ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “ “র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) দশম মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ” দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইকবালসহ মোট ০৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাজধানীতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন ও এনবিআর ঘেরাও চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ “এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র আয়োজনে পেশেন্ট ফোরাম টাঙ্গাইলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্যের প্রচারণা বাকেরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। টাঙ্গাইলে তিন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

খুলনার নিখোঁজ রহিমা বেগমকে বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ৩

বিপ্লব আহমেদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ নিখোঁজের ২৯ দিন পর আলোচিত রহিমা
বেগমকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সদর
ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রাম থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার
দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন।
বোয়ালমারীর যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক সত্তর বছর
বয়সী কুদ্দুস মোল্যা ২৫/৩০ বছর আগে খুলনার মিরেরচর এলাকায় অবস্থিত সোনালী
জুট মিলে কাজ করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায়
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুদ্দুস মোল্যার পরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করে খুলনায়
নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কুদ্দুস মোল্যার ভাগ্নে জয়নাল খান (৩৫) বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রহিমা
বেগম নামের ওই মহিলা মামার (কুদ্দুস মোল্যা) বাড়িতে এসে আশ্রয় চান। এরপর
গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইউটিউবে ওই মহিলার ছবিসহ নিখোঁজের একটি
সংবাদ দেখি। বিষয়টি মামাতো ভাই আল আমিনকে (কুদ্দুস মোল্যার ছোট ছেলে)
জানালে সে রহিমা বেগমের বড় ছেলে মিরাজের মুঠোফোনে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন
ধরেন তার স্ত্রী। তিনি বিরক্ত প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে আর ফোন দিতে
নিষেধ করেন। পরে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ
হোসেনকে জানাই। তিনি খুলনার পুলিশ কমিশনারকে জানালে শনিবার রাতে খুলনা
থেকে একদল পুলিশ এসে রহিমা বেগমকে নিয়ে যায়।
জয়নাল খান আরো জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে কুদ্দুস মোল্যার
স্ত্রী হীরা বেগম (৬০), তার ছোট ছেলে আল আমিন (২৫), কুদ্দুস মোল্যার ভাই
আবুল কালামের স্ত্রী রেহেলা বেগমকে (৪৫) আটক করে তাদের সাথে খুলনা নিয়ে
গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা
উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম।
কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি
শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে
থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে
দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী
আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন।
এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে
পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে
দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল ওহাব বলেন,
খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী
সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে
উদ্ধার করে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

” অভয়নগর সমিতি ঢাকা’র প্রীতি সম্মেলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত “

খুলনার নিখোঁজ রহিমা বেগমকে বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ৩

আপডেট টাইম ০৭:২৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিপ্লব আহমেদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ নিখোঁজের ২৯ দিন পর আলোচিত রহিমা
বেগমকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সদর
ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রাম থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার
দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন।
বোয়ালমারীর যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক সত্তর বছর
বয়সী কুদ্দুস মোল্যা ২৫/৩০ বছর আগে খুলনার মিরেরচর এলাকায় অবস্থিত সোনালী
জুট মিলে কাজ করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায়
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুদ্দুস মোল্যার পরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করে খুলনায়
নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কুদ্দুস মোল্যার ভাগ্নে জয়নাল খান (৩৫) বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রহিমা
বেগম নামের ওই মহিলা মামার (কুদ্দুস মোল্যা) বাড়িতে এসে আশ্রয় চান। এরপর
গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইউটিউবে ওই মহিলার ছবিসহ নিখোঁজের একটি
সংবাদ দেখি। বিষয়টি মামাতো ভাই আল আমিনকে (কুদ্দুস মোল্যার ছোট ছেলে)
জানালে সে রহিমা বেগমের বড় ছেলে মিরাজের মুঠোফোনে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন
ধরেন তার স্ত্রী। তিনি বিরক্ত প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে আর ফোন দিতে
নিষেধ করেন। পরে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ
হোসেনকে জানাই। তিনি খুলনার পুলিশ কমিশনারকে জানালে শনিবার রাতে খুলনা
থেকে একদল পুলিশ এসে রহিমা বেগমকে নিয়ে যায়।
জয়নাল খান আরো জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে কুদ্দুস মোল্যার
স্ত্রী হীরা বেগম (৬০), তার ছোট ছেলে আল আমিন (২৫), কুদ্দুস মোল্যার ভাই
আবুল কালামের স্ত্রী রেহেলা বেগমকে (৪৫) আটক করে তাদের সাথে খুলনা নিয়ে
গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা
উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম।
কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি
শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে
থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে
দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী
আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন।
এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে
পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে
দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল ওহাব বলেন,
খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী
সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে
উদ্ধার করে।