ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন। বাকেরগঞ্জের সাহেবপুরে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসখার নামাজ আদায়। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ –রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাটে বহিষ্কৃত জাপা নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান টাঙ্গাইলে সদর সার্কেলের কার্যালয় পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার বগুড়ায় গ্রাহকের ২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও সংস্থা সিডো

রাজশাহীতে বিরল রোগে আক্রান্ত বাবা-ছেলে

আকবর হোসেন রাজশাহী :

বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার নামোদুর খালি গ্রামের বাবা- ছেলে।

১০ বছর আগে এ রোগে প্রথমে আক্রান্ত হোন বাবা নুর ইসলাম (৪৫)। এর ৭ বছর পরে একই রোগে আক্রান্ত হয় ছেলে জাকারিয়া (১৬)।

আক্রান্ত বাবা নুর ইসলাম বলেন, আমার প্রথমে কোন শারীরিক সমস্যা ছিলনা। ঠিক ভাবে সব ধরনের কাজ করতে পারতাম। কিন্তু হঠাৎ করে দশ বছর আগ থেকে এ রোগে আক্রান্ত হবার পর আমার শরীরে আস্তে আস্তে শক্তি হারাতে থাকে। আমার পা অকেজো হয়ে যায়। পা দিয়ে হাটতে পারিনা। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে কোন লাভ হয়নি। সর্বশেষ ভারতের ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে কিন্তু সেখানেও ডাক্তাররা কোন ভালো চিকিৎসা দিতে পারেননি।

অনেক ঔষধ খেয়েও কোন কাজ না হওয়ায় বর্তমানে ঔষধ খাওয়া ও ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আর গত তিন বছর আগে আক্রান্ত হয় আমার ছেলে জাকারিয়া।

আক্রান্ত জাকারিয়া বলেন, তিন বছর আগ থেকে আমি এ রোগে ভুগছি। এবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছি। কথা বলার সময় কথা বেধে যায়। শরীর কাপে কোন শক্তি পায়না। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করিয়েও কোন ফল পাচ্ছিনা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ রোগে আক্রান্ত নুর ইসলাম। চিকিৎসার জন্য দেশে অনেক চিকিৎসক দেখিয়েছেন তার পরেও ভালো হয়নি। এরপর ভারতে গিয়েছিলেন সেখানেও কোন চিকিৎসা দিতে পারেনি ডাক্তাররা। চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক জমিজমা ও টাকা পয়সা শেষ করেছেন।

এ বিষয়ে নুর ইসলামের মা বলেন, জন্মের পর থেকে সুস্থ্য ছিল আমার ছেলে। কোন অসুখ ছিলনা। বিয়ের পর ঠিক ভাবে সংসার করছিল। তার বাবারও এধরনের কোন রোগ ছিলনা।কিন্তু দশ বছর আগে আমার ছেলের এ রোগ হয়। এর সাত বছর পর নাতি জাকারিয়ারও একই অসুখ। এখন শুধু আল্লাহ্ পারে আমাদের বাঁচাতে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীর পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন।

রাজশাহীতে বিরল রোগে আক্রান্ত বাবা-ছেলে

আপডেট টাইম ০৩:০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

আকবর হোসেন রাজশাহী :

বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার নামোদুর খালি গ্রামের বাবা- ছেলে।

১০ বছর আগে এ রোগে প্রথমে আক্রান্ত হোন বাবা নুর ইসলাম (৪৫)। এর ৭ বছর পরে একই রোগে আক্রান্ত হয় ছেলে জাকারিয়া (১৬)।

আক্রান্ত বাবা নুর ইসলাম বলেন, আমার প্রথমে কোন শারীরিক সমস্যা ছিলনা। ঠিক ভাবে সব ধরনের কাজ করতে পারতাম। কিন্তু হঠাৎ করে দশ বছর আগ থেকে এ রোগে আক্রান্ত হবার পর আমার শরীরে আস্তে আস্তে শক্তি হারাতে থাকে। আমার পা অকেজো হয়ে যায়। পা দিয়ে হাটতে পারিনা। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে কোন লাভ হয়নি। সর্বশেষ ভারতের ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে কিন্তু সেখানেও ডাক্তাররা কোন ভালো চিকিৎসা দিতে পারেননি।

অনেক ঔষধ খেয়েও কোন কাজ না হওয়ায় বর্তমানে ঔষধ খাওয়া ও ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আর গত তিন বছর আগে আক্রান্ত হয় আমার ছেলে জাকারিয়া।

আক্রান্ত জাকারিয়া বলেন, তিন বছর আগ থেকে আমি এ রোগে ভুগছি। এবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছি। কথা বলার সময় কথা বেধে যায়। শরীর কাপে কোন শক্তি পায়না। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করিয়েও কোন ফল পাচ্ছিনা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ রোগে আক্রান্ত নুর ইসলাম। চিকিৎসার জন্য দেশে অনেক চিকিৎসক দেখিয়েছেন তার পরেও ভালো হয়নি। এরপর ভারতে গিয়েছিলেন সেখানেও কোন চিকিৎসা দিতে পারেনি ডাক্তাররা। চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক জমিজমা ও টাকা পয়সা শেষ করেছেন।

এ বিষয়ে নুর ইসলামের মা বলেন, জন্মের পর থেকে সুস্থ্য ছিল আমার ছেলে। কোন অসুখ ছিলনা। বিয়ের পর ঠিক ভাবে সংসার করছিল। তার বাবারও এধরনের কোন রোগ ছিলনা।কিন্তু দশ বছর আগে আমার ছেলের এ রোগ হয়। এর সাত বছর পর নাতি জাকারিয়ারও একই অসুখ। এখন শুধু আল্লাহ্ পারে আমাদের বাঁচাতে।