আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বছরের শেষ সূর্যাস্তকে উপভোগ ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে জ্বলজ্বলে সূর্য না থাকলেও এই দিনটিকে স্বরণ করে রাখতে নিজের মোবাইলফোনে পরিবার-পরিজনের ছবি তুলে রাখছেন দর্শনার্থীরা। ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষও রেখেছে নানা আয়োজন।
শনিবার ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, মৃদু বাতাসে সৈকতের নারিকেলকুঞ্জ ও ঝাউবাগানের পত্রমালাও সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে দুলছে। গোটা সৈকতে জোয়ারে ভেসে আসা ছোটছোট ঝিনুক যেন কার্পেটের মতো বিছিয়ে রয়েছে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে। সাগরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে ছোটছোট পর্যটকবাহী ওয়াটার বাইক, স্পিডবোট, ট্রলার, লঞ্চ ও ডিঙি নৌকা। পূর্ব আকাশকে পেছনে ফেলে সবাই ছুটছেন পশ্চিম আকাশ পানে তাকিয়ে সৈকতে।
নারায়নগঞ্জ থেকে আসা হাসিবুর রহমান নামে এক পর্যটক বলেন, বছরের শেষ সূর্যটাকে নিজের ক্যামেরায় ধারণ করে রেখেছি। সঙ্গে ছিল পরিবার। বাচ্চারা আনন্দ করছে, খেলা করছে। কালকে সূর্যোদয় দেখবো তারপর গন্তব্যে ফিরবো। তবে এই ট্রিপটা দারুণ কাটিয়েছি।
ফরিদপুর থেকে আয়শা আক্তার নামে এক পর্যটক বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, হোটেল-মোটেলের সুবিধা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হওয়া কুয়াকাটা ভ্রমণ এখন অনেক সহজ। এ কারণে বছরে আমরা এখানে কয়েকবার আসি। এই বিশেষ দিনে সাক্ষী হতে পেরে বেশ ভালোই লেগেছে।
হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বড়দিনের ছুটি থেকে থার্টিফার্স্ট নাইট পর্যন্ত পুরো সপ্তাহ জুড়ে পর্যটকদের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের আগমনে এখানকার ব্যবসায়ীরাও বেশ ব্যস্ততায় সময় কাটিয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, ডিসেম্বর জুড়ে পর্যটকদের চাপ ছিল। তাই সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। যাতে পর্যটকরা কোনো হয়রানির শিকার না হন। তিনি আরও বলেন, নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানাতে কুয়াকাটায় যে পর্যটকরা এসেছেন তাদের সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।###
সংবাদ শিরোনাম ::
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল।
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ১২:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
- ৬০৫ বার পড়া হয়েছে
Tag :