ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রিম ঈদউল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোঃ রানা খাঁন লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭০ জন ভূমিহীন হাটের ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় অপসারণ করা হবে : মেয়র তাপস মণিরামপুরে ১২৮ টি ভুমিহীন পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আশ্রয়ণ প্রকল্প(০২) এর ঘর। বিসিকের উদ্যোগে “উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা মতলব উত্তরে মাদক,ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অসির সচেতনামূলক সভা নারায়ণগঞ্জের বন্দর ষষ্ঠ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহন ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেএ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে রামগঞ্জে ২টি কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা

ইবিতে চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ইবিতে চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

রানা আহম্মেদ অভি, ইবি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মৃত কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্ত্রী ও সন্তানদের চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত বক্তারা। অবস্থান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটেকের সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে থোক বরাদ্দের মাধ্যমে অফিসে নিয়োগ করা হয়। মৃত্যু পরবর্তীতে ৯০ দিনের মধ্যেই তাদের স্থায়ীকরণেরও একটি নীতি আছে বলে বক্তব্যে জানান বক্তারা। দীর্ঘদিন যাবত বাহিরের ও নতুন করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসে ‘থোক’ এ কর্মরতদের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সেই অভিযোগ ও দ্রুত নীতিমালা কার্যকরে এ অবস্থান কর্মসূচি বলে নিশ্চিত করেন উপস্থিত সকলে।

মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসে মৃত কর্মকর্তা-কর্মচারী স্ত্রী-সন্তানরা ২৪ জন ও থোক বরাদ্দে ২০ জন কর্মচারী।

এ সময় ইমতিয়াজ আহমেদ অন্তু বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কোন কর্মকর্তা কর্মচারী মারা গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী তার স্ত্রী বা সন্তানদের তিনমাসের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগ করণের আইন রয়েছে। বিগত প্রশাসনগুলো এই নীতিমালার ব্যাপারে উদাসীন ছিলো। বর্তমান প্রশাসনও একই পথে হাঁটছে। গত দুই যুগ এই নীতিমালার কোন বাস্তবায়ন হয়না।এমতাবস্থায় থোক অবস্থায় কর্মরতদের জীবন অনিশ্চয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকাজে নিয়ম নীতির কথা আসে। কিন্তু আমাদের কথা শুনলে সকলের নিয়মনীতি ভুলে যায়। এখন আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। অতিসত্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কার্যকারী পদক্ষেপ নেবেন বলে দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সামনে অনশন, অন্যান্য আইনি ও নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রশাসন ভবনের বাহিরে অবস্থান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করা হয়।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

ইবিতে চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম ০৬:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইবিতে চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

রানা আহম্মেদ অভি, ইবি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মৃত কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্ত্রী ও সন্তানদের চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত বক্তারা। অবস্থান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটেকের সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে থোক বরাদ্দের মাধ্যমে অফিসে নিয়োগ করা হয়। মৃত্যু পরবর্তীতে ৯০ দিনের মধ্যেই তাদের স্থায়ীকরণেরও একটি নীতি আছে বলে বক্তব্যে জানান বক্তারা। দীর্ঘদিন যাবত বাহিরের ও নতুন করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসে ‘থোক’ এ কর্মরতদের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সেই অভিযোগ ও দ্রুত নীতিমালা কার্যকরে এ অবস্থান কর্মসূচি বলে নিশ্চিত করেন উপস্থিত সকলে।

মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসে মৃত কর্মকর্তা-কর্মচারী স্ত্রী-সন্তানরা ২৪ জন ও থোক বরাদ্দে ২০ জন কর্মচারী।

এ সময় ইমতিয়াজ আহমেদ অন্তু বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কোন কর্মকর্তা কর্মচারী মারা গেলে যোগ্যতা অনুযায়ী তার স্ত্রী বা সন্তানদের তিনমাসের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগ করণের আইন রয়েছে। বিগত প্রশাসনগুলো এই নীতিমালার ব্যাপারে উদাসীন ছিলো। বর্তমান প্রশাসনও একই পথে হাঁটছে। গত দুই যুগ এই নীতিমালার কোন বাস্তবায়ন হয়না।এমতাবস্থায় থোক অবস্থায় কর্মরতদের জীবন অনিশ্চয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকাজে নিয়ম নীতির কথা আসে। কিন্তু আমাদের কথা শুনলে সকলের নিয়মনীতি ভুলে যায়। এখন আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। অতিসত্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কার্যকারী পদক্ষেপ নেবেন বলে দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে সামনে অনশন, অন্যান্য আইনি ও নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রশাসন ভবনের বাহিরে অবস্থান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করা হয়।