ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে সাজানো মামলায় কারাবাস: ভুক্তভোগীর আক্ষেপ, বাদীর উল্লাস –ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে কিশোর গ্যাংয়ের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গৃহবধুর আত্মহত্যা বিএনইজি ও এমজেসিবি ‘র ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ, সময় পেল ১২টি

মোঃআবুল হাসিম

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরোপুরি কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হওয়া চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। দুটি স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোনো ক্যাম্পাসে (অস্থায়ী ক্যাম্পাস) শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। আর ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

এই ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে গত মাসেই কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আজ বৃহস্পতিবার ইউজিসি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নেওয়া গৃহীত পদক্ষেপগুলো সবাইকে জানিয়েছে দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি—দেশের এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে হবে। আর ব্যর্থ হলে এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।

বর্তমানে দেশে ১০৮টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। ২০১০ সালে সংশোধিত আইন হওয়ার পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কয়েক দফা সময় দেওয়ার পরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। তবে অনেকেই ইতিমধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে বা করছে।

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। এগুলোতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া স্টেট ইউনিভার্সিটি ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। তবে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত প্রোগ্রামগুলো যথারীতি চালু থাকবে।
স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হওয়ায় তিন মাস সময় পেল ছয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরের জন্য এগুলো আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেয়েছে।

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে এগুলোতে
শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং লিখিত অঙ্গীকারের বিষয়টি বিবেচনা করে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি। এগুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরের জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পেল।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে সাজানো মামলায় কারাবাস: ভুক্তভোগীর আক্ষেপ, বাদীর উল্লাস

৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ, সময় পেল ১২টি

আপডেট টাইম ১১:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃআবুল হাসিম

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরোপুরি কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হওয়া চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। দুটি স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোনো ক্যাম্পাসে (অস্থায়ী ক্যাম্পাস) শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। আর ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

এই ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে গত মাসেই কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আজ বৃহস্পতিবার ইউজিসি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নেওয়া গৃহীত পদক্ষেপগুলো সবাইকে জানিয়েছে দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ইউজিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সাময়িক সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি—দেশের এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে হবে। আর ব্যর্থ হলে এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।

বর্তমানে দেশে ১০৮টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। ২০১০ সালে সংশোধিত আইন হওয়ার পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কয়েক দফা সময় দেওয়ার পরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। তবে অনেকেই ইতিমধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাস করেছে বা করছে।

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। এগুলোতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া স্টেট ইউনিভার্সিটি ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। তবে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত প্রোগ্রামগুলো যথারীতি চালু থাকবে।
স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হওয়ায় তিন মাস সময় পেল ছয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরের জন্য এগুলো আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেয়েছে।

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে এগুলোতে
শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং লিখিত অঙ্গীকারের বিষয়টি বিবেচনা করে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি। এগুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরের জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পেল।