মাসে আয় হচ্ছে আড়াই লাখ টাকা।
সফল কোয়েল খামারি মাহবুবুল আলম নাঈম বলেন, ২০১৭ সালে কোয়েল পালন শুরু করেছিলাম। ডিমের চাহিদা এবং মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় পরিবারের সহায়তায় পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল খামার গড়ে তুলি। এই খামারে প্রতিদিন পাখির জন্য চার বেলায় ১০০ কেজির মতো খাবার দিতে হয়। দিনে ২ বার ও রাতে ২ বার করে মোট ৪ বার স্টাটার ফিড ও কোয়েল ফিড দেই। বর্তমানে আমার খামারে থাকা সাড়ে ৩ হাজার কোয়েল পাখিই ডিম দেয়। বেশ ভালো লাভবান হচ্ছি। অনেকেই আমার খামার ঘুরে দেখছে এবং আমি অনেক যুবককে কোয়েল খামার গড়ে তোলার পরামর্শ দিচ্ছি। আমার দেখাদেখি অনেক শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে পড়াশোনার পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে কোয়েল পাখি পালন শুরু করেছে।
ফার্মের কর্মচারী রায়হান হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঢাকায় চাকরি করেছি এরপরে নাঈম ভাইয়ের এখানে চাকরি নিয়েছি। তার ফার্ম থাকার কারণে আমার চাকরির সুযোগ হয়েছে। কোয়েল পাখির পালনে অনেক লাভবান হওয়া যায় কারণ কোয়েল পাখিতে রোগবালাই কম হয়।
মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নতুন উদ্যোক্তা রাহাত খান বলেন, নাঈম ভাইয়ের খামার থেকে ৫০টি কোয়েল পাখি নিয়ে একটি খামার শুরু করেছি। ইতোমধ্যে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি ডিম আমি বিক্রি করছি স্থানীয় বাজারে। আর আমার এই খামার পরিচালনার জন্য সকল পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নাঈম ভাই।
স্থানীয় বাসিন্দা নেছার আহমেদ বলেন, আমাদের কলাপাড়ার গর্ব নাঈম ভাই। সে একজন সফল কোয়েল খামারী। আমরা তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা পেয়ে থাকি। তার কাছ থেকে ১শ‘ কোয়েল পাখির বাচ্চা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি আমিও সফল হতে পারব।
কলাপাড়া পৌর শহরের দারুল ইহসান মডেল মাদরাসার শিক্ষক রাসেল‌ মাহমুদ বলেন, নাঈম ভাই আমার প্রতিবেশী আমি অনেক বছর ধরেই দেখছি এই খামার করে তিনি লাভবান হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকার মানুষজন এখান থেকে কোয়েল পাখির ডিম কিনে নিয়ে যান। আমিও এখান থেকে ডিম কিনে নিয়ে খাই। আপনারা যে কেউ চাইলে এই কোয়েল পাখির খামার করতে পারেন এটা লাভজনক একটি খামার।লালন পালনে তেমন বেশি কষ্ট নেই। কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জোনায়েদ খান লেলিন জানান, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ফলেট, ভিটামিন-এ,ই,ডি ও কোলস্টেরল সমৃদ্ধ কোয়েল পাখির ডিম। তাই মানবদেহের এসব চাহিদা পূরণে কোয়েল পাখির ডিম অপরিহার্য। আমরা বিশেষ করে অপুষ্টিকর শিশুদের বেশি বেশি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেই।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডাক্তার সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, মাহাবুবুল আলম নাঈম কোয়েল পাখির পালন‌ করে সফল হয়েছেন। তার ফার্মে প্রথমে ৩০০টি দিয়ে শুরু করেছিল এখন তার ফার্মে প্রায় ৬ হাজারের মতো কোয়েল পাখি রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের মতো ডিম উৎপাদন হয় তার খামারে। বিদেশ ফেরত অথবা যুবক-যুবতী যারা এই কোয়েল পাখির খামার দিতে চায় তাদের জন্য আমাদের প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।